• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ফরিদপুরে পল্লীকবি জসীমউদ্দীন-এর ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২২  

পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এর ১১৯তম জন্মবার্ষিকী আজ শনিবার ফরিদপুরে নানা কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সকাল ৯টার দিকে শহরতলির গোবিন্দপুর গ্রামে প্রিয় ডালিম গাছে তলে কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অপরাধ) মো. জামাল পাশা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পরে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর কবির বাড়ির আঙিনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

অনুষ্ঠানে কবির ওপর লিখিত প্রবন্ধ পড়ে শোনান অধ্যাপক রেজভী জামান। এ ছাড়া মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী বীর বিক্রমের বক্তব্য জেলা প্রশাসকের মোবাইল ফোনে শোনানো হয়।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কবিপুত্র জামাল আনোয়ার, অধ্যাপক এমএ সামাদ, অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা, অধ্যক্ষ শীলারানী মন্ডল, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ ঘোষাল, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, আবু সুফিয়ান চৌধুরী কুশল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সোনার বাংলার সবুজ শ্যামল প্রকৃতি ও মানুষের প্রাণের কবি জসীমউদ্দীন তাঁর লেখনির মাধ্যমে বাংলাভাষার সাহিত্য ভান্ডর সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবন সংগ্রাম ও সমতাভিত্তিক সমাজের পাশাপাশি শ্রেণি বিভক্ত সমাজের দীনতাও তুলে ধরেছেন। আবার গ্রামবাংলার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তার লেখনিতে উঠে এসেছে।

তাঁকে জাতীয় পল্লী কবি হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, তাঁর সাহিত্য বেশি বেশি করে চর্চার মাধ্যমে আমরা বিশ্ব সাহিত্য সভায় আমাদের মর্যাদার আসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। এ ছাড়া জসীম পল্লী মেলা ফের শুরুর তাগিদ দেন বক্তারা।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ