বাংলাদেশের উপজাতিরা কি Indigenous নাকি Tribe?
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশের পাহাড়ি ৩-জেলায় বসবাসকারী চাকমা, মারমাসহ কয়েকটি অগ্রসর উপজাতি পাহাড়ি নিজেদের “আদিবাসি” দাবী করছে বেশ ক’বছর থেকে। এদেশের কিছু শিক্ষিত বাঙালিও বুঝে কিংবা না বুঝে উপজাতিদের “আদিবাসি” বলতে চাইছে বেআইনিভাবে। কথাটা কতটুকু যৌক্তিক আলাচনা করা যেতে পারে!
“আদিবাসি” কথাটির বাস্তবে কোন বিশ্বজনীন বা সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা বা রূপ নেই। জাতিসংঘের ফ্যাক্টশিটে আদিবাসিদের বৈচিত্র্যের কথা বিবেচনা করলেও, জাতিসংঘের কোন উপসংস্থাই এই শব্দটির কোন আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা প্রণয়ন করেনি। বিশ্বের আদিবাসি জনগণের অধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র ২০০৭ এর পর শব্দটি ব্যাপক পরিচিত লাভ করে।
বাংলাদেশের বিগত ঐতিহাসিক “পার্বত্য শান্তি চুক্তি” অনুসারে পাহাড়ের নন-বাঙালিরা নিজেদের “উপজাতি” হিসেবেই পরিচিত করেছিলেন কিংবা বলেছিলেন। যদিও এখন তারা দাবী করছে নিজেদের আদিবাসি হিসেবে। কিন্তু আমাদের উপজাতি এ জনগোষ্ঠীকে ইতিহাসের কোন সময়েই কোন ঐতিহাসিক, গবেষক বা ব্যক্তিই কখনোই “আদিবাসি” (Indigenous) বা “আদিম অদিবাসি” (Indigenous) বা “ভূমিপুত্র” (Son of the Soil) হিসেবে দাবি করেননি। যার কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেয়া হলো-
১) সতীশ চন্দ্র ঘোষ ১৯০৯ সালে প্রকাশ করেন “চাকমা জাতি (জাতীয় চিত্র ও ইতিবৃত্ত)” নামক বইটি। এই বইয়ে পার্বত্যাঞ্চলের উপজাতিয়দের “পাহাড়ী” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
২) ১৯০৬ সালে কলকাতা হতে প্রকাশিত SH হাচিনসনের “এ্যান একাউন্ট অব চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস” বইয়ে পাহাড়িদেরকে ‘ট্রাইব’ (tribe) তথা উপজাতি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে
৩) ১৯৬৯ সালে রাঙামাটি থেকে প্রকাশিত বিরাজমোহন দেওয়ানের “চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত” বইয়ে পাহাড়ের অধিবাসিদের “পাহাড়ী” এবং “উপজাতি” উভয় অভিধাতে-ই ভূষিত করা হয়েছে।
৪) শ্রী কামিনী মোহন দেওয়ান এর “পার্বত্য চট্টলের এক দীনসেবকের জীবন কাহিনী” পুস্তকে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিয়দের “পাহাড়ী” পরিচয়েই পরিচিত করানো হয়।
৫) বাংলা ১৩৯২ সালে কলকাতা হতে প্রকাশিত সিদ্ধার্থ চাকমার “প্রসঙ্গ: পার্বত্য চট্টগ্রাম” বইয়ে পাহাড়িদের “উপজাতি” হিসেবে অভিহিত করা হয়।
মানে লিখিত ইতিহাসের কোন সময়েই পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত উপজাতিয়দের স্বদেশী বা বিদেশী কিংবা উপজাতি বা বাঙালি কোন লেখকই “আদিবাসি” হিসেবে অভিহিত করেননি।
এখন আমাদের উপজাতিরা “জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র/২০০৭ ও আইএলও কনভেনশন-১৬৯” সম্পর্কে যে কথা বলেন, সে বিষয়ে আলোকপাত করলে, এ সংক্রান্ত সব সন্দেহ দূর করা সহজ হতে পারে। তবে বাংলাদেশ কিন্তু এ কনভেনশন-১৬৯ অনুমোদন করেনি। তাই আমাদের জন্য তা অবশ্য পালনীয় নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৮৯ সালের ২৭ জুন প্রবর্তিত “আইএলও কনভেনশন-১৬৯” অদ্যাবধি মাত্র ২২-টি দেশ অনুমোদন করেছে, যদিও বিশ্বে সর্বমোট দেশের সংখ্যা ২৪৭।। এশিয়ায় একমাত্র নেপাল ছাড়া অন্য কোন দেশ এটি অনুমোদন করেনি, এমনকি ভারত ও না!
২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে আদিবাসি বিষয়ক যে ঘোষণাপত্র তৈরি হয়, তাতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। অর্থাৎ তারা এ কনভেনশন মানেনা, যেমন মানেনা বাংলাদেশ এবং ভারত।
আসলে এটি বেশ জটিল কোন দেশের সার্বভৌমত্বের জন্যে। আইএলও কনভেনশন-১৬৯ এর মূল প্রতিপাদ্য অনুযায়ী কোন অঞ্চলের উপজাতি জনগোষ্ঠীই ঐ অঞ্চলের আদিবাসী হলে, এই জনগোষ্ঠীকে দেশের মূল জনগোষ্ঠী হতে “আলাদা” হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। আদিবাসিরা বসবাস করছে এমন জমির মধ্যে কোন সরকারি জমি বা খাস জমি থাকতে পারবে না। এই জনগোষ্ঠীর বাইরের কেউ এই জমির মালিক হতে পারবে না। এমনকি রাষ্ট্র কর্তৃক কোন খনিজ, গ্যাস বা প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের প্রয়োজনে তা উত্তোলন করা যাবে কিনা তার মতামত দেবে আদিবাসিরা। এমনকি আদিবাসি জনগোষ্ঠীকে দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোন শাস্তি দেয়া যাবেনা। তাদেরকে অপরাধের শাস্তিস্বরূপ দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী জেলে ঢোকানোর পরিবর্তে, তাদের নিজ নিজ গোষ্ঠীর প্রচলিত নিয়মে শাস্তি প্রদান করতে হবে। যেমন ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ৪টা মুরগি প্রদান ধর্ষিতার পরিবারকে! (হা হা হা!)!
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর যৌক্তিক স্বার্থ রক্ষা কিংবা তাদের অনুরোধ বা অনুমতি ছাড়া অথবা তারা রাজি না থাকলে রাষ্ট্র কর্তৃক ঐ অঞ্চলে কোন ধরনের সামরিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেনা। মানে সেনাবাহিনি থাকতে পারবে না ঐ অঞ্চলে। ঘোষণাপত্র অনুসারে আদিবাসি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, স্বতন্ত্র তথা “স্বায়ত্তশাসন” দিতে হবে। এমনকি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি তারা মনে করে যে, তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রে থাকবেনা বা ভারতেও যোগ দেবেনা, তবে তারা “স্বাধীন রাষ্ট্র” স্থাপন করতে পারবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে থাকলেও, তারা যে অঞ্চলে বাস করে, সেই অঞ্চলের ভূমির মালিকানা বাংলাদেশে সরকারের হবেনা এবং সে অঞ্চলে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনি তথা সেনারা কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেনা।
সার্বিক বিবেচনায় সংবিধান ও রাষ্ট্রের স্বার্থের বিপক্ষে যাচ্ছে বলেই পৃথিবীর অনেক দেশই “আইএলও কনভেনশন-১৬৯” অনুমোদন করেনি। যেমন করেনি ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের প্রতিবেশি ভারতে ৭০৫-টি স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থাকলেও, ভারত নিজের দেশে ‘আদিবাসী’ কনসেপ্ট” স্বীকার করেনা। তাই ভারত আইএলও কনভেনশন-১৬৯ অনুমোদন করেনি। বরং কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড জাতিসংঘের ২০০৭ সালের ঘোষণাপত্রের বিপক্ষে ভোট দেয়। আইএলও কনভেনশন-১৬৯ এবং জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র-২০০৭ অনুমোদন না করে বাংলদেশকে বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশের কাতারে নিজেকে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে।
এসব জেনে কিংবা না জেনে যারা আমাদের ৩-জেলার উপজাতিদের “আদিবাসি” বলতে চায়, নি:সন্দেহে তারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে। সুতরাং বাংলাদেশের সুনাগরিকদের অনুরোধ করবো, কোন কিছু বলার আগে, পোস্ট দেয়ার আগে বিষয়টি জানুন, বুঝুন তারপর কথা বলুন। আপনি কি চান বাংলাদেশেরই ৩-জেলাতে বাংলাদেশের কোন খনিজ সম্পদ বাংলাদেশ সরকার তুলতে পারবেনা! বাংলাদেশ সেনারা অবস্থান করতে পারবেনা! ওখানের কোন ভূমিতে বাঙালিরা বসবাস করতে পারবেনা! এমনকি কথিত আদিবাসিরা কোন অপরাধ করলে তার বিচার আমাদের সংবিধান অনুসারে করা যাবেনা, তা করতে হবে চাকমা বা মারমাদের লোকাল আইনে! এবং তারা ৩-জেলাকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে চাইলেও, বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ সেনারা বসে বসে আঙুল চুষবে! কিছু বলতে পারবে না! এবং এই হচ্ছে “আইএলও কনভেনশন-১৬৯” এবং “জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র-২০০৭”!
- জাতির পিতার সমাধিতে রেডক্রিসেন্টের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানেরশ্রদ্ধা
- কাশিয়ানীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে জরিমানা
- জাতির পিতার সমাধিতে আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতির শ্রদ্ধা
- গোপালগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা
- গোপালগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয়ধাপের প্রতিক বরাদ্দ অনুষ্ঠান
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধানউৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিরব্যবহার বাড়ানোহবে:পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগেরচিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে
- আইপিএলের মাঝপথে ফিরছেন মুস্তাফিজ, কত টাকা পাচ্ছেন!
- ভোটে প্রভাব বিস্তাব করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে পর্যবেক্ষক প্রায় পাঁচ হাজার
- উপজেলা ভোট: দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- প্রকাশ্যে গুলি, মডেলের মৃত্যু
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- আজ দেশে পৌঁছাবে তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন
- ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি
- ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘মিলিটারির পকেট থেকে নয়, ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ’
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতা করবে: প্রধানমন্ত্রী
- চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
- রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশী জাহাজ
- দাবদাহে তৃষ্ণার্ত পাখির জন্য সিকান্দারের ভালোবাসা
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- শৈশবের বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠলেন মাশরাফি
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’