চাঙ্গা হচ্ছে জলবায়ু তহবিল নতুন আশা বাংলাদেশের
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১
আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ মাত্রা শূন্যতে নামিয়ে আনার চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিশ্বের শীর্ষ দূষণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। প্রভাবশালী এ দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দুই ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়াও বহুল আলোচিত 'সবুজ জলবায়ু তহবিলে' বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের ঘোষণাও দিয়েছে। প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া দেশটি ইতোমধ্যে আবার চুক্তিতে ফিরেছে। এতে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোও নড়েচড়ে বসেছে। জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ঢাকঢোল পিটিয়ে তারা কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিচ্ছে। এতে নতুন আশা দেখছে ঝুঁকির শীর্ষে থাকা বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আবার নেতৃত্বে ফিরতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশ সফরে এসে বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ইউএসএআইডির মাধ্যমে ১৫ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু প্রকল্প করা হয়েছে। এছাড়া প্রেসিডেন্ট বাইডেন সবুজ জলবায়ু তহবিলে আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার নতুন করে বরাদ্দের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জলবায়ু ইসু্যতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের হারানো মর্যাদা বাইডেন পুনরুদ্ধার করতে চান।
এ বিষয়ে ইকুইটি বিডির প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরী যায়যায়দিনকে বলেন,
জলবায়ু ইসু্যতে জো বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশকে
গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের দাওয়াতপত্র পৌঁছে দিতে বিশেষ দুত জন কেরি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্যারিস চুক্তিতে গ্রহণযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশ লাভবান হতে চাইলে এখন দুই ভাবে জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ আনতে পারে। প্রথমত দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে আর দ্বিতীয়ত সবুজ জলবায়ু তহবিলের মাধ্যম্যে। তবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ আনা সহজ হবে। আমাদের উচিত এই সুযোগ কাজে লাগানো।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক ভূমিকায় বিশ্বজুড়ে জলবায়ু ইসু্য ফের চাঙা হয়ে ওঠেছে। এবার প্রাধান্য পাচ্ছে জলবায়ু তহবিলের অর্থায়ন। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মূলত শিল্পোন্নত দেশগুলো দায়ী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্মিলিতভাবে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের ৪০ শতাংশের জন্য দায়ী। এশিয়া ও ইউরোপের বড় অর্থনীতির দেশগুলোও এগিয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী চীন গত ২০২০ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে মোট হাজার কোটি টন কার্বন নিঃসরণ করে। বিশ্বের একক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে বায়ুমন্ডলে ২২ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী। ধনী দেশগুলো ব্যাপক কার্বন নিঃসরণ করে থাকে। এ কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত বিশ্ব 'সবুজ জলবায়ু তহবিলে' ১০ হাজার কোটি ডলার জোগান দিতে সম্মত হয়েছিল। অথচ প্যারিস চুক্তির পর বিশ্ব মোড়ল খ্যাত দেশ যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। এতে শিল্পোন্নত অন্য দেশগুলোও জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নে চুপ থাকে। প্যারিস চুক্তি হয়ে পড়ে নড়বড়ে। প্যারিস চুক্তিতে সই করার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতায় তহবিলে আশানুরূপ অর্থ আসেনি। সবুজ জলবায়ু তহবিল হয়ে ওঠে শূন্য কলসি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় যে ক্ষতিপূরণ বাংলাদেশের পাওয়া উচিত তা পায়নি। এ পর্যন্ত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) থেকে বাংলাদেশের জন্য সাড়ে চার শ' মিলিয়ন ডলার ছাড় হলেও তার সম্পূর্ণ অর্থ পাওয়া যায়নি। জলবায়ু ক্ষতির প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের প্রয়োজন বছরে আড়াই বিলিয়ন ডলার। অথচ আমরা পেয়েছি মাত্র ৩শ' মিলিয়ন। ক্ষতিপূরণ আদায়ে সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা ও শক্ত অবস্থান বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। লস অ্যান্ড ড্যামেজের ক্ষয়ক্ষতির অর্থ আনতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে নিয়ে জোরালো চাপ দিতে হবে।
প্যারিস চুক্তিতে এ বিষয়ে আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অর্থ লগ্নীকারী সংস্থা (ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ) অর্থ ছাড়ে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সর্বোচ্চ দূষণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে বের হওয়ায় আন্তর্জাতিক অর্থায়নে অনিশ্চয়তা আরও বেড়ে যায়। অথচ যুক্তরাষ্ট্রকে এ তহবিলে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐক্য করে শিল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ু তহবিলের অর্থ দিতে গড়িমসি করে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. অধ্যাপক কামাল উদ্দিন যায়যায়দিনকে বলেন, জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন কোনো দান-খয়রাত নয়। শিল্পোন্নত দেশগুলো যুগ যুগ ধরে কার্বন পুড়িয়ে যে বায়ুদূষণ করেছে এটা তারই ক্ষতিপূরণ। এ অর্থ দিয়ে গরিব দেশগুলো জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা করতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থায়ন করতে শিল্পোন্নত দেশগুলোর এগিয়ে আসা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র পাঁচ বছর পর তার ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছে। অন্য ধনীদেশগুলোরও জলবায়ু তহবিলে ফিরে আসা উচিত।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে ফ্রান্সের প্যারিসে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলে প্রথমবারের মতো ঐকমত্যে পৌঁছায়। কপ-২১ নামে পরিচিত ওই সম্মেলনে এ শতাব্দীর মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হয়। মূল ভাবনা ছিল, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ক্রমে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ফিরে যাবে বিশ্ব। অথচ কানাডা, চীন, ইউরোপ, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫টি বড় ব্যাংক জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে অর্থায়ন বাড়িয়েছে। যা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি বছর এক ট্রিলিয়ন ডলার করে বিনিয়োগ বাড়বে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জেপিমর্গান চেজ, ওয়েলস ফার্গো, সিটি এবং ব্যাংক অব আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্রের এ চার ব্যাংক জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের একবারে প্রথম সারিতে আছে। চীনে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে ব্যাংক অব চায়না। চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক কয়লা খনিতে বেশি বিনিয়োগ করেছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দুটি তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ। একটি হলো বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট (বিসিসিটি) এবং অন্যটি বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়ান্স ফান্ড (বিসিসিআরএফ)। সরকার নিজস্ব অর্থ দিয়ে প্রথমে এ তহবিল গঠন করে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- ৫২ বছরের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- বাংলাদেশে সবুজ শক্তি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ালো সৌদি
- রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের আহ্বান
- রাবার চাষ উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায় ভারত
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশই যথেষ্ট: ইসি আলমগীর
- প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় শিশুশ্রম নেই: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- ‘হিট স্ট্রোকে’ এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- মৃত্যুর তিন বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই
- বঙ্গবন্ধু হত্যা
‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে কমিটি - বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় চীন
- বাড়ছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- হাইকোর্টের নির্দেশ
সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন - প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
- বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
- ‘সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা বিএনপি নেতাদের
- গোপালপুর উপনির্বাচনে লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- ফসলি জমি অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী
- উপজেলা ভোট, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ
- নোয়াখালীতে নতুন গ্যাস কূপের খননকাজ উদ্বোধন
- চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
- আগামী বছর হজের খরচ আরও কমে আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- গোপালগঞ্জে তথ্য অফিসের উদ্যোগে ‘জনগণের কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান
- পদ্মা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় পৌনে তিন কোটি টাকা
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি