চাপাতি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবিটি

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেছেন, চাপাতি দিয়ে পেছন থেকে পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যরা।

সম্প্রতি গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যদের কাছ থেকে জব্দ মোবাইল ফোন ফরেনসিক টেস্ট করে এবিটির এ পরিকল্পনার তথ্য জানতে পারে র‌্যাব-৪। সম্প্রতি রাজধানীর শাহআলীর রাইনখোলা ঈদগাঁহ এলাকা থেকে এবিটির চার সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪ এর একটি টিম।

এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, লিফলেট, ইলেকট্রনিক সার্কিট, ডিভাইস, ব্যাটারি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া চারজন হলেন- চাঁদপুরের আরিফুল করিম চৌধুরী অরফে আদনান চৌধুরী, নোয়াখালীর মেহেদী হাসান শাকিল অরফে বাবু, আবদুল আল মামুন ও নাজমুল হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গ্রেফতার চারজনের মোবাইল ফোন ফরেনসিক টেস্ট করে তাদের কিছু পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছি। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছিল। পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করতে চেয়েছিল। এ পর্যন্ত এই গ্রুপের ২৩ জনকে গত তিন মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

সূত্র গেছে, গ্রেফতারকৃতদের একজন আরিফুল করিম। এর আগে ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার হয়ে এক বছর ১১ মাস জেল খাটেন তিনি। সেই সময় তিনি হরকাতুল জিহাদের সদস্য ছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে এবিটিতে যোগ দেন আরিফুল করিম। ইন্টারনেটে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ছিল আরিফুলের দায়িত্ব।

র‌্যাব-৪ জানায়, প্যারামেডিকেলে পড়াশোনা করেছেন গ্রেফতার নোয়াখালীর মেহেদী হাসান শাকিল অরফে বাবু। গত দুই বছর ধরে এবিটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল আল মামুন। একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন অপর গ্রেফতার নাজমুল হাসান। গত দুই বছর ধরে এ দুজন অনলাইনে ছদ্মনাম ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।