• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

‘এরশাদকে স্বৈরাচার বললে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০১৯  

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে আওয়ামী লীগের কেউ স্বৈরাচার বললে জাতীয় পার্টির নেতাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, আমার নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সবসময়ই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী হাসিনাও সবসময় এরশাদকে বড় ভাই হিসেবে সম্মান করেন। ২০০৬ সালে পল্টন ময়দানে মহাজোটের সমাবেশে এরশাদের উপস্থিতির পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উৎসাহ তৈরি হয়েছিলো সেটা আমার এখনও মনে আছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সবসময়ই তার পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছেন। কিন্তু এই সংসদে সরকারি দলের কিছু সদস্য এরশাদকে স্বৈরাচার আখ্যায়িত করে বক্তব্য দেন। তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সরকারি দলের বন্ধুদের কাছে এটা আশা করি না।

তিনি বলেন, সংসদে সরকারি দলের কিছু সদস্য একটি বিশেষ দলের নেতানেত্রীদের নিয়ে সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এই বিশেষ দলটিকে জনগণ বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে। অফিসে বসে প্রেস কনফারেন্স ছাড়া সেই দলের আর কোনো কাজ নেই। অথচ সরকারি দলের কোনো কোনো সদস্য সংসদে ওই দল নিয়ে বক্তব্য দিয়ে তাদের প্রচার কাজ ভালোভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দলটি বারবার আন্দোলনের ডাক দিয়েও জনগণের সাড়া পায়নি। জনগণের করের টাকায় পরিচালিত সংসদে দলটির সমালোচনা করে প্রচারে আনার কোনো মানে হয় না।

সরকারের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বাবলা বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলে দেশের ১৭ কোটি মানুষ ঘুমাতে পারেন। তবে শুধু উন্নয়ন করলেই হবে না, সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ