• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কোটালীপাড়ায় নিজ উদ্যোগে ‘লকডাউন’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০  

বাড়ির আসা-যাওয়ার পথের সামনে বাঁশের বেরিকেড দেওয়া। তাতে একটি সাইবোর্ড ও একটি লাল পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, বাড়ি ‘‘লকডাউন, দয়া করে কেউ আসা-যাওয়া করবেন না। সৌজন্যে ভিপি লিটন শেখ।’’

এমন বাঁশের বেরিকেডে আটকা পড়েছে অর্ধশতাধিক বাড়ি। প্রশাসন এখনও গোপালগঞ্জের কোথাও লকডাউন না করলেও কোটালীপাড়া উপজেলার তাড়াশী গ্রামে করোনাভাইরাস আতঙ্কে নিজেদের উদ্যোগে অর্ধশতাধিক বাড়িতে আসা-যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সারা দেশের মতো গোপালগঞ্জের হাট-বাজার, মার্কেট ও দোকান বন্ধ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনতা সৃষ্টি করতে নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এতে সেনা সদস্যরাও সহযোগিতা করছে।

নিজেদের উদ্যোগে কোটালীপাড়া উপজেলার তাড়াশী গ্রামের তিনটি পয়েন্টে বাঁশের বেরিকেড দেওয়া হয়েছে।

যুবলীগ নেতা ও শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি লিটন শেখের নেতৃত্বে বেড়িকেড দেওয়া হয়। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে নিজ উদ্যোগে বাড়ি বা এলাকায় মানুষের আসা-যাওয়া নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ইস্রাফিল শেখ বলেন, ‘‘আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। সবখানে মানুষের অবাধে ঘোরাফেরা চলছে। যে কারো মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। সেজন্য আমার বাড়িতে বেরিকেড দিয়েছে।’’

একই গ্রামের সাগর শেখ বলেন, ‘‘যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে, এতে আমরা আতঙ্কিত। যে কারণে লিটন শেখের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আমার বাড়িতে বেরিকেড দিয়েছি।’’

জামাল শেখ ও ওহাব শেখ বলেন, তাদের বাড়িতে সবাইকে আসতে নিষেধ করেছেন।

ভিপি লিটন শেখ বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে গ্রামের তিনটি পয়েন্টে বাঁশের বেরিকেড দিয়ে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন। মানুষকে অন্যের বাড়িতে না যাওয়ার জন্য বলছেন।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, তাদের পক্ষ থেকে এখনো এলাকা লকডাউন করার পরিকল্পনা নেই। তারা এটা নিজেদের উদ্যোগে করেছেন।

মানুষ যাতে ঘরে থাকে, সেই বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ