• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

হাজরে আসওয়াদ দেখতে কেমন?

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২১  

বামে উচ্চ প্রযুক্তিতে তোলা ছবি, ডানে সাধারণত যেমন দেখা যায়

প্রথমবারের মতো উচ্চ প্রযুক্তিতে তোলা হয়েছে পবিত্র মক্কা নগরীর কাবা শরীফে স্থাপিত কালো পাথর নামে পরিচিত ‘হাজরে আসওয়াদ’-এর ছবি। তাতেই বোঝা গেল, এর প্রকৃত রং-রূপ। সোমবার সৌদি কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় খবরটি জানায়। 

৪৯ হাজার মেগাপিক্সলের এ ছবি তুলতে ও প্রক্রিয়াজাত করতে সময় লেগেছে ৫০ ঘণ্টা।

ফোকাস স্টাকিং পদ্ধতিতে ছবি তোলা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ফোকাস পয়েন্ট থেকে তোলা ছবি জোড়া লাগিয়ে সম্পূর্ণ রূপ দেওয়া হয়।

পাথরটির মোট ১ হাজার ৫০টি ছবি তোলা হয়েছে। যার প্রতিটি ১৬০ গিগাবাইটের। আর ছবি তোলা হয়েছে সাত ঘণ্টাব্যাপী।

এ ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ ও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে সিএনএনকে জানান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আফিফি আল-আকিতি।

তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে এটা আসলে কালো নয়। আর প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ফটোর মাধ্যমে পাথরটি আরও পরিষ্কারভাবে দেখা গেল।

ইসলামের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হলো মক্কা। সপ্তম শতকের শুরুর দিকে এখানেই মহানবী (সা.) আল্লাহর বাণী লাভ করেন। সেখানে আছে পবিত্র তীর্থ কাবা শরীফ।

কাবার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি খাঁটি রূপার ফ্রেমে হাজরে আসওয়াদ লাগানো আছে। চতুর্ভূজ আকৃতির এই স্থাপনা হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার ছেলে হযরত ঈসমাইল (আ.) নির্মাণ করেন। হজের সময় তীর্থযাত্রীরা এই স্থাপনার চারদিকে প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তারা হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ বা চুম্বন করেন থাকেন।

বলা হয়ে থাকে, পাথরটি একসময় সাদা ছিল। কিন্তু মানুষের স্পর্শ ও খোদার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কারণে কালো হয়ে গেছে। যা মানুষের পাপকে প্রতিফলিত করছে। এমনটা বলেন আল-আফিতি। তার মতে, নতুন এ ছবি থেকে বোঝা যায় ধর্মে বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

মুসলিম ঐতিহ্যে প্রথম মানব হযরত আদম (আ.)-এর সময়কালের বলে কালো পাথরের উল্লেখ করা হয়। আবার অন্য সূত্র বলে, হযরত ইব্রাহিম (আ.) কাবা নির্মাণকালে ফেরেশতা জিবরাইলের মাধ্যমে পাথরটি পান। অবশ্য অনেক বিজ্ঞানী একে উল্কাপিণ্ড বলে উল্লেখ করেন।

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.) অনুসারীদের বলেছিলেন, তিনি মুহাম্মদ (সা.)-কে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করতে দেখেছিলেন। সেই ঐতিহ্য এখনো চলমান।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ