গাজায় বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি, উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৪
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা ও আগ্রাসনের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবনযাপনের ধরণ হয়ে গেছে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। দৈনন্দিন বর্জ্য, ত্রাণের প্যাকেট, সবই ফেলা হচ্ছে তাঁবু বা বসতবাড়ির ধারের কাছেই। এতে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে বাতাসে। বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দা আবু মোহাম্মদের তাঁবু থেকে এক দেড়শ মিটার দূরেই ময়লার ভাগাড়। সারাদিনই মাছি উড়ছে, প্রতিনিয়ত পচা দুর্গন্ধ আসে নিশ্বাসের সাথে। তিনি নিজের চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় আছেন সন্তানদের নিয়ে।
আবু মোহাম্মদ বলেন, পোকামাকড় আর দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। এই ধরনের পোকা আমরা আগে কখনো দেখিনি। আর বড় বড় মশা, দেখলেই ভয় লাগে।
তিনি জানান, গাজার পৌর কর্তৃপক্ষ আগে বেশ দায়িত্বশীল ছিলো তাই নিয়মিত বর্জ্য পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর নগর ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ভেঙে পড়ায় যেখানকার ময়লা সেখানেই পড়ে থাকছে।
আমার ছয় বছরের একটি শিশু আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এছাড়া আরও দুই সন্তান আছে। ওদের গায়ে বিভিন্নরকম চর্মরোগ হচ্ছে। কারো না কারো জ্বর লেগেই আছে। কিছুতেই সুস্থ রাখতে পারছি না ওদের।
গাজার আরেক বাসিন্দা ইউসুফ হামাদ জানান, মধ্য গাজার আল জাওয়াইদা এলাকায় এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখা যায়নি। দিনের চেয়ে রাতে ঘুমানোর সময় মশা, কীট পতঙ্গ আর দুর্গন্ধে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় তাদের।
তিনি বলেন, এতো নোংরা পরিবেশে মানুষের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব না। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ করবো তারা যেন এসে দেখে কি পরিস্থিতিতে বেঁচে আছে গাজাবাসী।
ইউসুফ জানান, পরিবেশের কারণে নানা ধরনের ঝুঁকি বাড়ছে। এই আবর্জনা রোগ বালাই বাড়াচ্ছে। তার ওপর যদি দীর্ঘদিন এসব ময়লা, পলিথিন মাটির সঙ্গে মিশতে থাকে তাহলে ভূগর্ভস্থ পানিও দূষিত হয়ে যেতে পারে। আর এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশের যে ক্ষতি হবে তা অপূরণীয় বলে মনে করছেন তিনি।
যুদ্ধ মানুষকে যতোটা কাতর করে রেখেছে, পারিপার্শ্বিক সমস্যাগুলো তুলে ধরার মানসিকতা আসলে কারোই নেই। তাই বলে এই সমস্যাগুলো সামনে আসা যে কম গুরুত্বপূর্ণ তা কিছুতেই নয়। আমাদের যা ক্ষতি হচ্ছে তা পূরণে এক যুগও যথেষ্ট নয়।
গাজায় ডায়রিয়া, কলেরাসহ পানি ও বায়ুদূষণ জনিত রোগ এখন প্রতি ঘরে ঘরে, আর এর জন্য দায়ী মূলত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পানযোগ্য খাবার পানির অভাব। এতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে পড়েছে শিশুরা।
এর আগে গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল।
ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার গাজাবাসী।
এ গণহত্যা বন্ধের আহবান জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, ইসরাইলি আক্রমণের ফলে গাজার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।
- গোপালগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- গোপালগঞ্জে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
- উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- শেখ হাসিনার আঁচলে মায়ের গন্ধ!
- জাতির পিতার সমাধিতে জাফর ওয়াজেদের শ্রদ্ধা
- দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ, এটি মিথ্যা প্রচার
- পিরামিডের রহস্য ভেদ করলো বিজ্ঞানীরা!
- জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন- ওবায়দুল কাদের
- ইন্টারনেটের গতিতে দুই ধাপ এগোলো বাংলাদেশ
- অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যের চুক্তি
- চীনের ২৬ কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশে কাজ করছে ৪৫ সংস্থা:দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
- ঝড়ে লণ্ডভণ্ড স্টেডিয়াম, ‘অনিশ্চিত’ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ
- সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- ভারতে তীর্থ থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন, নিহত ৮
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল
- নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যায় ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
- দুবাইয়ে ৫৩২ বাংলাদেশির সম্পত্তি, কী বলছে দুদক
- বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী
- নির্বাচনী ‘অস্বস্তি’ কাটিয়ে সামনে এগোনোর বার্তা ডোনাল্ড লু’র
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি তৈরি করে জিয়া: প্রধানমন্ত্রী
- নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহতের জেরে গোপালগঞ্জ উত্তাল
- জাতীয় শিশু দিবসের পুরস্কার বিতরন
- গোপালগঞ্জের হোটেল রোস্তরার খাবারের নমূনা সংগ্রহ শুরু
- বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি