• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর: প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের সংসদ সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‌‘যারা অল্প আসন পেয়ে অভিমান করে সংসদে আসছে না, এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। সংসদে আসলে তারা কথা বলার সুযোগ পাবে। সংসদ টিভি আছে, যা দেশের মানুষ দেখেন। এ সুযোগ তারা কেন হারাচ্ছেন- তা আমি জানি না।’ তিনি বলেন, ‘১০ বছরের উন্নয়নের সুফল জনগণ পেয়েছে। এ কারণে তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে।’

আজ বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ছোটবেলায় গ্রামে বেড়ে ওঠার স্মৃতিচারণ করে অবসর জীবন গ্রামেই থেকে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামের কাঁদামাটি মাখা পরিবেশে বড় হয়েছি।এখনো মনটা পড়ে থাকে গ্রামে। যখন অবসর নেবো, গ্রামেই থাকব।’ গ্রামের নির্মল বাতাস আর শহরের ইটকাঠের জীবনের পার্থক্য করে গ্রামকেই বসবাসের জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের উত্তরে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইজারল্যাণ্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, জাপান এবং ওআইসির নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সব গণতান্ত্রিক দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান আমাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৯৭ টা দেশ জনগণকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন।এসব বার্তা পেয়ে দেশবাসীর সঙ্গে আমিও গর্বিত ও আনন্দিত। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে তারা বাংলাদেশকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। এছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্টিত করেছে। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাবো। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত, সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব।’

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনীতি করে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে চেয়েছে। তবে আমাদের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে বারবার তা ব্যর্থ হয়েছে। কুচক্রি মহল যাতে কোনো ভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ক্ষেত্র তৈরী না করতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। দেশের সার্বিক আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর।’

সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, দেশব্যাপি সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সুৃষ্টির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সড়কে শৃঙ্খলা আনার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সড়ক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সড়ক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষে লিফলেট ও প্রচারপত্র প্রস্তুত করে বিতরণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ইশতিহারের অন্যতম বিষয় তারুণ্যের শক্তি: বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। বিগত ১০ বছর ধরে যুবকদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, তাদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ অবারিত করতে আমাদের সরকার সম্ভাব্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রশিক্ষণ, ঋণ সুবিধা, অনুদান ও কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে যুব সমাজকে শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মমূখী ও আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১টি জেলায় নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। গত ১০ বছরে ২৪ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ