সৌর সেচে ঝুঁকছে কৃষক, হাসছে ফসলের মাঠ
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২০
সৌরশক্তি নির্ভর কৃষি প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে সনাতন ধারণা। বিদ্যুতের লোডশেডিং, বাড়তি বিলের বোঝাসহ লো-ভোল্টেজের ভয়ে এখন ভীত নয় কৃষক। আর সেচ পাম্প চালাতেও হচ্ছে না ডিজেলের প্রয়োজন। সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে জমি ভেজাচ্ছে প্রয়োজন মতো। সনাতন পদ্ধতিকে পেছনে ফেলে সৌরশক্তি নির্ভর সেচ প্রযুক্তির দিকে ছুটছে এখন প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরাও। দেশের ফসলের মাঠে সৌর সেচ সফলতায় মাঠে মাঠে এখন দেখা যাচ্ছে আধুনিক এই সেচ প্রযুক্তির ব্যবহার।
জানা গেছে, বিদ্যুত এবং ডিজেল ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের মাধ্যমে সেচ দেয়া হয় অনেক এলাকায়। এতে একদিকে কৃষিপণ্য উৎপাদন খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় কৃষি জমিতে সৌরশক্তির মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে সৌরচালিত পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে দুই হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ভূ-উপরিস্থ পানিনির্ভর সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। ফলে প্রতিবছর অতিরিক্ত ১১ হাজার টন খাদ্যশস্য ও শাকসবজি উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে কৃষি সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে উপকৃত হবে ৬ হাজার ৬০০ কৃষক পরিবার।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব। কৃষকদের সুবিধার জন্য সারে ভর্তুকি দিচ্ছে। যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি দিচ্ছে। ক্ষুদ্র সেচসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে যাতে কৃষক উপকৃত হয়। যারা ফসল ফলায়, দেশকে খাদ্য নিরাপত্তা দেয়, কৃষক দরদী শেখ হাসিনা ও তার সরকার তাদের জন্য সব সময় নিবেদিত। কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মোঃ সায়েদুল ইসলাম বলেন, সূর্য থেকে প্রাপ্তির ফলে খরচ নাই। আর কৃষক সেচ ছাড়াও তার অন্যান্য গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করতে পারে। এখন তো সবখানেই বিদ্যুত আছে এর পরেও যেখানে নাই সৌর সেচের মাধ্যমে সেখানেও কৃষক উৎপাদন ধারা অব্যাহত রাখতে পারছেন। যদিও কৃষকদের চাহিদা পূরণের পর বেশি থাকে আমরা জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করতে চাই। দিন দিন কৃষকদের এ বিষয়ে আগ্রহ বাড়ছে।
জানা গেছে, সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন নামে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ৮২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ের চলমান প্রকল্পটি ২০২৩ সালের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সৌরশক্তিনির্ভর সেচ সুবিধা সম্প্রসারণসহ প্রকল্প এলাকায় আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন হবে। সৌরশক্তিনির্ভর সেচ প্রযুক্তির দিকে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে কৃষি মন্ত্রণালয়ও এগিয়ে আসে সৌরশক্তিনির্ভর সেচ কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে। আর তাই প্রকল্পের আওতায় ২০০টি সৌরশক্তি চালিত লো-লিফট পাম্প (এলএলপি) স্থাপন করা হবে। নির্মাণ করা হবে ২০০ পাম্প হাউস। চলমান এই প্রকল্পে গত বছর এক কিউসেক (দৈনিক ১০ লাখ লিটার পানি উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন) ১৫টি এবং হাফ কিউসেক ৮টিসহ মোট ২৩টি সৌরপাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সেচকৃত এলাকা ৩৫৬.৫ হেক্টর এবং নির্মাণকৃত বারিডপাম্প সেচনালা ৩৫.৫ কি.মি. রয়েছে। যেখানে সরাসরি প্রায় দুই হাজার কৃষক পরিবার উপকার পাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ সারওয়ার হোসেন বলেন, সৌরশক্তির ব্যবহার কৃষকদের মধ্যে একটা সাড়া ফেলেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিএডিসি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। করোনার একটা ধাক্কা থাকলেও কাজ থেমে নেই। কৃষক পরিবারগুলো সরাসরি উপকার পাচ্ছে, অতিরিক্ত ফসল আসবে। আমরা মনে করি এতে কৃষকদের অনেক সাশ্রয় হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, কৃষি উৎপাদনে সেচ অন্যতম প্রধান নিয়ামক। বোরো মৌসুমে মূলত বিদ্যুত ও ডিজেলচালিত গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে সেচ দেয়া হয়ে থাকে। অনেক সময় আমন মৌসুমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ায় সম্পূরক সেচের প্রয়োজন হয়। এতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বৃদ্ধিসহ বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় কৃষি ব্যয়বহুল হচ্ছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার লক্ষ্যে সেচ কাজে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহারসহ সৌরশক্তিনির্ভর সেচ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বিদ্যুতের সাশ্রয়সহ ফসলের চাষাবাদ লাভজনক করা প্রয়োজন। প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশের ৩৪টি জেলার ১৪১ উপজেলায় এ সেচসুবিধা দেয়া হবে। মূল কাজের মধ্যে রয়েছে দুই শ’টি সোলার পাম্প, ৫০টি সৌরশক্তি চালিত ড্রাগওয়েল, ৫০টি ডিপ ইরিগেশন, ১৪০ কি. মি. বারিড পাইপ সেচনালা হবে। সরকার আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০,০০০ সোলার পাম্প স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিএডিসি সৌরশক্তির সাহায্যে সেচপাম্প পরিচালনার বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইসহ পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের ভিত্তিতে ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ‘ঢাকা বিভাগে সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন কর্মসূচী’ নামে ১১টি সৌরশক্তি চালিত সেচ পাম্প (এলএলপি) স্থাপনের একটি কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে। বর্তমানে বিএডিসি বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচীর মাধ্যমে ১৭৮টি সৌরপাম্প স্থাপন করেছে। এছাড়া বিএডিসি আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশব্যাপী ১০০০টি সৌরশক্তি চালিত সেচ পাম্প স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। বিএডিসি, ইডকল, বিএমডিএ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪৫০টি সৌরপাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৌরশক্তির মাধ্যমে সেচযন্ত্র পরিচালনা করা হলে শুষ্ক মৌসুমে বিদ্যুত ও ডিজেলের বাড়তি চাহিদা অনেকাংশে দূর করার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ হতে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে যখন মাঠে ফসল থাকবে না তখন এই সৌরবিদ্যুত দ্বারা ধান মাড়াই, ধান ভাঙ্গানো, ব্যাটারি চার্জসহ গৃহস্থালী কাজেও ব্যবহার করা যাবে। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সেচে বিদ্যুত সাশ্রয়সহ ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ওপর চাপ কমবে, যা পরিবেশের ভারসাম্য উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া বিদ্যুতের অভাবে সেচ কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে এমন এলাকায়ও সেচ কার্যক্রম পরিচালিত করা যাবে।
জানা গেছে, বিদ্যুতবিহীন চর অঞ্চলে সৌরশক্তির ব্যবহার কৃষিতে পরিবর্তন এনেছে। বিএডিসি রংপুর বিভাগের চর অঞ্চলে মোবাইল সৌর প্যানেল ও পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে সেচ কাজ পরিচালনা করছে। এছাড়া বিএডিসি ডাগওয়েলে প্যানেল আকারে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে কূপ থেকে পানি উত্তলন করে ডিপ ইরিগেশন পদ্ধতিতে সবজি ও ফুলের চাষে যশোর ও শেরপুর জেলায় ব্যাপক সারা ফেলেছে।
- জাতির পিতার সমাধিতে রেডক্রিসেন্টের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানেরশ্রদ্ধা
- কাশিয়ানীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে জরিমানা
- জাতির পিতার সমাধিতে আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতির শ্রদ্ধা
- গোপালগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা
- গোপালগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয়ধাপের প্রতিক বরাদ্দ অনুষ্ঠান
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধানউৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিরব্যবহার বাড়ানোহবে:পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগেরচিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে
- আইপিএলের মাঝপথে ফিরছেন মুস্তাফিজ, কত টাকা পাচ্ছেন!
- ভোটে প্রভাব বিস্তাব করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে পর্যবেক্ষক প্রায় পাঁচ হাজার
- উপজেলা ভোট: দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- প্রকাশ্যে গুলি, মডেলের মৃত্যু
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- আজ দেশে পৌঁছাবে তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন
- ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি
- ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘মিলিটারির পকেট থেকে নয়, ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ’
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতা করবে: প্রধানমন্ত্রী
- চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
- রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশী জাহাজ
- দাবদাহে তৃষ্ণার্ত পাখির জন্য সিকান্দারের ভালোবাসা
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- শৈশবের বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠলেন মাশরাফি
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’