• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সেন্টমার্টিনে দুই হাজার পর্যটক আটকা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে ২ হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক আটকা পড়েছে। ৩ নং সর্তক সংকেত থাকার কারণে আজ বুধবার টেকনাফ থেকে কোনও জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে না যাওয়ায় দ্বীপে আটকা পড়েছেন তারা। তবে পর্যটকদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

পর্যটকদের আটকা পড়ার তথ্য নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে ২ হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাদের বেশির ভাগেরই আজ দ্বীপ থেকে টেকনাফে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ ৩ নং সর্তক সংকেত ঘোষণা হওয়ার কারণে আজ কোনও পর্যটকবাহী জাহাজ দ্বীপে আসেনি। সকাল থেকে জেটি ঘাটে জাহাজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অনেক পর্যটক। তাদের অনেকের টাকার সংকট আছে বলেও শুনেছি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আটকা পড়া পর্যটকদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সেই চেষ্টাও চলছে।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সমুদ্র বন্দরসমূহে সব ধরনের নৌযান সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সর্তক সংকেত থাকার  কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে পর্যটকবাহী কোন জাহাজ ছেড়ে যায়নি। তবে এর আগেও এসব জাহাজে করে দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া আড়াই হাজার পর্যটক সেখানে আটকা পড়েছিলেন। তাদেরকে নিরাপদে টেকনাফে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের বিষয়েও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে।’  

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সেকান্দর আলী জানান, ৩ নং সর্তক সংকেত থাকার কারনে আজ জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তারা যেন হয়রানির শিকার না হয় সেটি দেখা হচ্ছে।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ