• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

‘পূজা আমার কাছে একদিকে আনন্দ, অন্যদিকে বিষাদের’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০১৯  

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। মডেল-অভিনেত্রী। বৈশাখী টেলিভিশনে আজ রাতে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক 'শান্তিপুরীতে অশান্তি'। নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-

গল্প ও চরিত্রের দিক থেকে আগের নাটকগুলোর চেয়ে 'শান্তিপুরীতে অশান্তি' ধারাবাহিকটি কতটা আলাদা?

আমরা সাধারণত যে ধরনের নাটকে অভিনয় করি তা কোনো না কোনো সমাজের গল্প নিয়ে করা হয়। এটি একটু ব্যতিক্রম। রাজধানী ঢাকার একটি বাড়ির নাম শান্তিপুর। অপার শান্তির আশায় এমন নাম দেওয়া হয় বাড়িটির। এ বিশাল বাড়ির মালিক দু'জন। রহমত আলী ও ওয়াহিদা মল্লিক জলি। সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী হলেও কেউ কারও ধার ধারে না। প্রত্যেকেরই আলাদা ফ্ল্যাট, আলাদা ভাড়াটিয়া। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সাপেনেউলে। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে শান্তিপুরী রূপ নেয় অশান্তিপুরীতে। এভাবে এগিয়ে চলে গল্প। নাটকটির নির্মাতা সকাল আহমেদ জানান, সমাজের কিছু বাস্তবতার দৃশ্যপট ফুটে উঠেছে এর পরতে পরতে। এতে আমি একজন ঝগড়াটে মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য সত্যিই নতুন অভিজ্ঞতা বটে।

নাটকটির দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন?

বেশ অনেকদিন ধরে নাটকটি প্রচার হচ্ছে। এখন দর্শকদের কাছ থেকে ভালো ভালো মন্তব্য পাওয়ায় মনে হচ্ছে, চরিত্রটি পর্দায় যেভাবে তুলে ধরতে চেয়েছি, তা কিছুটা হলেও পেরেছি। নাটকের বিনোদনের পাশাপশি কিছু বক্তব্যও তুলে ধরেছেন, যা দর্শকের ভালো লেগেছে।

নতুন কাজের কী খবর?

সম্প্রতি হিমু আকরামের পরিচালনায় 'আব্দুল মতিনের বিরাট ইতিহাস' নাটকে অভিনয় করেছি। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আ খ ম হাসান। এ ছাড়া পূজা উপলক্ষে আনিসুর রহমান মিলনের বিপরীতে 'মায়ের আশীর্বাদ' নাটকে অভিনয় করেছি। এটি আজ ইটিভিতে প্রচার হবে। পাশাপাশি নতুন একটি বিজ্ঞাপনেরও মডেল হয়েছি।

এখন ওয়েব সিরিজে আপনাকে খুব একটা দেখা যায় না। এর কারণ কী?

আমার কাছে ওয়েব সিরিজকে নাটক বা মিউজিক ভিডিওর মাঝামাঝি কিছু মনে হয়। যে জন্য ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে চাই না। আমি চাই নাটকই মানুষ বেশি দেখুক। হ্যাঁ,ইদানীং দর্শক ওয়েব সিরিজের দিকেও ঝুঁকছে। আর ওয়েব সিরিজের কারণে টিভি নাটকের দর্শকও মনে হয় কমে যাচ্ছে।

আজ বিজয়া দশমী। এ বিশেষ দিনটিতে কী পরিকল্পনা করছেন?

ছোটবেলায় পুজোর দিনগুলো ছিল বেশ আনন্দময়। এ উৎসব এলেই শৈশবের স্মৃতিতে হারিয়ে যাই। গত দু'বছর থেকে পূজার আনন্দে ভাটা পড়েছে। কারণ দু'বছর আগে আমার বাবা পূজার আয়োজনের মধ্যেই মারা গেছেন। এ কারণে পূজা আমার কাছে একদিকে আনন্দ, অন্যদিকে বিষাদের। পূজায় ঢাকায় থাকার ইচ্ছা রয়েছে। বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরব। উৎসবে আলতা-সিঁদুর আর লাল-সাদা শাড়িতে নিজেকে সাজাতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। মা কলকাতা থেকে আমার জন্য একটি শাড়ি এনেছেন। দশমীতে মায়ের দেওয়া শাড়ি পড়ে ঘুরব। এ ছাড়া টিভি আয়োজনেও হাজির হবো। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন 'শুভ সন্ধ্যা'য় আজ অতিথি হিসেবে থাকছি। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করব।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ