• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

খরগোশ খাওয়া হালাল না হারাম?

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৩  

খরগোশ অমায়িক, তৃণভোজী ও স্তন্যপায়ী একটি প্রাণী। এদের লেজ খাটো, কান ও পেছনের পা লম্বা। পৃথিবীতে প্রায় ৫২টি প্রজাতির খরগোশ পাওয়া যায়।

বনে ও তৃণভূমি এলাকায় খরগোশ বসবাস করে। গৃহপালিত প্রাণী হিসেবেও এটি বেশি জনপ্রিয়।

আমাদের মাঝে অনেকেই খরগোশ শখে লালন-পালন করেন। আবার অনেকে খুব বেশি পছন্দ করেন খরগোশের গোশত। আমাদের দেশেও খরগোশ পাওয়া যায়। সাদা খরগোশটাই বেশি পাওয়া যায় এবং বিক্রিও হয়।

এখন জানার বিষয় হলো খরগোশের গোশত খাওয়া হালাল না হারাম?

ইসলামি শরিয়তে খরগোশ পালন করা বৈধ। খরগোশের গোশতও হালাল। প্রসিদ্ধ হাদিসের গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত আছে আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, ‘মক্কার মাররুজ জাহরান এলাকায় একটি খরগোশকে আমরা ধাওয়া করলাম। আমার সঙ্গে আরো অনেকেই সেটির পেছনে ছুটছিলো। এক পর্যায়ে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লো। আমি হাল না ছেড়ে ছুটতে থাকলাম। শেষে খরগোশটিকে ধরে ফেললাম। খরগোশটিকে আবু তালহার কাছে নিয়ে গেলে তিনি সেটিকে জবাই করেন। এর পেছনের অংশ ও উভয় রান রাসূল (সা.) এর কাছে পাঠান। আমি সেগুলো রাসুলের (সা.) এর কাছে নিয়ে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেন। (মুসলিম ১৯৫৩)

এছাড়াও ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদসহ (রহ.) অধিকাংশ ফকিহর মতে খরগোশ খাওয়া হালাল। কেউ কেউ নখ থাকা ও হিংস্র হওয়ার কারণে খরগোশ খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কিন্তু খরগোশ খাওয়াকে কেউ হারাম বলেন না। শরিয়তের মূল উৎসগুলোতে খরগোশ খাওয়াকে হারাম বলার মতো কোনো দলিলও নেই। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও সেটা খেয়েছেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ