• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ডালে ডালে ‘নাক ফুল’ এর বাহার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

ডালজুড়ে কাঁটা আর ছোট-মাঝারি আকৃতির পাতা। পাতার ফাঁকে ফাঁকে ডালের আগাগুলো ছেয়ে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুলে। অসংখ্য ‘নাক ফুল’ ফুটে রয়েছে কাঁটা-পাতার ফাঁকে ফাঁকে। সমস্ত গাছজুড়ে।

সামান্য ঘিয়ে রংয়ের এই ‘নাক ফুল’ আসলে বরই ফুল। মৃদু মাদকতায় ভরা গন্ধে ভুর ভুর করছে বরই তলা। সেই গন্ধ টানছে মধুপায়ীদের। সমস্ত গাছজুড়ে তাদের আনাগোনায় ব্যস্ত একটা পরিবেশ।

সবেমাত্র ফুল এসেছে। আর কিছুদিন পর আসবে ফল। টক-মিষ্টি স্বাদের ফল ঝুলে থাকবে গাছে গাছে। শুধু খেতে নয়, দেখতেও চমৎকার।

বরই গাছ সাধারণত মাঝারি থেকে বেশ খানিকটা উঁচু হয়। ফুলগুলো পরস্পরের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রস্ফুটিত হয়। সেজন্য নিচ থেকে ক্ষুদ্র এই ফুলগুলোকে দেখার তেমন সুযোগ থাকে না। তাই অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যায় নাক ফুলের মতো দেখতে বরই ফুল।

নাক ফুলের মতো দেখতে বরই ফুল, নাকি বরই ফুলের মতো দেখতে নাকফুল? হয়েতো এই ফুল দেখেই নাক ফুল বানাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কোনো প্রকৃতি প্রেমিক স্বর্ণকার!কে জানে?

চোখের লেন্সে ধরা না পড়লেও, ক্যামেরার ‘জুম লেন্সে’ ঠিকই ধরা পড়ে ফুলটির সৌন্দর্য। প্রতিটি গাছেই প্রচুর ফুল আসে। সব ফুল থেকে ফল আসে না। তাই ফুল ঝরে প্রচুর। কেউ চাইলে সেই ঝরা ফুল হাতে নিয়ে ভালো করে দেখতে পারেন। তাতেও প্রকৃতির এই চমৎকার সৃষ্টি চোখের মাধ্যমে মনের গহীনে আশ্রয় পাবে।

বরইয়ের আরেকটি প্রচলিত নাম ‘কুল’। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে কুল গাছে ফুল আসে। ফল ধরতে ধরতে নভেম্বর-ডিসেম্বর। ফল পাকলে হলুদ থেকে লাল বর্ণ হয়। কাঁচা-পাকা উভয় অবস্থায় বরই খাওয়া যায়। তবে স্বাদে পার্থক্য থাকে।

বরই ফুল নিয়ে স্মৃতি হাতড়ে মৌলভীবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামে নির্বাহী সদস্য ওমর ফারুক নাঈম বলেন, ‘ছোট বেলা দেখতাম, মেয়েরা এই বরই ফুল দিয়ে নাক ফুল বানাতো। তখন ভাবতাম ফুলটি কীভাবে নাকে বসায় তারা? এখন আর এসব দেখা যায় না। এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ