• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

লজ্জার হার ভুলে রঙিন পোশাকে আফগানদের ‘শক্তি’র মহড়া

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৩  

সাগরিকার আকাশে এলোমেলো মেঘ। হালকা বাতাস থাকলেও সূর্যের প্রখরতা যেন চামড়া ভেদ করে শরীরের ভেতরে চলে যাচ্ছে! খোশ মেজাজে ওয়ার্মআপ শেষে রশিদ খান দুই সতীর্থকে নিয়ে চলে এলেন নেটে। মাঠের মতো অনুশীলনেও যেন বল হাতে সামনে থেকে ভূমিকা রাখার চেষ্টা।

দুই সতীর্থ মুজিব উর রহমান-মোহাম্মদ নবীকে কী যেন বুঝিয়ে দিলেন মিনিট খানেক। এরপর খালি নেটে একে একে তিনজনের হাত ঘোরানো শুরু। বলের লাইন-লেন্থ একটু ভালো হলেও তারা দিচ্ছিলেন প্রতিক্রিয়া। খালি নেটে কিছুক্ষণ হাত ঘোরানোর পর রহমত শাহরা একে একে এসে ব্যাটিং করতে শুরু করেন। ঘূর্ণিজাদুতে পরাস্ত হলেই রশিদ-মুজিবরা ছোটখাটো উদযাপনে মেতে ওঠেন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার (৩ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টা থেকে অনুশীলন শুরু হয় আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের। ওয়ার্মআপ-বোলিংয়ের আগে রশিদ প্যাড ছাড়াই কিছুক্ষণ ব্যাট হাতে নকিং করেন। এরপর শুরু হয় আনুষ্ঠানিক অনুশীলন। রশিদ-মুজিবরা এক নাগাড়ে ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে বোলিং করে যান।

রশিদ-মুজিবদের পাশের নেটে চলছিল ফজল হক ফারুকিদের পেস বোলিংয়ের মহড়া। স্বাগতিক বাংলাদেশকে যে তারা বোলিং দিয়ে আটাকাতে চাইবে তাদের অনুশীলনের প্রথম ঘণ্টায় স্পষ্ট।

ক’দিন আগেই ৮৯ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টেস্ট হারা দলটির সঙ্গে এই দলের যেনো কোনো মিল নেই। লাল বলের তুলোনায় সাদা বলকে যে তারা অন্য চোখে দেখেন তা অনুশীলননে বুঝিয়ে দিয়েছেন এক রশিদই।

রশিদ-মুজিব-নবীরা প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে যেন জ্বলে ওঠেন। তিনজনে ২৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৬ উইকেট। তিনজনের কেউই ওভার প্রতি ৩.৮৭ (নবী) রানের বেশি দেননি। সবচেয়ে কৃপণ মুজিব, তিনি দিয়েছেন ৩.৮১ রান। আর রশিদ খরচ করেন ওভার প্রতি ৩.৮৫।

ইনজুরির কারণে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না রশিদসহ একঝাঁক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সাদা বলের সিরিজ আসতেই তারা ঘোষণা করে শক্তিশালী দল। তার প্রভাব দেখা যায় অনুশীলনের প্রথম দিনে। রশিদকে দেখা গেছে বেশ সক্রিয়। বোলিং শেষে যান উইকেটের দিকে। গ্রাউন্ডসম্যানদের ডাক দিয়ে উইকেট সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং একসঙ্গে তিন ধাপে আফগানদের অনুশীলন চলে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সাদা পোশাকে ভেঙে পড়লেও অনুশীলনে শরীরি ভাষায় তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন রঙিন পোশাকে তারা সহজেই ছাড় দেবেন না। অক্টোবরে এই আফগানদের বিপক্ষেই ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।

তার আগে ঘরের মাঠে তামিম ইকবালের দলের সামনে চ্যালেঞ্জ নিজেদের শক্তিমত্তা দেখানোর। সেটা কতটা পারবে তা বোঝা যাবে ৫ জুলাই থেকে। এদিনই জহুর আহমেদে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে লড়বে দুই দল। বাকি দুই ম্যাচ হবে ৮ ও ১১ জুলাই।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ