• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

মোচনা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৬ ইউপি সদস্যের অভিযোগ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৩  

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ১৩ নং মোচনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন মোল্লার দূর্ণীতি, অর্থ আত্মসাত, স্বেচ্ছাচারিতা এবং বিধি – বিধান বহির্ভুত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পরিষদের ৬ জন সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বুধবার ৫ এপ্রিল সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য বাদশা মিয়া, নাসির উদ্দিন মোল্লা, জাহিদ হাসান জিহাদ, সাইফুল ইসলাম শেখ, আজাদুর রহমান এবং সংরক্ষিত সদস্যা তাছলিমা আক্তার তাদের লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে দেখাযায়, এমদাদ হোসেন মোল্লা ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ সালের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণের পরে মাত্র প্রথম কার্যদিবস ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অফিসের দাপ্তরিক কাজ করেন। এরপর হতে চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতে অফিসের কার্যাবলী নিজ খেয়াল খুশিমত পরিচালনা করে আসছেন। ইউনিয়ন পরিষদ এবং পারিবারিক আদালত ও অন্যান্য দাপ্তরিক অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ রাখেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার এবং দফাদার ও সচিবকে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে রেখে চৌকিদার ও দফাদার দিয়ে তার পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত কার্যাদি পরিচালনা করেন এবং সচিবকে চাপের মধ্যে রেখে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ি ডুমুরিয়া গ্রামের ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে পশ্চাৎ যোগাযোগের স্থানে দাপ্তরিক কাজ করে আসছেন।
নাগরিক সনদ, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ নামা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু -প্রতিবন্ধী এবং গর্ভবতী ভাতার কার্যক্রম চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে পরিচালনা করায়, ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সর্ব সাধারণের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয় এবং এসকল প্রতিটি কাজের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান তার ভাবাপন্ন লোক দিয়ে অভিনব কায়দায় কাগজপত্রের জটিলতা সৃষ্টি করে ৫০০/১০০০ টাকা গোপনে এবং সদরে অধিক হারে ফি গ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকারের কাজ এবং প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়নের ব্যাপারেও চেয়ারম্যান কতিপয় ইউপি সদস্যদের হাত করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং রেজুলেশন লিখে আমাদের বাড়িতে লোক দিয়ে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। এছাড়াও টিআর, কাবিখা, কাবিটা, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি,এল. জি. এস. পি, কর্মসূচিতে রয়েছে সীমাহীন দূর্ণীতি। এসকল কর্মসূচিতে চেয়ারম্যান এবং সচিবের ঘুষ বানিজ্য সহ বহু দূর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব শতবর্ষের উপহার ঘর প্রদানেও রয়েছে চেয়ারম্যানের অনিয়ম।
এছাড়াও অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ঘুনসী কাওছার মোল্লার বাড়ি হতে ডুমুরিয়া রাস্তা নির্মান প্রকল্প চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লা সিপিসিকে বাদ রেখে গোপনে নিজে স্বাক্ষর করে বরাদ্দের ১ম ও ২য় কিস্তির টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে। ২নং ওয়ার্ডের মিরাজ মুন্সি ও ৯ নং ওয়ার্ড পাইকদিয়া গ্রামের আছাদ মোল্লার বাড়ির এল,জি,এস,পির ৩য় পর্যায়ের গভীর নলকূপ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চেয়ারম্যান ও সচিব আত্মসাত করেছে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন মোল্লা জানান,আমি কোন অন্যায় এবং অবৈধ কাজ করিনা। আমি সবসময় ভালো কাজ করি। আমার ইউনিয়নের মেম্বারগণকে অন্যায় কাজ করতে দেইনা এবং অবৈধ কাজে বাধা প্রদান করি বলি আমার বিরুদ্ধে তারা ইউএনও এর নিকট অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমি মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যদের আমার কার্যালয়ে তদন্তের জন্য উভয় পক্ষের স্বাক্ষী প্রমানাদী সহ উপস্থিত হতে বলেছিলাম। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ