• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

দুদক কর্মকর্তা সেজে অভিনব প্রতারণা: অবশেষে পুলিশের কাছে ধরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৩  

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তার সেজে অভিনব প্রতারণা করার অভিযোগে চক্রের দুই সদস্যকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার লুন্দী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম খান। এরা দীর্ঘ দিন ধরে অর্ধশত সরকারী-বেসরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানানো হয়।

গ্রেফতার হওয়া প্রতারকরা হলো জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের মধ্য লুন্দী গ্রামের শাসছুল হকের ছেলে মো. আনিসুর রহমান বাবুল (৩৫) ও তার সহযোগি একই গ্রামের মৃত জয়নাল মিয়ার ছেলে মো. হাসিবুল মিয়া (৪২)।

পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম খান জানান, বেশ কিছু দিন ধরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার লুন্দি গ্রামে বসে দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে লুন্দি গ্রামে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিম। তখন দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা করে আসা আনিসুর রহমান বাবুল ও তার সহযোগি হাসিবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহারিত একটি মোবাইল সেট, ৭টি বিভিন্ন কোম্পানির সিম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অফিসারদের মোবাইল নাম্বর ও পরিচয় সম্বলিত কাগজের টুকরা এবং নগত সাড়ে দশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এসপি মাসুদ আলম খান আরো জানান, এই চক্রটি কৌশলে সারা দেশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম, মোবাইল নাম্বার, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে তার বিস্তারিত জেনে একটি তালিকা তৈরি করে। সেখান থেকে সেসব কর্মকর্তাদের মোবাইল করে দুদক কমিশনার সেজে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা বিভিন্ন ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে একাধিক মোবাইল মিস সংগ্রহ করে। একটি করে প্রতারণা করে সেই সিম নষ্ট করে ফেলে। তাদের কাছ থেকে বড় বড় কর্মকর্তাদের নামের একটি তালিকাও পাওয়া গিয়েছে।’

প্রাথমিকভাবে প্রতারকরা দুদক কমিশনার সেজে অন্তত অর্ধশত ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে ¯^ীকার করেছে। এই চক্রের সাথে আরো জড়িত আছে বলেও তারা জানিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজৈর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ