• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

আজও প্র্যাকটিস নেই, ক্রিকেটাররা সময় কাটাবেন নিজেদের মতো

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০১৯  

টন্টনে আজ (বৃহস্পতিবার) সারাদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, টাইগারদের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ টিম সিডিউলে আজ কোন প্র্যাকটিস নেই। ক্রিকেটারদের বিশ্রাম। এক কথায় ছুটি। ক্রিকেটাররা দল বেঁধে কোথাও না গেলে- নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারবেন।

বিশেষ করে যারা স্ত্রী-সন্তানসহ এসেছেন, তারা এদিক-ওদিক ঘুরতে পারবেন। সে সুযোগটা দেয়া হয়েছে। যেহেতু প্র্যাকটিস নেই, ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের বাকিও আছে আরও ৩ দিন, তাই ক্রিকেটাররাও গতকালের মতো আজও ছুটিতে সময় কাটাতে পারছেন।

 

এদিকে গতকাল রাতে মাশরাফির সপরিবারে (স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রসহ) খেতে বেড়িয়েছিলেন এক ভারতীয় রেস্তোরাঁয়। নাম 'ইয়ারানী'। বাংলাদেশের টিম হোটেল (হলি ডে ইন) থেকে খুব দূরে নয়। গাড়িতে মিনিট দশেকের পথ ঐ রেস্তোরাঁয় ঘরোয়া পরিবেশে অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। পরিবারের সঙ্গে এক টেবিলে বসে দেশিয় খাবার (ভাত, গোশত, ডাল, সবজি) খেয়েছেন পরম তৃপ্তিতে।

রেস্তোরাঁর মালিক টন্টনের পরিচিত বাঙালি মুখ রাজ এবং আরেক প্রবাসী বাঙালি মোর্শেদও মাশরাফির সঙ্গে ছিলেন। 'ইয়ারানা' রেস্তোরাঁয় স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর থেকে প্রায় ১১টা অবধি ছোট-খাটো এক বাঙালি সম্মেলন হয়। মাশরাফি ছিলেন যার মধ্যমণি।

এদিকে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে অল্প সময়ের জন্য বাইরে বের হলেও মাশরাাফি ছিলেন ঠিক তার মতোই। সবার অনুরোধ রেখেছেন। যে এসে সেলফি তুলতে চাইছেন, তার আবদার পূরণ করছেন। অটোগ্রাফ চাইলে কালবিলম্ব না করে হাসিমুখে দিয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের কয়েকজন সাংবাদিককে কাছে পেয়ে স্বভাবসুলভ আড্ডায়ও মেতে উঠেছিলেন মাশরাফি।

mash

বলার অপেক্ষা রাখেনা ওই আড্ডার পুরোটাই অনানুষ্ঠানিক। সব কথা বার্তাই 'অফ দ্যা রেকর্ড'। কিন্তু এর মধ্যেও মাশরাফির চিন্তা, চেতনা, অনুভব-উপলব্ধিটা ঠিকই প্রকাশ পেয়েছে। তার পুরটা চিন্তা জুড়ে এখন 'টিম বাংলাদেশ। কথায়-অভিব্যক্তিতে পরিষ্কার বোঝা গেল, মাশরাফি কায়মনে চাচ্ছেন এবারের বিশ্বকাপের সেরা চার নিশ্চিত করতে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একপেশে হার নিয়ে সে অর্থে হতাশা আর আক্ষেপ নেই মাশরাফির। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটির কথা যেন কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। একবার দুইবার নয়, বারবার উচ্চারিত হলো। ইস কিউইদের বিপক্ষে জিতে থাকলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগির পরও আমাদের পয়েন্ট থাকতো ৫। তাতে করে সেমিতে খেলার সম্ভাবনা থাকতো অনেক বেশি!

তবে মাশরাফির চিন্তা জুড়ে এখন ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। কথা-বার্তায় পরিষ্কার বোঝা গেল, ক্যারিবীয়দের হারাতে বিশেষ ছক কষছেন তিনি। টন্টনের মাঠের আকার ছোট। বিশেষ করে শুধু দু-দিকে বা স্কোয়ারে নয়; সামনে অর্থাৎ, লং অফ-লং অনেও অন্য আট-দশটি মাঠের চেয়ে টন্টন ছোট। এই আকারে ছোট মাঠে গেম প্ল্যান আঁটার আগে একাদশ সাজানো হচ্ছে ভালো করার পূর্বশর্ত বা প্রথম পদক্ষেপ। বাংলাদেশ দলপতির ।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ