• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

যশোর থেকে এখন ট্রেনে কলকাতায় যাওয়া যাবে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

এখন থেকে কলকাতা-খুলনা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন যশোরে যাত্রাবিরতি করবে। আগামী ৭ মার্চ থেকে যশোর রেলওয়ে জংশনে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য ট্রেনটি তিন মিনিটের জন্য থামবে। ১ মার্চ থেকে অনলাইন, মুঠোফোনে খুদে বার্তা ও সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। আন্তর্জাতিক এ ট্রেনে যশোর স্টেশন থেকে ৭৫টি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আজ বৃহস্পতিবার যশোর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তীর কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনার মধ্যে ৪৫৬ আসনের ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামের আন্তর্জাতিক ট্রেন চালু হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনে কেবিনে সিট ভাড়া দেড় হাজার ও চেয়ার কোচ ভাড়া এক হাজার টাকা। সঙ্গে ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর। বেনাপোলে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর যাত্রীরা সরাসরি খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করতে পারে। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছেড়ে আসে আবার বিকেলে খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, শুরু থেকে গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এক বছর দুই মাসে এ ট্রেনে করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন ১৫ হাজার ৫৭৯ জন যাত্রী। এর মধ্যে কলকাতা থেকে এসেছেন ৬ হাজার ৭৪৫ এবং খুলনা থেকে কলকাতায় গেছেন ৮ হাজার ৮৩৪ জন। গতকাল এ ট্রেনে করে কলকাতা থেকে খুলনায় এসেছেন মাত্র ৭৯ জন যাত্রী।

স্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, এ ট্রেনে করে গড়ে ১০০ জনের বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে না। প্রতিবারই ট্রেনের আসন ফাঁকা পড়ে থাকে। অথচ গত এক বছরে বেনাপোল চেকপোস্ট (তল্লাশিচৌকি) দিয়ে ১০ লাখেরও বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন।

কলকাতা-খুলনা ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা এত কম কেন, প্রশ্নে রেল উন্নয়ন ও সংস্কার আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, কলকাতা-খুলনা ট্রেনে যাত্রী কম হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো, যশোরে কোনো স্টপেজ না থাকা। অথচ যশোর অঞ্চলের মানুষ কলকাতায় বেশি যাতায়াত করেন। যশোরে স্টপেজের দাবিতে রাজপথে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধনসহ রেলমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শুনেছি, যশোরে স্টপেজ করা হচ্ছে। এ জন্য সরকারকে স্বাগত। তবে আরও কিছু দাবি আমাদের রয়েছে। সেগুলো হলো-কলকাতা-খুলনা ট্রেনের ভাড়া একটু কমানো এবং সপ্তাহে অন্তত দুটি ট্রেন চালু রাখা। কারণ, ট্রেনে করে কলকাতায় গিয়ে কাজ সেরে ট্রেনে ফেরার জন্য পরের সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কাজের রুটিনের সঙ্গে ট্রেনের শিডিউল মেলে না। এ কারণে যাত্রী কম হচ্ছে। এ ছাড়া, বেনাপোল থেকে ঢাকা একটি ট্রেন চালু হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’

যশোরে যাত্রাবিরতির ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তী  বলেন, কলকাতা-খুলনা ট্রেন ৭ মার্চ থেকে যশোর স্টেশনে তিন মিনিটের জন্য দাঁড়াবে। পাসপোর্ট, ভিসা ও টিকিট দেখে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানো হবে। বেনাপোল স্টেশনে নিয়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। যশোরের জন্য ৭৫টি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুলনার ভাড়া দিয়েই ১ মার্চ থেকে যশোর থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। টিকিটের দাম কমানো হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ