• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

শিক্ষার মানোন্নয়ন না হলে শুধু বদলি নয় কঠোর ব্যবস্থা: মাউশি ডিজি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৪  

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, ‌‘শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলি নয়, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছিলেন সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান পড়ে যাবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নষ্ট হওয়ার পেছনে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ রয়েছে। এটা কা না। নিজের মনে করলে ইচ্ছা থাকলেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখা যায়।’

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উচিত ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করা। স্কুলগুলো চলছে কি চলছে না, ক্লাস চলছে কি না, শিক্ষার্থীরা ঠিক মতো ক্লাসে আসে কি না তা খতিয়ে দেখা। আমাদের শিক্ষকরা তো এমন ছিল না। পরিষ্কার কথা আগামী দুই মাস দেখা হবে, এর মধ্যে উন্নতি না হলে কে কোথায় বদলি হবেন আমি জানি না।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রবীণ সদস্য শেখ কবির হোসেন বলেন, সার্টিফেকেটের জন্য পড়ালেখা না করে মানুষ হওয়ার জন্য পাড়ালেখা করতে হবে। পড়ালেখার মানোন্নয়নে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ জেলার মধ্যে ভালো করছে। আরো ভালো করতে হবে। পড়ালেখা মনোযোগ দিয়ে করলে জীবন মান উন্নয়ন হবে। 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের শিক্ষার মান নেমে যাওয়ার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তার উদাসীনতা, প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা ও পরীক্ষায় আসদুপায় অবলম্বনকে দায়ী করেন। তিনি বিদ্যালয়গুলোতে মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সেনেরচর-বাশুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার মান নেমেছে এটি জলজ্যান্ত সত্য। শিক্ষা প্রদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। অধিকাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে না। তাই শিক্ষার মান নেমে যাচ্ছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমি এই উপজেলায় গত বছর যোগ দিয়েছি। শিক্ষার মান বাড়াতে এসএসসি ও এইচএসসিসহ সব পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রতিরোধ করেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্লাস মনিটরিংসহ অন্য সব বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুন্সি আতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. গোলাম কবির, পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহাবুব আলী খান উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা ৫০ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন। একই সঙ্গে তারা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ