• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

নবীজির (সা.) প্রতি কতবার দরুদ পড়তে হয়?

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

আমরা জানি, মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হলে কিংবা পাঠ করা হলে সঙ্গে সঙ্গে দরুদ শরিফ পড়া ওয়াজিব। কিন্তু কোনো মজলিস বা লেখাও যদি বারবার নবীজি (সা.)-এর নাম আসে, তখন কি প্রত্যেক বার দরুদ পড়তে হবে? নাকি একবার পড়লেই ওয়াজিব দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে?

উত্তর : প্রিয় নবীজি (সা.)-এর মহব্বত প্রকাশের অনন্য পদ্ধতি দরুদ পাঠ করা। হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.), আমি আপনার ওপর অধিক হারে দরুদ পাঠ করে থাকি। আমার সময়ের কতটুকু আপনার প্রতি দরুদ পাঠে ব্যয় করব? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরও বাড়াও তবে ভালো। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? তিনি বললেন, তোমার যা ইচ্ছা। তবে আরও বৃদ্ধি করলে তা-ও ভালো। আমি বললাম, দুই-তৃতীয়াংশ সময়? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা। তবে আরও বাড়ালে তাও ভালো। আমি বললাম, আমার সবটুকু সময় আপনার ওপর দরুদ পাঠে লাগাব? তিনি বললেন, তা হলে তো তোমার সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে’ (তিরমিজি : ২৪৫৭)।

যখন কোনো মজলিসে বা আলোচনা সভায় কিংবা কোনো লেখায় রাসুল (সা.)-এর নাম উচ্চারণ করা হয় বা পড়া হয় তখন শ্রোতা বা পাঠককে অন্তত একবার দরুদ পাঠ করতে হবে, তা ওয়াজিব। একই বৈঠকে বা লেখায় একাধিকবার আলোচিত হলে একবার বলা ওয়াজিব হবে আর একাধিকবার দরুদ পড়া মুস্তাহাব। দরুদ হিসেবে যেকোনো দরুদ পড়লেই হবে। আমাদের মাঝে-‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ অধিক প্রচলিত। তা পড়লেও চলবে। (তাফসিরে মাআরিফুল কুরআন : ৭/২২৪-২২৫)

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ