• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২১ একর জলাবদ্ধ জমি চাষাবাদের আওতায় আসছে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ছিলনা গ্রামের গাজনার খালের দু’ পাশে ২০ বছর আগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে । তাই খাল সংলগ্ন এসব জমিতে পানি ওঠানা নামা করতে পারে না। এ কারণে সারা বছরই  জমিগুলো জলাবদ্ধ থাকছে। জমিতে হোগলা, নল-খাগড়াসহ আগাছা জন্মেছে। এখান থেকে ২১ একর জমি পরিস্কার করে চাষাবাদের আওতায় অনতে উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ইতিমধ্যে কৃষকরা তাদের জমি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছেন।
পার্টনারশীপ ইন ব্র্যাক ব্যাংক-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২১ একর জলাবদ্ধ আনাবাদি জমি চাষবাদের আওতায় আনা হচ্ছে বলে প্রকল্পের ফোকাল পারসন ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জেবুন নেছা জাবেদুর, উপ-পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ জহিরুল হক, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু, প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকতা বীবেকানন্দ হীরা ছিলনা গ্রামের জলাবদ্ধ পতিত জমির এলাকা পরিদর্শন করেছেন।  এসময় ছিলনা গ্রামের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ছিলনা গ্রামের কৃষক নবীণ বিশ্বাস বলেন, লবন পানির হাত থেকে ছিলনা বিল রক্ষায় গাজনার খালের দু’ পাশে ২০ বছর আগে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে । এ কারণে খালের পানি বিলে ওঠা নামা করতে পারে না। তাই খাল পাড়ের জমিগুলো সারা বছরই জলাবদ্ধ থাকে। এসব জমিতে জলজ আগাছা হুগলা, নল-খাগড়া, কচুরিপানা সহ বিভিন্ন ধরণের আগাছা জন্মেছে। এখানে সাপসহ  জলজপ্রাণি বাসা বেধেছে। তাই চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এ জমি থেকে আমদের কোন আয় রোজগার হয় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এখান থেকে ২১ একর জমি চাষবাদের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের পরামর্শে আমরা এসব জমি পরিস্কার শুরু করেছি। এখান থেকে আগাছা পরিস্কার করার পর জলাবদ্ধ এসব জমিতে ভাসমান বেড ও ডালি পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করব। শুস্ক মৌসুমে এখানে বোরো ধানের আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। চাষাবাদের ফলে এখানে ফসল ফলবে। এতে আমাদের আয় রোজগার বৃদ্ধি পাবে।
ছিলনা গ্রামের কৃষক পতিত ওঝা বলেন, জলাবদ্ধ পতিত জমি আমাদের জন্য গলার কাঁটা। এ জমি থেকে আমদের কোন ফসল আসে না। আমর দেড় একর জমি জলাবদ্ধ পতিত। এ বছর এ জমি চাষবাদের আওতায় আনতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। তারা জমি পরিস্কার ও চাষাবাদের আওতায় আনতে আমাদের আর্থিক সহায়তার পশাপাশি পরামর্শ দিয়েছে। আমরা সেভাবেই জমি পরিস্কার করার কাজ শুরু করেছি। এখানে ফসল ফলিয়ে আমরা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারব। আমিও লাভবান হব।
প্রকল্পের ফোকাল পারসন ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, পার্টনারশীপ ইন ব্র্যাক ব্যাংক-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমরা জলাবদ্ধ আনাবাদি  জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছি।  ইতমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ছিলনা গ্রামের অনাবাদি ২১ একর জমি চাষবাদের আওতায় আনতে আমরা কাজ শুরু করেছি। এভাবে জলাবদ্ধ আনাবাদি পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় এনে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি  রাখা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সব জমি চাষাবাদের আওতায় আনার আহবান জানিয়েছেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে   ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোািগতায় আমরা এ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় জলাবদ্ধ আনাবাদি পতিত জমিতে চাষাবাদ করে কৃষক লাভবান হবেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ