• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

পারিজাত এর ভেষজ গুণাগুণ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২১  

পারিজাত ফুল বাংলাদেশে প্রায় সব এলাকাতে পাওয়া যায় । পারিজাতকে অনেকে পলাশ ফুল নামেও পরিচিত । আঞ্চলিক শব্দে মান্দার ও বলে থাকে এটিকে । এর কোন গন্ধ নেই , এই ফুলে লাল পাপড়ির পাশে কেশর দুলিয়ে ফুটে । সারা বছর গাছটি ঘুমিয়ে থাকে ।

ফাল্গুন চৈত্র মাসে আগুনের মত এটি ফুটে উঠে । অযত্নে বেড়ে ওঠা এই সাধারণ মান্দার গাছটি চিনলেও এই গাছ যে পারিজাত তা অনেকেরই জাানা নেই । গাছটি পর্ণ্ মোচী , বসন্তে এই ফুল ফুটে । গাছের গায়ে কাঁটা থাকে একটু বয়স হলে কাটা ঝরে যায় । সারা শরীরে লাল টকটকে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে । সারাদেশে মান্দার ফুলের গাছ দেখা যায় । গ্রামাঞ্চলে কৃষকরা জমির আইলে সীমানা খুঁটি এবং বাড়ির বেড়ায় জন্য এই গাছ লাগিয়ে থাকে । কোনরকম পরিচর্যা ছাড়াই এই গাছ দ্রুত বাড়ে । বসন্ত এলে প্রাণখুলে দেখিয়ে দেয় লাল টুকটুকে ফুলের বাহার । পরিবেশের প্রভাবে ও যত্নের অভাবে দিনে দিনে এই গাছ দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে । পারিজাতের কিছু ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে । এখন আমরা এর সম্পর্কে কিছু জানব ।

উপকারিতা

রক্ত আমাশয় :

পারিজাত গাছের ছালের রস এক বা দুই চা চামচ একটু গরম করে দুই ‍থেকে চার চা চামচ দুধ মিশিয়ে দুই থেকে তিন খেলে রক্তামাশায় সেরে যাবে ।

বাঘি হলে :

কু চকির এদিক বা ওদিক যে দিকেই হোক আর যে কারণেই হোক পরিজাত বা মান্দার পাতা বেটে অল্প করে ওখানে লাগাতে হবে । দুই দিনের মধ্যে ওর টাটানি ও ব্যথাটাও চলে যাবে ।

স্তনে দুধের অভাব :

সবই ভরপুর , কিন্তু ‍দুধের অভাবে সন্তান হা হা করছে এক্ষেত্রে পারিজাত বা মান্দার পাতার রস ‍দুই চা চামচ আর ঝুনো নারকেলের দুধ চার থেকে পাচ চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে কয়েকদিন সকালের দিকে খেলে স্তনে দুধের অভাব থাকবে না ।

ক্রিমি রোগ :

এই পারিজাত বা মাদার প্রধানভাবে কাজ করে রক্তজ ক্রিমির ক্ষেত্রে । এই রক্তজ ক্রিমি বহুরোগ সৃষ্টির কারণ হয় । এ ভিন্ন পাশ্চাত্য চিকিৎসকগণের বহু রোগের সৃষ্টি হয় । এই গাছের পাতার রস চার চা চামচ একটু গরম করে খাওয়াতে হবে , তবে বদ্ধ বেদ্যগণ সাধরণ ক্রিমিতেও এই রস ব্যবহার করেন ।

মাসিক স্রাবের সমস্যায় :

মাসিক স্রাবের সমস্যা হলে পারিজাত পাতার রস সেবন করলে উপকার পাওয়া যায় ।

জ্বর হলে :

পারিজাত গাছের ছাল রস অল্প গরম করে তার সাথে মধু মিশিয়ে সকাল বিকেল খেলে জ্বর খুব ভালো হয়ে যায় ।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ