• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

রেলক্রসিং যেনো মৃত্যুফাঁদ, নেই কোনো গেট ও গেটম্যান

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২  

গোপালগঞ্জে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ অরক্ষিত রেল ক্রসিং। জেলার ৪৪ কিলোমিটার রেলপথ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য রেলক্রসিংয়ের মৃত্যুফাঁদ। যেখানে নেই কোনো গেট ও গেটম্যান।

সর্বশেষ গত ২১ জুলাইর কয়েকটি মৃত্যু এই ভয়াবহতাকেই প্রকট করে তুলেছে। এইদিন ২৪ ঘণ্টায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে কাশিয়ানীতে ওড়াকান্দি ইউনিয়নের কামারোল এলাকায় রেল লাইন পার হবার সময় রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাঁটা পড়ে আবু তালেব মোল্লা (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন। একই দিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের কাঠামদরবোস্ত (কাগদী) রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে সুজয় মৃধা (৩৫), পরিতোষ দাস (৩০), অমৃত বিশ্বাস (৩৫), হিরামন বিশ্বাস (৪৫) ও রাজ্জাক সিকদার (৪০) নামে ৫ শ্রমিক নিহত হন।

কাশিয়ানী উপজেলার কাঠামদরবস্ত গ্রামের হাসান খান বলেন, এ রেল ক্রসিং-এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ রেল ক্রসিংয়ে কোনো গেট ও গেটম্যান নেই। ফলে ট্রেন চলাচলের সময় আমাদের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার হতে হয়।

জানাগেছে, কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেললাইন প্রকল্প ২০১১ সালে পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হয়। কাশিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত রেললাইনে ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হয় এই রেলপথের কাজ। ২ হাজার ১১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেললাইনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মধুমতি নদীর উপর একটি রেলসেতু, ৬টি রেলস্টেশন, ৪৩টি কালভার্ট নিয়ে তৈরি এই রেলপথ।

আর এ ৪৪ কিলোমিটার রেলপথ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য রেলক্রসিং। তবে এর বেশির ভাগ রেল ক্রসিংই অরক্ষিত। এসব রেল ক্রসিংয়ে নেই গেট আর গেটম্যান। ফলে রেললাইন পার হতে গিয়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। সেই সাথে অবৈধ যান চলাচলও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, রেল দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ নজরদারী না থাকা। রেল পুলিশে লোকবল না থাকায় এই নজরদারি করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই সাথে এ রেল ক্রসিংয়ে কোন গেট ও গেটম্যান না থাকাও একটি অন্যতম কারণ।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ