• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

অনুভূতি কখনও বলে বোঝানো যায় না : বাপ্পা মজুমদার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৯  

তারকা কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। 'সত্তা' ছবির জন্য সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। সংগীত জীবনের এই অর্জন, বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে-

২০১৭ সালের 'সত্তা' ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন। এ নিয়ে আপনার অনুভূতির কথা জানতে চাই...

অনুভূতি কখনও কথায় বলে বোঝানো যায় না, এ শুধুই অনুভবের। আমিও ঠিক বলে বোঝাতে পারব না, সংগীত জীবনের এমন প্রাপ্তিতে ঠিক কতটা আনন্দিত। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণার পর থেকেই ভক্ত-শ্রোতা আর প্রিয় মানুষদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছি। এত মানুষের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। প্রথম জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি। 'সত্তা' ছবিতে শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, আমি সত্যি আনন্দিত ও সম্মানিত। এ জন্য আমি জুরি বোর্ডের সবাইকে শ্রদ্ধা জানাই।

'সত্তা' ছবিতে আপনার সুরের দুটি গানের জন্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ ও জেমসও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন। আপনি পাচ্ছেন সংগীত পরিচালকের পুরস্কার। একই ছবির গানের জন্য একাধিক পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

কোনো প্রাপ্তি একক প্রচেষ্টায় হয় না- এটা আরও একবার প্রমাণ হলো 'সত্তা' ছবির এই সাফল্যে। এ জন্য ছবির মূল মানুষ পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল, যার কারণে এই চলচ্চিত্রে আমি গান বানিয়েছি, গীতিকার সেজুল, যার কথায় ছবির প্রতিটি গান গীত হয়েছে এবং তিনি নিজেও শ্রেষ্ঠ গীতিকবি নির্বাচিত হয়েছেন, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ ও জেমস যারা নির্বাচিত হয়েছেন শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে এবং আমার সঙ্গে যারা দিন-রাত নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেই শাহান কবন্ধ, বেস গিটারিস্ট জন এস মুন্সি, লিড গিটারিস্ট মাসুম ওয়াহিদুর রহমান, স্টুডিও রেকর্ডিস্ট রুহান এবং আমার স্ত্রী, যিনি ক্রমাগত অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন, আমার বড়দা পার্থ মজুমদার, যার আশীর্বাদে আমি আজ এখানে এবং আমার স্বর্গীয় বাবা ও মা, যাদের জন্য আমি সংগীতে আছি- তাদের সবারই এই সাফল্যের পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোনো না কোনো অবদান আছে। তাদের ছোট-বড় অবদান থেকেই এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বলে আমি মনে করি।

চলচ্চিত্রে এখন থেকে নিয়মিত সংগীত পরিচালনার ইচ্ছা আছে কি?

আমার কাছে মাধ্যমের চেয়ে সৃষ্টি বড়। তাই চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা নিয়ে কখনও অনীহা ছিল না। ইচ্ছা আগেও ছিল, এখনও তা একবিন্দু কমেনি। তা ছাড়া কোনো স্বীকৃতি বা সাফল্যের কথা ভেবে আমি 'সত্তা' ছবির সঙ্গে সংগীত পরিচালক হিসেবে যুক্ত হইনি। ভালো লাগা থেকে এটা করেছি। সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও বিভিন্ন ছবিতে সংগীত পরিচালনা করব। শুধু নিজের বা বিভিন্ন শিল্পীর অ্যালবাম বা একক গানের সংগীতায়োজন করব- এটা কখনোই ভাবনায় ছিল না। কারণ সংগীত আমার পেশা, নেশা, ধ্যান-জ্ঞান সব কিছু। এ কারণেই অ্যালবাম ও চলচ্চিত্র ছাড়াও বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপনেও নিয়মিত কাজ করছি।

দলছুটের 'সঞ্জীব' অ্যালবামের 'মন দাবাড়ূ' গান প্রকাশ করে ভালো সাড়া পেয়েছেন। তারপরও পুরো অ্যালবাম এখন প্রকাশ করেননি। এর কারণ কী?

অ্যালবাম প্রকাশনা দিন দিন জটিল হয়ে পড়ছে। প্রথমত এখন ভিডিও ছাড়া গান প্রকাশ না করলে দর্শক-শ্রোতার সাড়া পাওয়া কঠিন। কিন্তু মিউজিক ভিডিও নির্মাণে যা খরচ হয়, তা ইউটিউব চ্যানেল থেকে তুলে আনা কঠিন। দ্বিতীয়ত, একজন শিল্পীকে যদি প্রতিটি গানের জন্য আলাদা ভিডিও নির্মাণের কথা ভাবতে হয়, তাহলে নিজের কাজটা নিয়ে ভাববে কখন। অনলাইনে গান প্রকাশের বিষয়টি সম্ভাবনাময় কি-না- সেটাও বুঝতে পারছি না। তাই পুরো অ্যালবাম কবে কীভাবে প্রকাশ করব, তা নিয়ে আরও একটু ভাবতে হবে। তবে ভক্তদের এটুকু আশ্বাস দিতে পারি, তাদের জন্য একটি করে একক বা ব্যান্ডের গান বিভিন্ন সময় প্রকাশ করব।

কন্যাসন্তানের বাবা হতে যাচ্ছেন। অনেকে বলেন, কন্যাসন্তান সৌভাগ্য বয়ে আনে- এটা বিশ্বাস করেন?

প্রচলিত এই কথা আগে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, যারা এ ধরনের কথা বলেন, বিশ্বাস করেন, আমিও তাদের দলের। সবার আশীর্বাদ চাই, আমার ও তানিয়ার সন্তান যেন ভালোভাবে পৃথিবীর আলোয় আসতে পারে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ