• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯  

পর্বূ বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির পরিচালক সুব্রতের পরিচয় দিয়ে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি এবং পরবর্তীতে তার বাড়ির সামনে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে ডিবি পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হল, গোপালগঞ্জের মুদসেদপুর উপজেলার যাত্রাবাড়ি গ্রামের গাউছ ঘরামীর ছেলে মশিউর রহমান (২৩) এবং অভয়নগরের নওয়াপাড়া মিনি বাজারের পাশের ইবাজ গাজীর ছেলে মহির হোসেন (২৫)।

ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটক দুইজনসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭জন নওয়াপাড়ার কয়লা ব্যবসায়ী আল মামুন ট্রেডার্সের মালিক শরিফুল ইসলামের কাছে গত ১৬ নভেম্বর রাত নয়টার দিকে ফোন দিয়ে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির পরিচালক সুব্রতর লোক পরিচয় দিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। টাকা দিতে রাজি না হলে হুমকি ধামকি দেয়া হয়। বলা হয় টাকা না দিলে নমুনা দেখানো হবে।

এরপর গত ২৭ নভেম্বর রাত নয়টার দিকে শরিফুল ইসলামের বাড়ির গেটের সামনে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মোবাইলে ম্যাসেজ দেয়া হয়। ম্যাসেজে বলা হয়, ‘ভাই কাজের পরিচয় পাইছেন। বাড়াবাড়ি না করে যা বলি তাই শুইনেন। ফোন দেবো রিসিভ করেন।’

এরপর ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে ফের ফোন করে বলা হয়-‘নমুনা দেখলি। টাকা কবে দিবে বল।’ এছাড়া নানা হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। এই ঘটনার পর শরিফুল ইসলাম অভয়নগর থানায় একটি অভিযোগ দেন।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে যশোর ডিবি পুলিশ অভিযোগটির তদন্ত শুরু করে। ওই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গত রোববার অভয়নগরের শংকরপাশা এলাকা থেকে মশিউর ও মহিরকে আটক করা হয়। তারা প্রাথমিকভাবে চাঁদা চাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রের মাহাদী হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় তারা।

জবানবন্দীতে তারা উল্লেখ করেছে, বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের মোবাইল নম্বর সরবরাহ করে তারা প্রথমে চাঁদার জন্য ফোন দেয়। সে ক্ষেত্রে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নাম ভাঙানো হয়। পরে টাকা দিতে না চাইলে প্রথমে হুমকি এবং পরে বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে বোমার বিস্ফোরণ বা অন্য কোনভাবে ভয় দেখানো হয়। ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলামের বাড়িতে তাদের লোকজন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের গ্রুপে ৬/৭ জন আছে। এই গ্রুপটি বিভিন্ন লোকজনের কাছে চাঁদা দাবি করে থাকে।

এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জবানবন্দী শেষে আদালত তাদের দুইজনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে অভয়নগর থানা পুলিশে সোপর্দ করে। অভয়নগর থানার এসআই মফিজুর রহমান চৌধুরী সোমবার দুইজনকে আদালতে পাঠান।

তিনি আরো জানিয়েছেন, এই গ্রুপের আরো সদস্যকে আটকের জন্য পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি আরো কয়েকজনকে ধরা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ