• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কমিটির নির্বাচন ঝুলে থাকলে সংগঠনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০১৯  

আওয়ামী লীগের ২২তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলেও খবর নেই সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলনের। অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন সম্ভব নয়, বলছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কারণ, এবার এসব সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চান তারা। মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটির কারণে এসব সংগঠনে গতিশীলতা হ্রাস পেয়েছে বলেও মনে করেন নেতারা। 

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর মেয়াদ দুই বছর। কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও নতুন কমিটি পায়নি ক্ষমতাসীন দলের চার সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন।

আওয়ামী লীগের ৭টি সহযোগী সংগঠনের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০১২ সালের ১১ই জুলাই। একই বছরের ১৪ জুলাই সম্মেলন হয় আওয়ামী যুবলীগের। ১৯ জুলাই হয় কৃষকলীগের সম্মেলন। আর ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর মধ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ১৭ জুলাই।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন,বিভিন্ন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সহযোগীদের সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি জামায়াতের বিধ্বংসি রাজনীতি অব্যাহত। তারপর নির্বাচন এলো, সে নির্বাচন মোকাবেলা করতে হলো। সব মিলিয়ে পারিপার্শ্বিক ব্যস্ততার কারণে আমাদের সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন করতে পারিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, কমিটির নির্বাচন যদি ঝুলে যায় তবে সংগঠনের ভেতরে একটি অচলায়তন বা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় এ কথা অস্বীকার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগরে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব:) ফারুক খান বলেন, যেহেতু এ বছরের মধ্যে আমরা আমাদের জাতীয় সম্মেলন করবো, সেহেতু সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের সহযোগী সংগঠনের কমিটি করা হবে। সেটা এ সময়ের মধ্যে যতটা সময় পাই তার মধ্যে করার চেষ্টা হবে। এ বছর না হলে আগামী বছরের প্রথম দিকে করা হবে।

নেতারা জানান, তৃণমূলে সাংগঠনিক সফরের মধ্য দিয়ে দলকে ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু হয়েছে। 

 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ