• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

এক নজরে আওয়ামী লীগের ২০ সম্মেলন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে জন্ম নেয় দলটি। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দলের নামকরণ করা হয়েছিলো পূর্ব পাকিন্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে ১৯৫৫ সালের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উপর ভিত্তি করে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিন্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটির ২০টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে স্বাধীনতার আগে আটটি ও স্বাধীনতার পরে ১২টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন প্রয়োজনে দলের আরও সাতটি বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে,বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা সর্বাধিক আট বার দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু টানা চার বার দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি চার বার সাধারণ সম্পাদক এবং প্রতিষ্ঠার সময়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, অন্যান্য সভাপতির মধ্যে আবদুল হামিদ খান ভাসানী চার বার, এইএচএম কামারুজ্জামান দুবার এবং আব্দুর রশীদ তকর্বাগীশ ও আব্দুল মালেক এক বার করে সভাপতি নির্বাচিত হন। এদিকে সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছাড়া জিল্লুর রহমান পাঁচ বার, তাজউদ্দিন আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুবার এবং শামসুল হক, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও আবদুল জলিল এক বার করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

প্রথম সম্মেলন: ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার কেএম দাশ লেনের কেএম বশির হুমায়ূনের বাসভবন রোজ গার্ডেনে মুসলিম লীগের খাজা নাজিমউদ্দিন ও অফিসিয়াল নেতৃত্বের বিরোধী গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল অংশটি গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন আয়োজন করে। আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এই কর্মী সম্মেলনের প্রথম দিনেই একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল, ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’এর জন্ম হয়। প্রতিনিধিদের সমর্থনে গঠিত হয় ৪০ সদস্যের সাংগঠনিক কমিটি। এই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান।

দ্বিতীয় সম্মেলন: ১৯৫৩ সালের ৩ থেকে ৫ জুলাই মুকুল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনেও সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা ভাসানী। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। ওই বছরের ১৪ ও ১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের আরো একটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এই কাউন্সিলে যুক্তফ্রন্টে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ও ২১-দফা অনুমোদন হয়।

তৃতীয় সম্মেলন: ১৯৫৫ সালের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর রূপমহল সিনেমা হলে তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, জোট নিরপেক্ষ স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ এবং অবিলম্বে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের ওপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগকে একটি অসাম্প্রদায়িক দলে পরিণত করার লক্ষ্যে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ রাখা হয়। এ সম্মেলনে প্রথমকবারের মত পাঁচজন নারীও অংশ নেন। এ সম্মেলন পুনরায় নির্বাচিত হন মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

চতুর্থ সম্মেলন: ১৯৫৭ সালে চতুর্থ সম্মেলনের আগে দলের মধ্যে বিভক্তির পর আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন মাওলানা ভাসানী। ১৩ জুন আরমানিটোলার নিউ পিচকার হাউজে এবং পরদিন গুলিস্তান সিমেনা হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রতিনিধি ছিল আটশত জন। এ প্রতিনিধিদের ভোটে মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

পঞ্চম সম্মেলন: ১৯৬৪ সালের ৬ থেকে ৮ মার্চ ঢাকার হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ৫ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দলের সভাপতি মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খান। এই কাউন্সিলে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ ও শেখ মুজিবুর রহমান পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ষষ্ঠ সম্মেলন: ১৯৬৬ সালের ১৮ থেকে ২০ মার্চ হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত হয় দলটির ষষ্ঠ সম্মেলন। এটি ছিল আওয়ামী লীগের জন্য আরো একটি ঐতিহাসিক সম্মেলন। এই সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে পুস্তিকাকারে ছয়-দফা বিতরণ করা হয়। কাউন্সিল ৬-দফা অনুমোদন করে। কাউন্সিলে মওলানা তর্কবাগিশ অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ‘সভাপতির পদ পাওয়ার আশায়’ সালাম খান দলে থেকে যান এবং ৬-দফার পক্ষে বক্তৃতা দেন। পরে তিনি ৬-দফার বিরোধিতা করেন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। আর প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমেদ। এতে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৪৩ জন।

সপ্তম সম্মেলন: ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে আটক তখন অনুষ্ঠিত হয় দলের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন। ১৯ থেকে ২০ অক্টোবর হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রায় এক হাজার চারশত ৫৩ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট এতে অংশ নেন। এতে আবার শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হন।

অষ্টম সম্মেলন: স্বাধীনতার আগে ১৯৭০ সালের ৪ ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের অষ্টম সম্মেলন। হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১১৩৮ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। এই কাউন্সিলটি ছিল উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটি মিলন মেলা। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সম্মেলনের মাধ্যমে ছয় দফা ও ১১ দফা গ্রহণ করে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নেয়। এই কাউন্সিলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় এবং ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে নির্বাচনকে একটি গণভোট হিসেবে গ্রহণ করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

নবম সম্মেলন: স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৭ ও ৮ এপ্রিল ১১২, সার্কিট হাউজ রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের নবম জাতীয় সম্মেলন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য শপথ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এটি। কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সভাপতি এবং জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

দশম সম্মেলন: ১৯৭৪ সালের ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু এক দীর্ঘ নীতি-নির্ধারণী ভাষণ দেন। এই কাউন্সিলেই এএইচএম কামারুজ্জামানকে আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যগণ দলের কর্মকর্তা পদে থাকতে পারবেন না বিধায় বঙ্গবন্ধু সভাপতি পদ ত্যাগ করেন। সৃষ্টি হয় গণতন্ত্র চর্চায় নতুন ঐতিহ্য। এই সম্মেলনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেষ সম্মেলন।

একাদশ সম্মেলন: দশম সম্মেলনের পরই ঘটে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিহত হন সপরিবারে। সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে। ১৯৭৫-এর ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে নিহত হন আওয়ামী লীগের চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং এম মনসুর আলী। দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুঃসময় এসে হাজির হয়। ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি জারি করা হয়। ৩০ জুলাই ঘরোয়া রাজনৈতিক তৎপরতার শুরু করার অনুমতি দেওয়া হলে ২৫ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় মহিউদ্দিন আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাজেদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এমন একটি পরিস্থিতিতে ১৯৭৭ সালের ৩ থেকে ৪ এপ্রিল হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে দলের ১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউন্সিলর ছিলেন প্রায় এক হাজার ৪০০ জন এবং ডেলিগেটও সমসংখ্যক ছিল। এতে দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন।

দ্বাদশ সম্মেলন: ১৯৭৮ সালের ৩, ৪ ও ৫ মার্চ তিন দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় এই ১২তম জাতীয় সম্মেলন। ৩ থেকে ৫ মার্চ হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে প্রায় এক হাজার ৫০০ কাউন্সিলর এবং সমসংখ্যক ডেলিগেট নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলনটি। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন আবদুল মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আবদুর রাজ্জাক।

ত্রয়োদশ সম্মেলন: ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের তিন দিনব্যাপী দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এই কাউন্সিলে দলে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ এবং দলকে আরো শক্তিশালী ও সংহত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আবদুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হন। এই কাউন্সিলেই প্রথম গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক ‘সভাপতিমণ্ডলী’ গঠিত হয়।

চতুর্দশ সম্মেলন: ১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কতিপয় নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করলে সাজেদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং দল ত্যাগকারীদের বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের ১৪ তম জাতীয় সম্মেলন। এতে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ছিল প্রায় চার হাজার। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

পঞ্চদশ সম্মেলন: এরপর ১৯৯২ সালের ১৯ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের ১৫তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলের দ্বিতীয় দিন ২০ সেপ্টেম্বর নতুন অর্থনৈতিক নীতিমালার আলোকে দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের সংশোধনী সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। এ সম্মেলনে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ দুই থেকে বাড়িয়ে তিন বছর মেয়াদী করা হয়। এতে কাউন্সিলর ছিল প্রায় দুই হাজার ৫০০ ও ডেলিগেটও ছিল সম সংখ্যক। এতে শেখ হাসিনা সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ষোড়শ সম্মেলন: ১৯৯৭ সালের অনুষ্ঠিত ১৬ তম জাতীয় সম্মেলন আওয়ামী লীগের জন্য বিশেষ গুরুত্বের। কারণ প্রায় ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সম্মেলন। ৬ থেকে ৭ মে আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে কাউন্সিলর ছিল দুই হাজার ৫১৬ এবং ডেলিগেটও ছিল সমসংখ্যক। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও জিল্লুর রহমান।

সপ্তদশ সম্মেলন: ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৭তম জাতীয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। কাউন্সিলের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। নির্বাচিত হয় নতুন নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হন মো. আবদুল জলিল।

অষ্টাদশ সম্মেলন: ২০০৭ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে দলটি। এরপর ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় দলটির ১৮তম জাতীয় সম্মেলন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দলের নেতৃত্বে বেশকিছু পরিবর্তন হয়। দল থেকে বাদ পড়েন এক এগারো সময়ের বিতর্কিতরা। এ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

উনবিংশ সম্মেলন: ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ১৯তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। একদিনের এই কাউন্সিলে ঘোষণাপত্রের সংশোধনী গৃহীত হয়। এবার গঠনতন্ত্রে কোনো সংশোধনী আনা হয় নি। কাউন্সিলে মূলত পূর্বতন কমিটি বহাল থাকলেও কিছু কিছু পদে পরিবর্তন হয়। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

বিংশ সম্মেলন: ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ