এক কার্ডেই মিলবে রোগীর সব তথ্য, মার্চের মধ্যে শুরু
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৪
স্বাস্থ্যসেবাকে ডিজিটাল করার পাশাপাশি আরো বেশি রোগীবান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এক কার্ডেই থাকবে রোগীর বিস্তÍারিত তথ্য। চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, রোগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে সেখানে। অনলাইনেই সব তথ্য থাকায় হেলথ কার্ডের নম্বর দিলেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট চলে যাবে রোগীর ই-মেইলে। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই রোগীরা হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। তাই হাসপাতালে গেলে বইতে হবে না কোনো বাড়তি কাগজপত্র। সেই কার্ডটি সঙ্গে রাখলেই চলবে। সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (এমআইএস) বাস্তবায়িত এই প্রকল্প খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই পাইলট প্রকল্প হিসেবে কয়েকটি হাসপাতালে এই কার্ড ও কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা চালু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড করার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এর আগেও কাজ করেছে। দাতাদের অর্থায়নে করা ওইসব প্রকল্প সফল হয়নি। এবার জাতীয় পরিচয়পত্রকে সংযুক্ত করে কার্ডের কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে ভালো। এই উদ্যোগ সফল হলে প্রত্যেকের একটা ইউনিক আইডি থাকবে। রোগী দেশের যে হাসপাতালেই যান না কেন ওই কার্ড দিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ সরকার যেভাবে কাজটি করতে চাইছে তাতে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হবে। সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাস্থ্য কার্ডের জন্য আলাদা ওয়েবসাইট হবে। সেই ওয়েবসাইটে অনলাইনে নিবন্ধন করে স্বাস্থ্য কার্ড পাওয়া যাবে। তবে যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না; তারা অনুমোদিত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিবন্ধন করাতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বা ১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের অনুলিপি নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে। হাসপাতালের নির্দিষ্ট কাউন্টার
থেকে বিনামূল্যে এই কার্ড করা যাবে। প্রতিটি নাগরিকের একটি নিজস্ব হেলথ আইডি নম্বর থাকবে। স্বাস্থ্য কার্ডের আওতায় আসা একজন রোগীর ‘জন্ম থেকে মৃত্যু’ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবার সব তথ্য ডিজিটাল ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা থাকবে। এ কাজের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে অটোমেশনের কাজ আগেই শুরু হয়েছে। যেসব বেসরকারি হাসপাতাল নিজস্ব অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, তারা তাদের সফটওয়্যারকে ‘শেয়ারড হেলথ রেকর্ডসের’ সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবেন। যেসব বেসরকারি হাসপাতালের নিজস্ব সফটওয়্যার নেই এবং নতুন কোনো সফটওয়্যার তৈরি করতে চাচ্ছে না, তাদের সংযুক্ত করতে একটি সফটওয়্যার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের জন্য নির্বাচন কমিশন এবং জন্ম নিবন্ধনের জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায়। পুরো প্রকল্প পঞ্চম সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় বাস্তবায়ন হবে। বর্তমানে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জের সব সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে রোগীদের হেলথ আইডি প্রদান কার্যক্রমের পাইলটিং শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএসের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা চাইছি সবার জন্য একটা ‘ইউনিক হেলথ আইডি’ করতে। এর আগের উদ্যোগগুলো ‘ইউনিক’ না হওয়ায় সেগুলো টেকেনি। অফিসিয়াল কাজকর্ম মোটামুটি শেষ পর্যায়ে। আমরা দেখতে চাচ্ছি, আমাদের সিস্টেমগুলো সব কাজ করছে কিনা। সরকারি হাসপাতালগুলোতে অটোমেশন করার জন্য একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আশা করছি মার্চের মধ্যেই পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব। শুরুর দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এবং মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় দেয়া হবে এই কার্ড। এরপর দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কার্ড দেয়া হবে। সরকারি হাসপাতালের পর এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হবে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
প্রসঙ্গত; ২০২৩ সালের শুরুতে দেশে সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর আগে ২০১৬ সালে মার্চ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) শীর্ষক পাইলট কার্যক্রমের আওতায় স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছিল সরকার। উপজেলা, জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের চিকিৎসাসেবা নেয়ার সুযোগ ছিল এই কার্ডের মাধ্যমে। তবে পরিবার প্রতি একজনকে এই কার্ড দেয়া হয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মধুপুর ও কালিহাতিতে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য এই সুযোগ ছিল। ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ১ লাখ ৫১ হাজার ৪২৭টি পরিবারকে স্বাস্থ্য কার্ড দেয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি উদ্যোগ হিসেবে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সরকারের এই স্বপ্নটা ভালো। পাইলট প্রকল্প হিসেবে করলে ভিন্ন বিষয়। সারাদেশে করতে হলে এর জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করতে হবে। এজন্য অতিরিক্ত লোক লাগবে, যারা তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ, চিকিৎসাসেবায় জড়িতদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যে রেফারেল করবে সেজন্য বড় হাসপাতালগুলো প্রস্তুত কিনা সে বিষয়গুলোও মাথায় রাখতে হবে।
সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড হলে স্বাস্থ্যসেবা খাতের অনেক কিছুই শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে না হয়ে কাজটি যদি সামগ্রিকভাবে হয় তাহলে অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। এই কার্ডের মধ্যে স্বাস্থ্য, হাসপাতাল, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা সেবা- এককথায় যা যা দরকার তার পুরোই থাকলে মানুষ প্রকৃত অর্থেই উপকৃত হবে। দক্ষজনবল দরকার হবে। সেই দিকে নজর দিতে হবে। নতুন উদ্যোগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে রোগী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের মধ্যে কিছুটা বিচ্যুতি হতে পারে। সেটি ম্যানেজ করার উদ্যোগও থাকতে হবে।
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- ৫২ বছরের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- বাংলাদেশে সবুজ শক্তি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ালো সৌদি
- রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের আহ্বান
- রাবার চাষ উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায় ভারত
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশই যথেষ্ট: ইসি আলমগীর
- প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় শিশুশ্রম নেই: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- ‘হিট স্ট্রোকে’ এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- মৃত্যুর তিন বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই
- বঙ্গবন্ধু হত্যা
‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে কমিটি - বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় চীন
- বাড়ছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- হাইকোর্টের নির্দেশ
সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন - প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
- বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
- ‘সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা বিএনপি নেতাদের
- গোপালপুর উপনির্বাচনে লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- ফসলি জমি অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী
- উপজেলা ভোট, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ
- নোয়াখালীতে নতুন গ্যাস কূপের খননকাজ উদ্বোধন
- চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
- আগামী বছর হজের খরচ আরও কমে আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- গোপালগঞ্জে তথ্য অফিসের উদ্যোগে ‘জনগণের কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান
- পদ্মা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় পৌনে তিন কোটি টাকা
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি