• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

‘আমার ভাই পানিতে ডুবে মারা গেছে, তার মেয়েকে ওই চাল খাওয়াই’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৩  

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক নারীর নামে কার্ড করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির চাল উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক নারী ইউপি সদস্য। অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য হলেন কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লিপি বেগম। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ওই নারীর স্বামী। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর মামুন মোল্যা ১০ টাকা মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একজন উপকারভোগী। গত বছরের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে তার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডটি বাতিল হয়ে যায়। 

খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের নামে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির একটি উপকারভোগী কার্ড হয়েছে। যে কারণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ভিডব্লিউবি কর্মসূচির কার্ড হলেও, চাল না পাওয়ায় পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ নেন মামুন মোল্যা। এ সময় জানতে পারেন ৫নং ওয়ার্ডের মাস্টার রোলের ৭৭ নম্বর ক্রমিকে তার স্ত্রীর নাম রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারী মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত তার স্ত্রীর নামের চাল উত্তোলন করা হয়েছে।। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে দেয়া এ চাল ইউপি সদস্য লিপি বেগম নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।

ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগম বলেন, আমার ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চালের তালিকায় নাম আছে, তা আমি জানতাম না। কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার নামে কার্ড আছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনতে যাই। সেখান থেকে আমাকে বলে আপনার নামের চাল মহিলা মেম্বার নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমার স্বামী ইউএনও স্যারের কাছে একটি অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লিপি বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি রাবেয়া বেগমের নামের কার্ডের চাল উত্তোলন করেছি। তবে নিজের টিপসই দিয়ে নয়, অন্য কার্ডধারীদের দিয়ে চাল উত্তোলন করেছি। আমার এক ভাই কয়েক বছর আগে পানিতে ডুবে মারা গেছে। তার একটা মেয়ে রয়েছে। তাকে ওই চাল খাওয়াই।

এ বিষয়ে রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলটন মিয়া বলেন, আট মাসে কেউ আমাকে বলিনি। এই শুনলাম ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি এলাকায় এসে সমাধান করে দেব। ঘটনা সত্য হলে ৮ মাসের চাল ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ