বরগুনায় পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা, সরকারের নানামুখী উদ্যোগ
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০১৯
একদিকে শ্যামল ছায়ার কোমল পরশ, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের শোঁ শোঁ গর্জন। পৃথিবীখ্যাত মায়াবী চিত্রল হরিণের দুরন্তপনা, রাখাইন নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনচিত্র, চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযুদ্ধ যে কাউকে মুগ্ধ করে। একই স্থানে প্রকৃতির এমন বাহারি সৌন্দর্যের সমাহার খুব কম জায়গায়ই মেলে। বরগুনায় এমন কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে এলে প্রকৃতির এমন নিবিড় সান্নিধ্য পাওয়া যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের তীরের জেলা বরগুনার এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঘিরে দেশের পর্যটনশিল্পের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। বিপুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে শুধু প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ।
বরগুনার তালতলী উপজেলার আশারচর, সোনাকাটা, টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল; পাথরঘাটা উপজেলার লালদিয়ারচর, হরিণঘাটা সংরক্ষিত বনাঞ্চল, পদ্মার চর; বরগুনা সদরের সোনাতলা বনাঞ্চল ঘিরে গড়ে উঠতে পারে দেশের পর্যটনশিল্পের বিরাট সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
টেংরাগিরি বনাঞ্চল
বঙ্গোপসাগরের কোলে গড়ে ওঠা এই বনে এসে কান পাতলে শোনা যায় সাগরের গর্জন। সাগর থেকে উঠে আসা বাতাসে ছন্দময় অনুরণন তোলে বনের পত্রগুচ্ছ। তালতলী উপজেলার ফকিরহাটে অবস্থিত টেংরাগিরি একসময় সুন্দরবনের অংশ ছিল। প্রাকৃতিক এই বনকে স্থানীয় লোকজন ‘ফাতরা বন’ হিসেবে চেনে। সুন্দরবনের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় টেংরাগিরি বনাঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৬৭ সালে।
তালতলী থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত বিস্তৃত এই বনের আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৪ একর। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর ৪ হাজার ৪৮ দশমিক ৫৮ হেক্টর জমি নিয়ে গঠিত হয় টেংরাগিরি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য। এই বনাঞ্চলের তিন দিকে বঙ্গোপসাগর, বান্দ্রা খাল, মেরজে আলীর খাল, সিলভারতলীর খাল, ফেচুয়ার খাল, গৌয়মতলার খাল, কেন্দুয়ার খাল, সুদিরের খাল, বগীরদোন খাল। বনাঞ্চলের সখিনা বিটে ২০১১ সালে ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। টেংরাগিরি বনাঞ্চলের অভয়ারণ্যে ১০টি হরিণ, ২৫টি শূকর, ৩টি চিতাবাঘ, ২৫টি অজগর, ২টি কুমির, শতাধিক বানর, ২টি শজারুসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে।
সারি সারি গেওয়া, জাম, ধুন্দল, কেওড়া, সুন্দরী, বাইন, করমচা, বলই কেওয়া, তাল, কাঁকড়া, হেতাল, তাম্বুলকাটা গাছের মধ্যে এখানে ঘুরে বেড়ায় কাঠবিড়ালী, বানর, সাপ, শজারু, শূকর, উদ, কচ্ছপ, শৃগাল, ডোরাকাটা বাঘসহ হাজার প্রজাতির জীবজন্তু। তালতলীর ২৩টি পল্লিতে বসবাস করছে কয়েক শ বছরের পুরোনো রাখাইন সম্প্রদায়। তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন, প্রাচীন উপাসনালয়, বুদ্ধমূর্তিগুলো পর্যটকদের ভিন্ন মাত্রার আনন্দ দেয়।
সোনাকাটা ও আশারচর
টেংরাগিরি বনের খুব কাছেই আরেক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাকেন্দ্র সোনাকাটা চরাঞ্চল। তালতলী সদর থেকে খুব কাছেই বঙ্গোপসাগরের কোলে সোনাকাটা। এর একদিকে টেংরাগিরি বনের সবুজ নৈসর্গ আর অন্যদিকে বিশাল সৈকতের বুকে কান পাতলে শোনা যাবে বঙ্গোপসাগরের কুল কুল ধ্বনি। সোনাকাটায় দেখা যাবে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অবর্ণনীয় সৌন্দর্য।
বালিহাঁস, গাঙচিল, পানকৌড়িসহ হরেক পাখির কুজনে সব সময় মুখর থাকে আশারচর। তালতলী সদর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত আশারচরে আছে শুঁটকির সাম্রাজ্য। রাতের নিস্তব্ধতার মধ্যে দূর সাগরের বুকে মাছ ধরতে নামা ছোট ছোট ডিঙিনৌকার টিপটিপ আলোর মিছিল দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভাসমান কোনো শহর।
হরিণঘাটা বনাঞ্চল
মায়াবী হরিণের দল বেঁধে ছুটে চলা, চঞ্চল বানর আর বুনো শূকরের অবাধ বিচরণ, পাখির কলরবে সারাক্ষণ মুখর থাকে হরিণঘাটা বনাঞ্চল। পাথরঘাটা উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পায়রা-বিষখালী-বলেশ্বর তিন নদ-নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত হরিণঘাটা।
সৃজিত এই বনে হরিণ, বানর, শূকর, কাঠবিড়ালী, মেছো বাঘ, ডোরা বাঘ, শজারু, উদ, শৃগালসহ অসংখ্য বুনো প্রাণীর বিচরণ। সুন্দরবনের চেয়ে আকৃতিতে বড় প্রজাতির মায়াবী চিত্রল হরিণের বিচরণস্থল হওয়ায় এই বনের নামকরণ হয়েছে হরিণঘাটা। দৃষ্টিনন্দন ঘন বন আর সবুজে ছাওয়া হরিণঘাটা বনের সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করেছে পাশাপাশি সুবিশাল তিনটি সৈকত—লালদিয়া, পদ্মা, লাঠিমারা। চর লাঠিমারা থেকে শুরু করে মুতাইন্যা পর্যন্ত ৫ হাজার ৬০০ একর আয়তন নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই বনাঞ্চল। ‘লালদিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকো ট্যুরিজম সুযোগ বৃদ্ধি প্রকল্পের’ আওতায় ৯৫০ মিটার ফুটট্রেল (পায়ে হাঁটার কাঠের ব্রিজ) স্থাপন করা হয়েছে। রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার বেঞ্চ, ঘাটলা ও ইটের রাস্তা। মিঠাপানির জন্য খনন করা হয়েছে পুকুর।
সোনাতলা বনাঞ্চল
বিষখালী-পায়রা-বলেশ্বর বঙ্গোপসাগরে মিলেছে সোনাতলা এলাকায়। তিন নদ–নদীর সঙ্গমস্থলে গড়ে উঠেছে প্রাকৃতিক নৈসর্গের আরেক লীলাভূমি সোনাতলা বনাঞ্চল। সোনাতলা, বাবুগঞ্জ, ছোনবুনিয়া, পদ্মা, কুমিরমারা এই এলাকার বিস্তীর্ণ চর ঘিরে গড়ে ওঠা সৃজিত এই বনভূমির আয়তন ৪ হাজার ৬০০ একর। সারি সারি কেওড়া, গেওয়া গাছে ছাওয়া এই বনে শূকর, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, মেছো বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী রয়েছে। রয়েছে একটি পিকনিক স্পট, কয়েকটি গোলঘর, একটি ডাকবাংলো, পুকুর।
পর্যটনের বিকাশে উদ্যোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী এবং বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী ও পাথরঘাটা উপজেলাকে ঘিরে বিশেষ পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। ‘পায়রা বন্দরনগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ-পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ নামে এই প্রকল্পটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পরিকল্পনা কমিশন এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পরিকল্পনাবিদ শরীফ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামানকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের পরিকল্পনাবিদ মো. বায়েজীদ বলেন, প্রকল্পের আওতায় বরগুনার পাথরঘাটা, আমতলী, তালতলী উপজেলা এবং পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরতুফানী, জাহাজমারা প্রভৃতি পর্যটন আকর্ষণ এলাকাকে সমন্বিত সমুদ্রভিত্তিক পর্যটন পরিকল্পনার আওতায় নেওয়া হবে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, সুযোগ-সুবিধা ও যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বরগুনার পর্যটনকেন্দ্রগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে না। এরই মধ্যে কেন্দ্রগুলোর তালিকা পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব এলাকার অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য নানা মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চলছে।
- গোপালগঞ্জে ব্রি হাইব্রিড ধান ৮ এর মাঠ দিবস
- গোপালগঞ্জে লবণ সহিষ্ণু বিনাধান ১০ এর বাম্পার ফলন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- নিজের নামে স্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর না
- গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন
- প্রধানমন্ত্রীর কাছে রেডি টু কুক ফিশ’ ও মিল্কিং মেশিন হস্তান্তর
- বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়ল প্রথম ফ্লাইট
- সড়কে গাড়ির গতি বেঁধে দিল সরকার
- জাতিসংঘের দুর্নীতি প্রতিরোধী সংস্থার সদস্য হলো বাংলাদেশ
- মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে পারে
- সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান
দরপত্র কিনেছে বিশ্বসেরা ৭ প্রতিষ্ঠান - তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আগামীকাল টুঙ্গিপাড়া আচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ভারত থেকে আসতে শুরু করেছে
পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ॥ দাম কমছে - রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, বললেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী
- আইন সংশোধনে বিল পাস
গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ল - শেয়ার বাজারে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১১শ কোটি টাকা
- জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা
- আইওএমের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের জন্য আরো তহবিল সংগ্রহ করুন - সোহেল চৌধুরী হত্যা : আজিজ মোহাম্মদসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
- চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
- আদালতে ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই সাক্ষ্য দিলেন পর্ন তারকা
- মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
- উপজেলা নির্বাচন: সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- আ. লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- শৈশবের বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠলেন মাশরাফি
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৪০
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি