• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

এক বছরেও উদ্ধার হয়নি মেঘনায় ডুবে যাওয়া ভাসমান ওয়ার্কশপ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯  

লক্ষ্মীপুর:  লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কোটি টাকা মূল্যের ভাসমান ওয়ার্কশপটি ডুবে যাওয়ার এক বছর পার হলেও উদ্ধার করা হয়নি। এটি উদ্ধার না হওয়ায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্ক করা হচ্ছে।

 

উদ্ধারকারী দল দু’বার ঘটনাস্থলে এসে সার্ভে করে গেলেও শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ভাসমান ওয়ার্কশপটি  উদ্ধার হয়নি। গত বছর ৬ জুন সকালে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাট এলাকার মেঘনা নদীতে ওয়ার্কশপটি ডুবে যায়। দীর্ঘ সময় পার হলেও উদ্ধার না করায় পলি জমে উদ্ধার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে পারাপারে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফেরি ও লঞ্চ মেরামত করতে কোটি টাকা মূল্যের ‘এফএম কামার হাটি ঘাটি’ নামে ভাসমান ওয়ার্কশপটি এনেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০ বছর ধরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট মেঘনা নদীর তীরে রেখে ওয়ার্কশপটি মেরামত কাজে  ব্যবহার করা হতো।  ভাসমান ওয়ার্কশপটি ডুবে যাওয়ার পর থেকে বিকল হওয়া লঞ্চ ও ফেরী মেরামতে বিলম্ব হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ভাসমান ওয়ার্কশপটি ডুবে যাওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। কিন্তু উদ্ধারের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। দোতলা বিশিষ্ট এ ওয়ার্কশপটি ডুবে যাওয়া স্থানেই রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ওপর অংশ দেখা গেছে। অবহেলা ও যথাযথ উদ্যোগের অভাবে সরকারের কোটি টাকার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির লক্ষ্মীপুরের সহকারী প্রকৌশলী আবদুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, ভাসমান ওয়ার্কশপটি ডুবে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরবর্তীতে বিআইডব্লিউটিএ-এর উদ্ধারকারী দল দু’বার ঘটনাস্থলে এসে সার্ভে করে গেছে। সর্বশেষ উদ্ধার তৎপরতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে এ বিষয়ে জানেন না তিনি। বিকল্পভাবে মেরামত কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান এ প্রকৌশলী। তবে এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ-এর উদ্ধারকারী দলের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ