গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৩টি স্থান সংরক্ষণ
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২২
নতুন প্রজম্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা জানান দিতে গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৩টি ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ করেছে সরকার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ( এলজিইডি) মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ওই ৩ স্থানে ২ টি স্মৃতিসৌধ ও ১ টি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করেছে। গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের গণকবর, বধ্যভূমি, যুদ্ধক্ষেত্রসহ মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ পর্যায়ক্রমে গোপালগঞ্জ এলজিইডি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে । এর মধ্য দিয়ে নতুন প্রজম্ম মুক্তিযুদ্ধে জাতির সূর্য সন্তানদের অবদানসহ সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক বলেন, প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় কোটালীপাড়ায় হেমায়েত বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘর, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামে গণহত্যার স্মৃতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা লঞ্চঘাট যুদ্ধক্ষেত্রে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করেছি। পর্যায়ক্রমে জেলার ৫ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের সব ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ করা হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার শেখ লুৎফর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশর মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মস্থান। ৭১ এ বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। হানাদার বাহিনীকে হটাতে এ দেশে পৃথক পৃথক বাহিনী গঠিত করা হয়েছিলো । ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চল নিয়ে “হেমায়েত বাহিনী” গঠন করা হয়। আমরা হেমায়েত বাহিনীর অধীনে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর সাহসিকতা ও জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করার কথা জানান দিতে সরকার হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি জাদুঘর করে দিয়েছে। এটি আমাদের পরম পাওয়া। এ জন্য আমরা এ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর ৩ টি লঞ্চে করে হানাদার বাহিনী কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পে যায়। তারা সেখান থেকে এ পথেই ফিরবে বলে আমরা জানতে পারি। তাদের লঞ্চে আক্রমন করতে আমরা পরিকল্পনা করি। ৩১ অক্টোবর হানাদার বাহিনীর ৩টি লঞ্চ ফুকরা লঞ্চঘাট অতিক্রম করার সময় আমরা লঞ্চে আক্রমণ করি। এখানে হানাদার বাহিনীর সাথে আমাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর একটি লঞ্চ মধুমতি নদীতে ডুবিয়ে দেয়। এতে ১৫০ জন হানাদার বাহিনীর সদস্যের সলিল সমাধিঘটে। খবর পেয়ে ফের এক লঞ্চে হানাদার বাহিনী এসে আমাদের পেছন দিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। ৫ ঘন্টাব্যাপী চলা এ যুদ্ধে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। হানাদার বাহিনীর ১৫/২০ জনের মতো মারা যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হানাদার বাহিনী গ্রামে ঢুকে ৫০ জন নীরিহ মানুষকে হত্যা করে। এখানে আমরা স্মৃতিসৌধ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করি। সরকার সে আবেদনে সাড়া দিয়ে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করে দিয়েছে। এতে করে প্রজম্মের পর প্রজম্ম মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথার সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
গোপালগঞ্জের মানিকহার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বলরাম ভদ্র বলেন, সদর উপজেলার মানিহার গ্রামে ৩০ এপ্রিল হানাদার বাহিনী নীরিহ গ্রাম বাসীর ওপর বর্বরোচিত হামলা করে। তারা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ( সাবেক কায়েদে আজম মেমোরিয়াল কলেজ) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক সন্তোস কুমার দাসসহ সাড়ে ৪ শ’ গ্রামবাসীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবুল কালাম উজির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে স্বাধীনতা সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণ করছে। এতে করে নতুন প্রজম্ম বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথার সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- আম দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- বিশ্বনেতাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- ভারতের ৫২৭ খাদ্যপণ্যে বিষ : ইউরোপে নিষিদ্ধ
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেনজীর আহমেদের সম্পদের তথ্য চাইল দুদক
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা - এআই নীতিমালা
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ - তীব্র গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন
- তাপপ্রবাহ : গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- কলকাতায় হিরো আলমকে সংবর্ধনা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’