সামান্য ঠাঁই পেতে বাঁধে ছুটছেন বানভাসিরা
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯
বগুড়া: কয়েক সপ্তাহ আগেও যমুনা শান্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানের চিত্রটা একেবারে ভিন্ন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে যমুনার পেট!
সোমবার (১৫ জুলাই) বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় যমুনা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পানি বাড়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।
আর তাতেই হিংস্র হয়ে উঠছে যমুনা। শান্ত যমুনা অশান্ত হয়ে পড়ায়, চারপাশে পানি ছড়িয়ে পড়ছে। দিন যাচ্ছে, আর নতুন নতুন গ্রামে পানি ঢুকছে। ফলে প্রতিনিয়ত ভিটেমাটি ছাড়া হচ্ছে নিত্য নতুন পরিবার। বাধ্য হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
তাদের একজন জমিলা বিবি। এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তার সংসার। বেশ আগেই মারা গেছেন স্বামী ফরিদুল ইসলাম। বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে। যমুনার হিংস্র থাবায় এই নারী এ পর্যন্ত পাঁচবার স্থান ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। যমুনা গিলে ফেলেছে তার বসতভিটা।
বর্তমানে তার বসতভিটা অর্ধেক পানিতে নিমজ্জিত। ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে করে যতোটুকু পেরেছেন, তাই নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। আর বাঁধে কতোদিন থাকতে হবে জানা নেই জমিলা বিবির। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এই নারী বাংলানিউজকে বলেন, অন্তত তিন মাস বাঁধেই জীবন কাটাতে হবে তার মতো বন্যায় বসতভিটা হারিয়ে ফেলা মানুষদের।
সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনার ডান পাশে নির্মিত কর্ণিবাড়ি-কুতুবপুর-চন্দনবাইশা-রহদহ-কামলাপুর আট কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
এদিকে, ধুনট উপজেলার যমুনা তীরবর্তী সাত কিলোমিটার সহড়াবাড়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বানভাসি মানুষগুলো যার যার মতো করে যা পারছেন তাই নিয়ে বাঁধে এসে আশ্রয় গড়ে তুলছেন।
সরেজিমনে দেখা যায়, চিত্রটা প্রত্যেক বছরের মতোই। বন্যা এলে ক্ষতিগ্রস্তদের সবাইকে নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য ছুটতে হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ইতোমধ্যে অনেক পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়েছে।
তারাই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দু’পাশ দিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বানিয়ে চলেছেন। বাঁশ, কাঠের বাটাম, পলিথিন, দড়ি, লোহা, টিনসহ আনুসাঙ্গিক সামগ্রী ব্যবহার করে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এসব ঘর তৈরি করছেন বানভাসি মানুষগুলো।
ঘরগুলো পরিসরে বেশ ছোট। এসব ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরেই বানের কয়েক মাস বানভাসিদের জীবন কাটাতে হবে। এক ঘরেই সবাইকে ঠাসাঠাসি করে বসবাস করতে হবে। আবার কেউ কেউ এসব ঘরেই গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হন। সেখানে প্রসাব-পায়খানার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দেয়। এসব মেনেই বাধ্য হয়ে তারা বানের কয়েক মাস বাঁধে কাটিয়ে দেন কষ্টের দিন-রাত।
এদের মধ্যে অনেকেই ঘর নির্মাণের কাজ গুটিয়ে ফেলেছেন। আবার অনেকেই নতুন নতুন ঘর নির্মাণ করছেন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যমুনার পানি। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বসতবাড়িতে সেই পানি ঢুকছে। এসব পরিবারের মানুষ আশ্রয় নিতে বাঁধে চলে আসছেন। নির্মাণ করছেন সামান্য মাথা গোঁজার ঠাঁই। বাঁধের পশ্চিম পাশ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে এসব ঘর গড়ে তোলা হচ্ছে।
বাঁধে আশ্রয় নেওয়া জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ জীবন যমুনার সঙ্গে সংগ্রাম করে চলেছি। কিন্তু বয়স তো থেমে নেই। শরীরটা আগের মতো চলতে চায় না। কিন্তু যমুনার আশপাশে বসবাস করলে এমন বাস্তবতা না মেনে কোনো উপায় নেই। নইলে যমুনাকে চিরবিদায় জানাতে হবে। অনেক দূরে চলে যেতে হবে। কিন্তু সেই সামর্থ নেই। তাই যমুনার ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেই হয়তো বাকি জীবনটা পারি দিতে হবে।
বাঁধে আশ্রয় নিতে আসা জহুরা বেগম নামে এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, অভাবের সংসার। সংসারে সারা বছর ঘাটতি লেগেই থাকে। কাজ করলে তবেই পেটে ভাত যায়। নইলে উপোস থাকতে হয়। এরমধ্যে আবার যমুনার তাণ্ডব শুরু হয়েছে। না জানি ক’দিন এই মরণ জ্বালা সহ্য করতে হয়।
বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ও নিতে আসা এসব ব্যক্তিরা জানান, সাত-আটদিনের ব্যবধানে তাদের বসতবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকেছে। ক্রমেই পানি বেড়েই চলছে। পানিতে ভিজে বিপুল সংখ্যক মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যারা দ্রুত বাঁধে ঠাঁই নিয়েছেন, তারা ক্ষতি অনেকটা কমাতে পেরেছেন।
এ অবস্থায় অনেক মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক কথায় এই দুই উপজেলাসহ পাশের সোনতলা উপজেলার বানভাসি মানুষগুলো জীবন বাঁচানোর সংগ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে ব্যস্ত বলেও জানান বানভাসি এসব মানুষগুলো।
- আমি ব্রেকআপ করলাম: সুহানা খান
- অর্ধনগ্ন হয়ে হোটেল থেকে কেন বের হলেন ব্রিটনি
- জাতির পিতার সমাধিতে রেডক্রিসেন্টের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানেরশ্রদ্ধা
- কাশিয়ানীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে জরিমানা
- জাতির পিতার সমাধিতে আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতির শ্রদ্ধা
- গোপালগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা
- গোপালগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয়ধাপের প্রতিক বরাদ্দ অনুষ্ঠান
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধানউৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিরব্যবহার বাড়ানোহবে:পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগেরচিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে
- আইপিএলের মাঝপথে ফিরছেন মুস্তাফিজ, কত টাকা পাচ্ছেন!
- ভোটে প্রভাব বিস্তাব করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে পর্যবেক্ষক প্রায় পাঁচ হাজার
- উপজেলা ভোট: দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- প্রকাশ্যে গুলি, মডেলের মৃত্যু
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- আজ দেশে পৌঁছাবে তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন
- ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি
- ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘মিলিটারির পকেট থেকে নয়, ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ’
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতা করবে: প্রধানমন্ত্রী
- চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- শৈশবের বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠলেন মাশরাফি
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৪০