• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সাতশো শিক্ষার্থী একসঙ্গে পাঠ করল ৭ মার্চের ভাষণ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৪  

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ব্যতিক্রমীভাবে পালন করা হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। দিবসটি উপলক্ষে ভাষণ পাঠ, ডিসপ্লে ও ভাষণের ১ হাজার ১০৮টি শব্দমালা দিয়ে পতাকা উত্তোলন ও শব্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেয় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭০০ শিক্ষার্থী। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশ প্রেমিক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন আয়োজকেরা।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্সের মায়দায় ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত পায় বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ।

জানা গেছে, দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মাঠে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শব্দমালা। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষার্থীর কণ্ঠে এক সাথে ভেসে ওঠে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। এছাড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে ৭শ’ শিশু শিক্ষার্থীদের দ্বারা বানানো হয় ৭ মার্চ ছায়া লেখা।

পরে সেখানে ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের ১ হাজার ১০৮টি শব্দের ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করে ১ হাজার ১০৮জন শিক্ষার্থী একসাথে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাত উঁচু করে। এরপর শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা নানা রঙ্গের বেলুনের সাথে বেলুন উড়িয়ে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আসনের উন্নয়ন প্রতিনিধি . শহীদ উল্লা খন্দকার। পরে সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা ও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের ১ হাজার ১০৮টি শব্দের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙ্গালি জাতির অনন্ত প্রেরণার উৎস। পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থেকে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালিদের সামনে কঠিন সংকটময় মুহূর্তে ভারসাম্যপূর্ণ অথচ আবেগময় কণ্ঠে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে স্বাধীনতার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।

তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে এই আয়োজন। এটি ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে তাদের পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ