• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

মর্গের সামনে স্বজনদের আহাজারি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

রাজধানীর চকবাজার এলাকার রাজ্জাক ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃতদেহের সংখ্যা।  রাত থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আসছে লাশ। বাড়ছে মানুষের ভিড়। নিহতের স্বজনের আহাজারিতে মর্গের চিত্র এমনই হৃদয়বিদারক।

এখন পর্যন্ত মর্গে ৬৭টি লাশ রাখা হয়েছে। বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন নয় জন। তাদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ।

অগ্নিকাণ্ডে নিহত সিদ্দিকুল্লাহ চকবাজারে কসমেটিকসের ব্যবসা করতেন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। তিনি গতকাল রাতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু তার আর বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তিনি একটি হোটেলে খেতে বসেছিলেন। আগুন লাগায় আর বেরোতে পারেননি। তার ছেলে মোহাম্মদ বাবু (২০) মেডিকেলের সামনে বসে বিলাপ করছিলেন।

হাসপাতালের ভেতরে তুহিন নামের একজন কেঁদে মোবাইল ফোনে বলছে, ‘আব্বা, আমি তুহিন, এনামুল পুইড়া মইরা গেছে। আমি আর রাজীব খুঁইজ্যা খুঁইজ্যা ঢাকা মেডিকেল মেডিকেল এসে তাকে খুঁইজ্যা পাইছি।’

এনামুলের পুরা নাম কাজী এনামুল হক অভি। তিনি ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বিবিএ পড়েছেন। রূপালী ইনস্যুরেন্সে ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এনামুলের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ। তিনি ওই এলাকায় থাকতেন। রাতে দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। তুহিন, কাজী আর নিহত এনামুল সমবয়সী। সম্পর্কে তুহিনের ভাতিজা এনামুল।

হাসপাতালে সামনে ডুকরে কাঁদতে দেখা যায় জরিনা বেগমকে। তার দুই ভাই মোহাম্মদ আলী ও অপু। মোহাম্মদ আলীর তিন বছরের ছেলে আরাফাত পুড়ে মারা গেছে। ঘটনার সময় তারা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।

মসলা কোম্পানিতে কাজ করতে নিহত মো. জুম্মন। তার দুই ছেলে রাশেদ ও রাব্বী হাসপাতালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। রাশেদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এতগুলো মানুষ পুড়ে মারা গেল। এটা সহ্য করার মতো নয়।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ