• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

হুইল চেয়ারে করে নিজেই বিদ্যালয়ে আসতে পারবো

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৩  

মা কাজ ফেলে প্রতিদিন কোলে করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতো। আর ক্লাস শেষে আবার কোলে করে বাড়ি নিয়ে যেতো। কিন্তু এখন মা কে কষ্ট করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে হবে না। হুইল চেয়ারে করে নিজেই বিদ্যালয়ে আসতে পারবো। 

হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দিত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঘোপেরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আজমাইন খান। 

শুধু আজমাইন নয় উপজেলার আরও চার বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি প্রকল্পের আওতায় হুইল চেয়ার পেয়ে খুবই খুশি।

আজমাইনের পিতা জিকরুল খান বলেন, ছেলেটি হাঁটতে না পারায় প্রতিদিন সকালে কোনরকমে রান্না করে স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। ক্লাস শেষ করে আবার ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসে। দুই ব্যাংক থেকে মোট ১ লক্ষ টাকা কৃষিঋণ নিয়ে ছেলেকে চিকিৎসা করিয়েছি। ছেলের চিকিৎসার পরে একটা হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সামর্থ্য আমার ছিলো না। সরকার থেকে একটা হুইল চেয়ার দেয়ায় অনেক উপকার হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কেরাইলকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে হুইল চেয়ার উপহার দেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার।

এসময় গোপালগঞ্জ জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যারতন বিশ্বাস, জীবনকৃষ্ণ চৌকিদার, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়া প্রমূখ।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন,  অনেক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী খুবই মেধা সম্পন্ন। কিন্তু দারিদ্র্যতা সহ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারনে তারা বিদ্যালয়ের গন্ডি পার হতে পারে না। আর একটা হুইল চেয়ারের জন্য কোন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বন্ধ না হয় তাই তাদের হুইল চেয়ার উপহার দেয়া হয়েছে। এখন তারা কারো সহযোগিতা ছাড়াই বিদ্যালয়ে এসে সুন্দরভাবে পড়াশোনা করতে পারবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ