• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

মাউশি’র আঞ্চলিক উপপরিচালকদের ক্ষমতা কমালো সরকার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির ক্ষমতা এতদিন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপপরিচালকদের হাতে ছিল। এবার সে ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এখন থেকে বেসরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক পরিচালকদের হাতে। আর উপপরিচালকরা কেবল বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করবেন।

এ নিয়ে কয়েকদিন আগে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে মাউশির আঞ্চলিক পরিচালকরা কিছু ক্ষমতা পেলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেসিপ প্রকল্পের আওতায় মাউশির আঞ্চলিক অফিসগুলোতে পরিচালক পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই পরিচালকরা এতদিন মাউশি ও মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিভিন্ন তদন্ত, পরিদর্শন করে সময় পার করতেন।

মাউশির আঞ্চলিক পরিচালকরা বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা। তারা অধ্যাপক পদমর্যাদার। অন্যদিকে, আঞ্চলিক উপপরিচালকরা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মূলত শিক্ষক হলেও এই দুই পদের কর্মকর্তাদের মধ্যে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে এক ধরনের 'ক্ষমতার দ্বন্দ্ব' চলছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্তে মূলত দু'পক্ষের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি হলো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, উপপরিচালকরা বেসরকারি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা এবং পরিচালকরা বেসরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করবেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও অনলাইনে বিতরণের বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়। এ পরিপত্রে বলা ছিল, 'সকল শিক্ষা অঞ্চলের উপপরিচালক বা অঞ্চল প্রধান বিধি-বিধান অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।' এ আদেশ জারির পর আঞ্চলিক উপপরিচালকরাই একচ্ছত্রভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করতেন। এ নিয়ে মাউশির আঞ্চলিক অফিসগুলোতে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপক অভিযোগ উঠতে শুরু করে।

নতুন পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বিতরণের বিষয়ে জারি করা পরিপত্রে 'সকল শিক্ষা অঞ্চলের উপপরিচালক বা অঞ্চলপ্রধান বিধি-বিধান অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করবেন' বিষয়টি সুনির্দিষ্ট না থাকায় এ পরিপত্র জারির তারিখ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্ট অঞ্চলের মাধ্যমিক পর্যায়ে উপপরিচালক ও কলেজ পর্যায়ে পরিচালকরা এমপিও কার্যক্রম সম্পাদন করবেন। বিষয়টি সংশোধন করে সুনির্দিষ্ট করা হলো।

অবশ্য, ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এমপিও বিতরণের বিষয়ে জারি করা আগেই ওই পরিপত্রের অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে নতুন পরিপত্রে।

বেসরকারি কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, কলেজ শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দায়িত্ব কলেজ শিক্ষকদের হাতে আসায় ভালো হয়েছে। এর আগে একজন চতুর্থ গ্রেডের অধ্যক্ষের এমপিওভুক্তি দিতেন পঞ্চম গ্রেডের একজন উপপরিচালক, যিনি প্রধানত স্কুলের প্রধান শিক্ষক। উপরন্তু কলেজের নিয়োগ, পদোন্নতি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা তাদের ভালোভাবে জানা থাকত না বলে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরা অহেতুক হয়রানির শিকার হতেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ