• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

জেমস বন্ড: সিনেমার সঙ্গে বাস্তবতার মিল-অমিল

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২১  

জেমস বন্ড, সিনেমাপ্রেমীদের কাছে বহুল পরিচিত এক নাম। হঠাৎ পরিচালক পরিবর্তন হয়ে দীর্ঘ বিলম্বের পর রূপালি পর্দায় হাজির হচ্ছে জেমস বন্ড সিনেমা ‘নো টাইম টু ডাই’। সিরিজের ২৫তম সিনেমা এটি। এছাড়া এই সিনেমার পরই জেমস বন্ড চরিত্র থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেগ।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের ৭৭২ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘নো টাইম টু ডাই’ সিনেমাটি। সমালোচকদের প্রশংসা ও ফাইভ স্টার রিভিউ- সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

এদিকে সিনেমার গুপ্তচর নায়ক জেমস বন্ড ব্রিটেনের যে গুপ্তচর সংস্থা এমআইসিক্স-এ কাজ করেন, সেখানে তার কাজের ধারাগুলো কি কেবলই কল্পকাহিনীতে ভরা, নাকি বাস্তবে এভাবেই কাজ করে এমআইসিক্স-এর গুপ্তচররা।

 

এমআইসিক্স সংস্থার আসল নাম সিক্রেট ইন্টিলিজেন্স সার্ভিস বা এসআইএস। এমআইসিক্স হচ্ছে ব্রিটেনের বর্হিদেশীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারা গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে থাকে।

আরও পড়ুন: ৬০ বছর বয়সে অভিষেক হচ্ছে সুনীল শেঠির

এমআইসিক্স-এর এক কর্মকর্তা স্যাম (ছদ্ম নাম) বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বাস্তবের সঙ্গে এমআইসিক্স-এর সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, বন্ড সিনেমায় আমরা যে গুপ্তচরবৃত্তি দেখি, আমাদের গুপ্তচরবৃত্তি সেই রকম নয়। আমরা অনেক বেশি সমন্বিতভাবে কাজ করে থাকি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো গুপ্তচর একদম একা কাজ করছে তা খুবই বিরল। বলা যায় তা ঘটেই না। আমরা দলে কাজ করি, আমাদের আশপাশে পুরো একটা নিরাপত্তা দল থাকে।

এমআইসিক্স কী ধরনের গুপ্তচর, দেশের বাইরে কিভাবে কাজ করে- এ প্রশ্নের উত্তরে অফিসার তারা (ছদ্ম নাম) জানান, অনেক ধরনের ভূমিকায় কাজ করতে হয় আমাদের। বিদেশের মাটিতে আমাদের হয়ে যারা চরের কাজ করেন তাদের নিয়োগ করা, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, তাদের প্রতি নজর রাখা ইত্যাদি দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া আমাদের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয়। আমাদের যোগাযোগ টিম রয়েছে। যেখানেই ঘটনা ঘটছে সেখানে তীক্ষ্ম নজর রাখতে হয় আমাদের। সেখানে সবার থেকে এগিয়ে থাকতে হয় আমাদের।

তিনি আরও বলেন, আমরা কখনোই একা কাজ করি না। জেমস বন্ডের সঙ্গে আমাদের বাস্তবে এটাই বড় পার্থক্য। এখানেই এসআইএস-এর কাজের সঙ্গে বন্ডের কাজের বাস্তবিক কোনো মিল নেই। কেউ যদি আমাদের আবেদনপত্র পাঠিয়ে বলে, একটা গোয়েন্দা কাজ সে একা একা মোকাবেলা করতে চায়, কাউকে সঙ্গে নেবে না- তাহলে তার আবেদন সঙ্গে সঙ্গে নাকচ হয়ে যাবে।

এছাড়া এমআইসিক্স অফিসাররা কখনো আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখেন কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমরা হ্যা-ও বলব না, না-ও বলব না।

তবে অন্য একজন এমআইসিক্স কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একজন গুপ্তচর বন্ডের ঢং-এ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দুর্ধর্ষ কায়দায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, ভাঙচুর করে এখানে সেখানে ঢুকে পড়ছেন- এটা আমাদের কাছে একদমই অভাবনীয়। আমাদের সংস্থায় এরকম কোনো গুপ্তচর জায়গা-ই পাবেন না।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ