• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

খাবার খাওয়া সম্পর্কিত ১২টি ভুল, যা সবাই করেন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়া দৈহিক সুস্থতার জন্যও সঠিক খাদ্য গ্রহণ জরুরি। তবে খাবার খাওয়া নিয়ে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা অনেকের মধ্যেই আছে।

তাই এসব ধারণাগুলো শুধরানোর জন্য সবার আগে জানতে হবে সেই ভুলগুলো সম্পর্কে। দেরি না করে চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই ভুলগুলো সম্পর্কে-

১. দুপুরে পেট ভরে ভাত খাওয়াটা ঠিক নয়। সকালে ভারী খাবার খেতে হবে। কেননা, এর পরে আমরা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। দুপুরের দিকে হালকা খাবার খেতে হবে। আর রাতের বেলায় মাঝামাঝি খাবার খেতে হবে। রাতের বেলায় সাধারণত ঘুমানোর দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে খাবার খেতে হবে।

২. আমরা অনেক সময় ব্যায়াম করার ঠিক আগে খাই বা খেয়ে উঠেই হাঁটাহাঁটি শুরু করি। কিন্তু যেকোনো বেলায়ই খাবার খাওয়ার পরপরই হাঁটা ঠিক নয়।

৩. খাবার খেতে খেতে বেশি পানি খেলে হজমে সমস্যা হয়। খাওয়ার মাঝে বেশি পানি খেলে ঠিকমতো খাবার হজম হয় না।

৪. প্রচলিত আছে যে শরীরে কাটা-ছেঁড়ার পর টক খাওয়া যাবে না। টক খেলে ক্ষত বাড়বে, সেটা ঠিক নয়। বরং এ সময়ে ভিটামিন সি খাওয়ার প্রয়োজনটা পড়ে বেশি, তাই এ সময়ে টক খাওয়াটা ক্ষতিকর নয়।

৫. ফল খাওয়ার পরে পানি খাওয়া উচিত নয়। এ কথাটা ঠিক। কারণ, ফল খাওয়ার পর এটা হজম হতে সময় লাগে। আর হজমে যেন অসুবিধা না হয়, সে জন্য যেকোনো ফল খাওয়ার পর পানি না খাওয়াটা ভালো।

৬. সকালের খাবারের পরই চা পান করা ঠিক নয়। ভরপেট সকালের নাশতা খাওয়ার পরে চা খেলে কিডনিতে সমস্যা হয়। নাশতা খাবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর চা পান করা উচিত।

৭. চিংড়ি খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে মনে করা হয়। সেজন্য অনেকে বাচ্চাদেরও চিংড়ি মাছ খেতে দেন না। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য চিংড়ি মাছটা খাওয়া দরকার। আর বড়দের, যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক আছে, তাদের চিংড়ি মাছ খেলে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু সমস্যা হয় কোলেস্টেরলের মাত্রা যাদের বেশি, তাদের।

৮. ডায়েট করা মানেই অনেকেই মনে করেন ভারী খাবার কিংবা ফাস্টফুড একদম খাওয়া যাবে না। এটা ঠিক নয়। ভারী খাবার বা ফাস্টফুডে যেহেতু ক্যালরি বেশি থাকে, তাই এসব খাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে অন্য কোনো ক্যালরি বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। তবে সালাদ, ফল-এগুলো খাওয়া যাবে।

৯. ভারী খাবার খেয়ে অনেকে শুয়ে থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু এটা কখনো ঠিক নয়। ভারী খাবার খেয়ে কখনো শুয়ে- বসে কাটানো যাবে না। বরং হাঁটাচলা করতে হবে।

১০. স্ন্যাকস-জাতীয় খাবার খাওয়ার পর মূল খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।

১১. রাতে সাধারণত শাক কিংবা করলা খেতে নিষেধ করা হয়। এটা ঠিক নয়। রাতে ঘুমানোর দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে হাঁটাচলা করলে শাক বা করলা হজম হতে সমস্যা হয় না।

১২. ঘুমানোর আগে আমরা অনেকে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকি। ইসুবগুলের ভুসি রাতের খাবারেরপরে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে না রেখে পানি দিয়ে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ