পরিকল্পিত-বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদের মাধ্যমেই বাঁচানো যাবে কৃষিকে
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২

বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা তার খাদ্যচাহিদাকে ছাড়িয়ে যাবে- এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। তবে, এ শঙ্কা পেছনে ফেলে কয়েক দশক ধরেই আন্তর্জাতিক কৃষি উৎপাদন কমেনি, বরং উধ্র্বমূখী হয়েছে।
মূলত সার, কীটনাশক, উন্নত প্রযুক্তি ও ফসলের উচ্চফলনশীল জাত আবিষ্কারের মাধ্যমেই কৃষি উৎপাদনের গতি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ গতি কিছুটা কমে যাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ফসল বিন্যাস, পরিকল্পনা অর্থাৎ বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদকেই কৃষি উৎপাদনের গতি অব্যাহত রাখার একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন অনেকে।
দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, অধিকাংশ সময় কোনো ফসল চাষের আগে জমিটি ওই ফসলের জন্য উপযুক্ত কি না তা পরীক্ষা করা হয় না। এর ফলে কৃষক আশানুরূপ উৎপাদন ও উপার্জন থেকে বঞ্চিত হন।
আন্তর্জাতিক গবেষণামূলক জার্নাল নেচার জিওসায়েন্সের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কোন জমিতে কোন ফসল লাগাতে হবে, তা নির্ধারণ করে আবাদ করলে যে ফল পাওয়া যাবে তা দিয়ে আরও ৮২৫ মিলিয়ন মানুষের খাদ্যচাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এমনকি পানির ব্যবহার ১০ শতাংশ কমিয়েও এমন উৎপাদন সম্ভব।
অন্যদিকে, নেচার ফুডের একটি গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে শস্যোৎপাদন আরও কমে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২১ শতকের শেষের দিকে ভুট্টার ফলন ৬-২৪ শতাংশ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে চাষাবাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অপরিকল্পনা লক্ষ্য করা যায় অনুন্নত দেশগুলোতে। লন্ডনভিত্তিক প্রকৃতি উন্নয়ন সংস্থ্যা রয়াল সোসাইটি বলছে- বিশ্বব্যাপী ধান, আলু, কাসাভা, সরগম বা জোয়ার চাষের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাব সবচেয়ে বেশি।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ধান, কাসাভা ও জোয়ার চাষ ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। আর এক্ষেত্রে মূল সমস্যা হলো, এ ধরণের কৃষকরা অধিকাংশ সময় ফসলের সর্বাধিক ফলনের চেয়ে আবহাওয়ার দিকে বেশি গুরুত্ব দেন।
আবহাওয়ার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো- এসব ফসল দিয়ে ক্ষুদ্র কৃষকরা পরিবারের বাৎসরিক চাহিদা মেটান। কোনো বছর আবহাওয়া খারাপ থাকলে এবং ওই বছর উৎপাদন কম হলে পুরো পরিবারকে বিপদে পড়তে হয়।
দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, লাখ লাখ ক্ষুদ্র কৃষক চাইলেও তাদের চাষাবাদের ধরণ পাল্টাতে পারবেন না। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক দিকগুলোর কারণে ধনী দেশগুলোর কৃষিভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চাষাবাদ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য হতে পারে।
যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অর্থকরী ফসল ভুট্টা, যার ফলন গরমে খুব একটা ভালো হয় না। কিন্তু বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে এখন ফসলটির জিনগত পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
এদিকে, ব্রাজিলের মোট চাষযোগ্য জমির অর্ধেকরও বেশিতে সয়াবিনের চাষ হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশটির সয়াবিনখাতও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আবার, কফি উৎপাদনকারীদেরও বৈশ্বিক তাপমাত্রার সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে।
আবার বলা হচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুধু ক্ষতিই করবে না, এর কিছু সুবিধাও থাকতে পারে। রাশিয়া, কানাডা, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিম অংশের রাজ্যগুলো গমের উৎপাদন বাড়াতে পারে। কারণ, গম ভুট্টার তুলনায় অধিক উত্তাপ ও খরা সহনশীল।
আবার ভারত ও পশ্চিম আফ্রিকার উষ্ণ অঞ্চলগুলোও এর সুবিধা পেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যদি অতিবৃষ্টি দেখা দেয়, তাহলে এসব অঞ্চলে ধানের উৎপাদন বাড়বে।
যদিও এ ধরনের পূর্বাভাসগুলো এখনো অনুমাননির্ভর ও অনিশ্চিত, তারপরও কৃষকদের উচিৎ আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ফসলের কার্যকরী চাষাবাদ সম্পর্কে জানা। কারণ, নিশ্চিতভাবেই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কৃষিকে এমনভাবে প্রভাবিত করবে যা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারি না।a

- শেখ হাসিনার জন্মদিনে ছাত্রলীগের কোরআন বিতরণ
- শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা মোদির
- দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান
- ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন
- মায়ের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করলেন সজিব ওয়াজেদ জয়
- আমরা এগিয়ে যাব অগ্রগতির দিকে, উন্নয়নের দিকে : রাষ্ট্রপতি
- রূপপুরের পথে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
- পাবনা মেডিকেলকলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকরলেন রাষ্ট্রপতি
- আ. লীগ এই অক্টোবরেও থাকবে, আগামীতেও থাকবে: কাদের
- প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার গোপালগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজন
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’
- কর্মীর বিয়ে, হেলিকপ্টারে চড়ে গোপালগঞ্জে এলেন সৌদি নাগরিক
- রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা: ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যা প্রাপ্তি
- আওয়ামী লীগ না থাকলে দেশ আবার অন্ধকার যুগে চলে যাবে:প্রধানমন্ত্রী
- দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা, ৪ ধরনেই কার্যকর
- নির্বাচনের আগে আরও এক দেশে ভিসা বিধিনিষেধ যুক্তরাষ্ট্রের
- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
- আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
- নবীজির (সা.) প্রতি কতবার দরুদ পড়তে হয়?
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ
- ২৯৫ কোটি টাকায় কেরানীগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ করবে সরকার
- কোনো দেশই স্যাংশন দিয়ে নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
- ভিসানীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- মাসকলাই উৎপাদনবৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জের ৭৫০ কৃষকপাচ্ছেন বীজ-সার
- ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড, নিহত বেড়ে ৪৫০
- স্ত্রীকে যে সত্যি কথাগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত
- ডিম পচা না কি তাজা? বুঝবেন কীভাবে
- সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্যটন শিল্পের প্রসারে কাজ করছে
- ঢাবি শিক্ষার্থী ফিরোজের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা
- গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতা রিজভীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ২
- জীবনে প্রথম বিমানে উঠতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে
- গোপালগঞ্জে ৮৫ বছর ধরে নির্ভেজাল-টাটকা দত্তের মিষ্টি
- ছবিতে লুকিয়ে আছে রহস্য, আপনি কী দেখছেন?
- গোপালগঞ্জে কৃষককে মারধরের ঘটনায় ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
- ফেসবুকে সুইসাইড নোট পোস্ট, পুলিশ গিয়ে দেখে আড্ডা দিচ্ছেন যুবক
- করোনা পরীক্ষার ফি আত্মসাৎ, গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ওএসডি
- ,তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন,জনগণ সাড়া দেবে না
- মাছ ধরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন বিল্লাল
- টঙ্গীতে জোড় ইজতেমা শুরু ১৩ অক্টোবর
- গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ করলেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা
- শেখ হাসিনাকে স্মারক উপহার দিলো ছাত্রলীগ
- প্রধানমন্ত্রীর সফলতা ও জাতীয় উন্নয়ন
- জি-২০ সম্মেলন
দ্রৌপদীর নৈশভোজে দেখা হতে পারে শেখ হাসিনা-মমতার - উন্নয়ন না দেখলে ১০ টাকার টিকিটে চোখের চিকিৎসা নেন: প্রধানমন্ত্রী
- সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা
আফগানদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার - গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
- নয়াদিল্লী থেকে শেখ হাসিনা-মোদীর হাতে উদ্বোধন হবে তিন মেগা প্রকল্প
