• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সিলেটে স্ত্রীর মস্তক বিচ্ছিন্ন করেছে স্বামী-ই

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় মস্তক। কেটে ফেলা হয় উরুর মাংস। বিচ্ছিন্ন করা হয় বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গও। এরপর মরদেহ বিবস্ত্র করে রাখা হয় হাওরের ধানক্ষেতে। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হতভাগ্য নারীর নাম স্বর্ণা সাহা ওরফে শাহনাজ।

ভালোবেসে যার হাত ধরে ধর্মান্তরিত হয়ে সংসার গড়েন শাহনাজ, সেই স্বামী-ই এ হত্যায় জড়িত। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে খুনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে স্বর্ণার স্বামী মো. মোজাম্মিল (২৪)।
 
হত্যাকাণ্ডের ১৭ দিনের মাথায় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার নিজ বুরুঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মুজাম্মিল স্থানীয় গোয়ালাবাজার দক্ষিণ কলারাই এলাকার মৃত জিলু মিয়ার ছেলে।
 
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুজাম্মিল জানায়, পারিবারিক কলহ থেকে গত ৩০ নভেম্বর রাতে কৌশলে স্ত্রীকে হাওরে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ ফেলে রাখা হয় সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা যুগনীঘর বিলের ধানক্ষেতে।
 
গত ২ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে ধানক্ষেত থেকে নারীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের সুরতহাল দেখে অনেকটা ভড়কে যান পুলিশ কর্মকর্তারাও। এর ৮ দিনের মাথায় ১০ ডিসেম্বর মস্তকটি যুগনীঘর বিল থেকেই উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
 
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মাইন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মুজাম্মিল হত্যাকাণ্ডের থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারের পর তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, স্বর্ণা সাহা ওরফে শাহনাজকে খ্রিস্টান থেকে মুসলমান করে বিয়ে করেন তিনি। তারা ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার দক্ষিণ কলারাই এলাকায় বসবাস করতেন।

‘পরিবারিক কলহের জের ধরে গত ৩০ নভেম্বর দিনগত রাতে ফুসলিয়ে কৌশলে তাকে যুগনীঘর হাওরে নিয়ে যান। সেখানে মুজাম্মিল শাহনাজকে গলাকেটে হত্যার পর মস্তক ছিন্ন করে অন্যত্র ফেলে দেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন অংশ নেন হত্যাকাণ্ডে।’  
 
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে কয়জন জড়িত তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে মুজাম্মিল সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ