তিস্তা নদী পানিশূন্য!
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
তিস্তা নদীর উজানে ভারত গজল ডোবার বাঁধ নির্মাণ করায় এবং পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে না পারায় ধীরে ধীরে তিস্তা নদী পানিশূন্য কংকালসার নদীতে পরিণত হয়েছে। ফলে তিস্তা নদীতে বর্ষা মৌসুমে পানির দেখা মিললেও শুকনো মৌসুমে থাকে হাঁটু পানি আর কেবল ধূ-ধূ বালুচর।
‘তিস্তা নদীর কতা কী আর কমো বাহে, কয়মাস আগেও তিস্তা হামার বাড়িঘর ভাঙ্গিল, বর্ষাকালে তিস্তার ঢেউয়ের পানিত হামার কইলজ্যাত পানি থাকে নাই আর এলা সেই তিস্তার নিজেরেই বুকোত পানি নাই, চাইরোপাকে খালি ধ্বস-ধ্বসা বালা আর বালা (বালু), তোমরায় দেখো উজান-ভাটি শুধু চর আর চর, পুলের গোরত (ব্রিজের নিচে) অল্প একনা ঘোলা পানি, মাছের তো দেখা সাক্ষাৎ নাই, তিস্তা দেখিয়া এলা মনে হয় তিস্তা এলা একনা মরা নদী।’ আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বললেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের জাহেদুল ইসলাম ও নিজপাড়া গ্রামের আব্দুল আউয়াল।
নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ‘প্রমত্তা তিস্তানদী’ পানির অভাবে জীর্ণদশায় ভুগছে। যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ভারত গজল ডোবার বাঁধ নির্মাণ তিস্তা নদীর উজানে করায় এবং পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে ব্যর্থ হওয়ায় ধীরে ধীরে তিস্তা নদী পানিশূন্য কংকালসারে পরিণত হয়েছে। ফলে তিস্তা নদীতে বর্ষা মৌসুমে পানির দেখা মিললেও শুকনো মৌসুমে থাকে হাঁটু পানি আর কেবল ধূ-ধূ বালুচর।
ভারতের গজল ডোবার দো-মোহনী থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার সীমান্তের ঝড় সিংহেশ্বর দিয়ে প্রবেশ করেছে বাংলা দেশের অন্যতম প্রধান নদী তিস্তা। দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বুক চিরে এঁকে বেঁকে চলা তিস্তা নদীর বিসর্জন হয়েছে ব্রক্ষপুত্র নদে। তিস্তার এই প্রবাহ ধারা বাংলাদেশে বিস্তৃত রয়েছে ১শ ১৫ কিলোমিটার।
বিশাল এ তিস্তা নদীর শাখা নদীও রয়েছে অনেক। তারমধ্যে করতোয়া, মরাস্বতী, ছোট তিস্তা, বুড়ি তিস্তা। এখন এ নদীগুলোও পানিশূন্য। কিন্তু তিস্তা নদী বর্ষায় সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করে।এলোমেলোভাবে ভাঙ্গতে থাকে বসত ভিটা, ফসলী জমি। এর থেকে পরিত্রাণ পায় না রংপুর বিভাগের ৫ জেলার লাখো তিস্তা পাড়ের মানুষ।
এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৭ সালে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ-ভারত তিস্তা পানি চুক্তিতে বসে সিদ্ধান্ত হয় তিস্তার পানি ৩৬ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ আর ৩৯ শতাংশ পাবে ভারত। বাবি ২০ শতাংশ পানি নদী সংরক্ষণের জন্য রাখা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে ভারত গজল ডোবায় বাঁধ নির্মান করে পানি প্রবাহ প্রতিরোধ করছে।
তিস্তার তলদেশে অজস্র পাথর, নুড়ি, বালি আর পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে তিস্তার পানি আছড়ে পড়ে নদীর দুই ধারে। যার কারণে প্রতিবছর অন্তত ২০ হাজার মানুষ হয় গৃহহারা, গাছপালা, আবাদী জমি হারিয়ে অনেকে হয়ে যায় পথের ভিখারি।
এছাড়া বর্ষা মৌসুমে ভারত অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় নদীর দুইপাড়ের মানুষের জমি, ঘরবাড়ি ডুবে সর্বশান্ত করে দেয়। বর্ষায় তিস্তা নদীর কড়াল গ্রাস আর খরা মৌসুমে পানির অভাবে ইরি বোরোসহ অন্য ফসলের চাষাবাদ করতে পারে না কৃষকরা।
দুই যুগ আগেও এ নদী ধরে সারি সারি নৌকা মালপত্র বোঝাই করে পাল তুলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেত ব্যাবসা বাণিজ্য করতে। বর্তমানে সেগুলো গল্প কাহিনী। নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং নদীতে পানি শূন্যতার কারণে মাছ না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার স্থানীয় জেলে পরিবার। এছাড়া সরকারের নদী শাসনের পরিকল্পিত পরিকল্পনার অভাবে নদীর মাঝখান উঁচু হয়ে পানি দুই পাড়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ কি তা এই এলাকার মানুষ জানে না। অথচ নদী ড্রেজিং করে নদীর পানির গতিপথ সচল করলে একদিকে যেমন নদী ভাঙ্গন কমে যাবে অন্যদিকে কৃষক নদীর পানি দিয়ে সেচ কাজ চালাতে পারবে।
এর ফলে যেমন বিদ্যুৎ খরচ কমে যাবে অপরদিকে কৃষি উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।সরকার তিস্তা নদী জরুরী ভিত্তিতে ড্রেজিং করে কৃষি নির্ভর রংপুর বিভাগের ৫ জেলার কোটি মানুষের কৃষি আর মৎস্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবে। এটি এখন সাধারণ মানুষের সময়ের দাবি।
এ ব্যাপারে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রোকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান ইত্তেফাককে জানান, ‘দেশের নদ-নদী গুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ নদীতে পানি প্রবাহের দেখভাল করে বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশন। নদীতে পানি প্রবাহের তদারকি আমাদের কাজ নয়।তিস্তা নদীর এ দশার কথা নতুন নয়। ভারত ন্যায্য পানি না দেওয়ার কারণে আজ এমন অবস্থা।
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- আম দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- বিশ্বনেতাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- ভারতের ৫২৭ খাদ্যপণ্যে বিষ : ইউরোপে নিষিদ্ধ
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেনজীর আহমেদের সম্পদের তথ্য চাইল দুদক
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা - এআই নীতিমালা
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ - তীব্র গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন
- তাপপ্রবাহ : গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- কলকাতায় হিরো আলমকে সংবর্ধনা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’