• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

আওয়ামীলীগের ২১তম জাতীয় অধিবেশন আজ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯  

আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল আজ ২০ ডিসেম্বর। বেলা ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দু’দিনব্যাপী কাউন্সিলের উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন (শনিবার) সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে বলে আভাস দিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।

যদিও সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন- এ বিষয়টি পুরোপরি নিশ্চিত। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সবার কৌতূহল। এ পদে পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, নতুন কমিটির বিভিন্ন পদে কারা আসছেন, বর্তমান কমিটির কারা বাদ পড়ছেন- এসব বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে তেমন কোনো ধারণা নেই কারও কাছেই।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা  নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) জানেন। আমি কিছু জানি না।’

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবারের কমিটি। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়বেন অনেক ‘প্রভাবশালী ও হেভিওয়েট’ নেতা। সেখানে তরুণদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে অধিক সংখ্যক নতুন মুখ স্থান পাবে। সে লক্ষ্যে যাবতীয় কাজ চূড়ান্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট নেতা ও ব্যক্তিদের সার্বিক কার্যক্রম চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রেসিডিয়াম সদস্য, সম্পাদকীয় পদ, কার্যনির্বাহী সদস্য এবং উপদেষ্টা পরিষদে যারা স্থান পাচ্ছেন, তাদের নামের একটি তালিকাও তৈরি করেছেন।

কাউন্সিল উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বাণী দিয়েছেন। এবারের কাউন্সিলের স্লোগান হচ্ছে- ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে গড়তে সোনার দেশ/এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ।’

এদিকে কাউন্সিল স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পুরোপুরি প্রস্তুত। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সৃষ্টি করা হয়েছে নয়নাভিরাম দৃশ্যের। আশপাশের এলাকাসহ মূল মঞ্চটি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যেন পদ্মা নদীর বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে বিশাল এক নৌকা।

৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির চারটি পদ খালি থাকায় মূল মঞ্চে চেয়ার থাকবে ৭৭টি। মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীদের জন্য চেয়ার থাকবে ৩০ হাজার। এছাড়া সম্প্রসারিত মঞ্চে চেয়ার দেয়া হবে ১৫ হাজার।

এবার দলের প্রায় ১৫ হাজার কাউন্সিলর এবং প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তাদের বাইরেও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন। সব মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষের জমায়েত এবং খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।

২৮টি এলইডি পর্দায় দেখানো হবে সম্মেলনের পুরো অনুষ্ঠান। উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব আলোর ঝলকানি উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করবে।

এবারের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে মৌলিক কোনো পরিবর্তন না এলেও বহুল আলোচিত সহ-সম্পাদক পদ বাতিল হচ্ছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪১ থেকে ৫১ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে এসব বিষয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কাউন্সিল অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব দুটি উত্থাপন করা হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে দুটি বিষয় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।

সেগুলো হল- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন। এছাড়া এবারের কাউন্সিলে বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য পৃথক আসন ও ‘ইংরেজি ভাষা অনুবাদক হেডফোন’ থাকছে।

আওয়ামী লীগের আরেকটি সূত্র জানায়, শনিবার দ্বিতীয় অধিবেশনেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হতে পারে। এ বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইতিমধ্যে নেতা নির্বাচনে বর্তমান কমিটির সব স্তরের নেতার আমলনামা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সংশ্লিষ্ট নেতাদের সফলতা ও ব্যর্থতার পাশাপাশি নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলীয় কোন্দলে সম্পৃক্ততাসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নতুন নেতৃত্বও প্রস্তুত করেছেন তিনি। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ধারণা- ‘নতুন মুখ, নতুন নেতৃত্ব’র যে প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড করছে, এর প্রতিফলন ঘটবে এবারের কাউন্সিলে।

নতুন কমিটিতে স্থান পেতে পারেন ছাত্রলীগের সাবেক ত্যাগী নেতা, বিভিন্ন কারণে নিষ্ক্রিয় কিন্তু দলের প্রতি নিবেদিত, নির্বাচন ও দলের দুর্দিনে যারা সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সাবেক কয়েকজন নেতা।

এছাড়া তালিকায় আছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন উদ্যমী তরুণ।

অন্যদিকে যারা টেন্ডার ও চাঁদাবাজ এবং ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, দলীয় কোন্দল সৃষ্টিকারী, বিএনপি-জামায়াত ঘরানার নেতাদের যারা দলে ভিড়িয়েছেন এবং বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছেন- এমন নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবর্তনের ধারা নিয়মিত। আওয়ামী লীগে কেউ বাদ যায় না, শুধু দায়িত্বের পরিবর্তন হয় মাত্র। চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রভাবও পড়বে কাউন্সিলে। যারা ইতিমধ্যে বিতর্কিত, তারা কমিটিতে স্থান পাবে না। নতুন-পুরনো মিলেই কমিটি হবে। তিনি বলেন, প্রেসিডিয়াম থেকে কেউ উপদেষ্টাও হতে পারেন। আবার উপদেষ্টা থেকে প্রেসিডিয়াম, যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে সদস্য কিংবা সদস্য থেকে যুগ্ম সম্পাদকও হতে পারেন। কমিটি থেকে বাদও পড়তে পারেন অনেকে। আসতে পারে নতুন মুখ।

যে প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচন : আওয়ামী লীগের শনিবারের দ্বিতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচন পরিচালনায় বুধবার দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অপর দুই সদস্য হলেন- উপদেষ্টা সদস্য ড. সাইদুর রহমার ও ড. মশিউর রহমান। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৫২(ক) ধারা মোতাবেক কমিটি গঠন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করে থাকেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। আর এতে কণ্ঠভোটে সমর্থন দেন উপস্থিত কাউন্সিলররা। পরে গঠনতন্ত্র মোতাবেক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা যুগান্তরকে বলেন, দলের ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী সংসদে ব্যাপক রদবদলের আভাস পাওয়া গেলেও এখনও অদ্বিতীয় বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা। তার কোনো বিকল্প নেই আওয়ামী লীগে। নেতাকর্মীদের মধ্যে আস্থা আর ভালোবাসার মূর্তপ্রতীক তিনি।

বারবার অবসরের ঘোষণা দিলেও নেতাকর্মীদের দাবির মুখে দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা। এবারও তিনিই দলের সভাপতি থাকছেন তা নিশ্চিত।

কাউন্সিল ঘিরে এ মুহূর্তে প্রধান আলোচনার বিষয়- কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। তিন বছর ধরে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নতুন কমিটিতেও এই পদে তারই থাকার সম্ভাবনা বেশি।

আওয়ামী লীগের ১৭ সদস্যবিশিষ্ট সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে বাদের তালিকায় আছেন অন্তত ১০ জন। বাদ পড়াদের মধ্যে সাবেক ২ মন্ত্রীসহ ৬ জন উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেতে পারেন। প্রেসিডিয়াম থেকে কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য পদ পেতে পারেন ২ জন। উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ২ জন প্রেসিডিয়ামে আসতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।

ক্যাসিনোকাণ্ড, দুর্নীতি ও নৌকা বিরোধিতার কারণে কপাল পুড়তে যাচ্ছে সম্পাদকমণ্ডলীর ৩৪ সদস্যের অনেকেরই। ইতিমধ্যে শীর্ষ কয়েক নেতা বাদ পড়ার বিষয়টি অবহিত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন আলোচনায় বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

এছাড়া দলে নিষ্ক্রিয়তা, কমিটি বাণিজ্য, নিজ এলাকায় দলীয় কোন্দলসহ নানা কারণে ৮ সাংগঠনিক সম্পাদকের ৪ জনই বাদ পড়তে পারেন। ২ জনের স্থান হতে পারে প্রেসিডিয়ামে। পরিবর্তন আসতে পারে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, বাণিজ্য ও শিল্প সম্পাদক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে। এসব পদে থাকা বেশ কয়েকজন নেতার পদোন্নতি কিংবা পদাবনত হতে পারে।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সংখ্যা ২৮। কাউন্সিলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে যাদের স্থান দেয়া সম্ভব হয় না, সাধারণত তারাই সদস্য পদ পেয়ে থাকেন। বর্তমান সদস্যদের অনেকেই নিজ পদ ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করা, মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দলীয় প্রভাব খাটানোসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

সেক্ষেত্রে বিগত কয়েক কমিটি থেকে বাদ পড়া ত্যাগী ও প্রভাবশালী নেতা, দুর্দিনে দলের পাশে থাকা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করা পরিবারের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা স্থান পাবেন নতুন কমিটিতে। এছাড়া কার্যনির্বাহী সংসদের ২৮ সদস্যের মধ্যে ২ জন প্রেসিডিয়ামে স্থান পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

বাড়তে পারে নারী নেতৃত্ব : ৮১ সদস্যবিশিষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারীর সংখ্যা বাড়তে পারে। দলটির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, এ সংখ্যা কেন্দ্রীয় কমিটির মোট সদস্যের ৩৩ শতাংশের কাছাকাছি। এক্ষেত্রে দলের সাবেক ও বর্তমান নারী সংসদ সদস্যরা (এমপি) অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন আলোচিত নেত্রী আসতে পারেন কমিটিতে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও) বাস্তবায়ন করতেই এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দলটি।

রাজসিক সাজে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান : সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নয়নাভিরাম দৃশ্যপটের অবতারণা করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাউন্সিল স্থল। রঙিন বাতি আর লেজার রশ্মির সমন্বয়ে সেখানে সৃষ্টি করা হয়েছে বাস্তবতার নিরিখে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। পদ্মা সেতুর আদলে সম্মেলন মঞ্চ নির্মাণের কাজ শেষ। পদ্মা সেতুর নিচে প্রাকৃতিক দৃশ্য। নদীতে থাকছে অসংখ্য ছোট নৌকা। এর মধ্যে একটি বড় আকৃতির নৌকায় সম্মেলন মঞ্চটি দেখানো হবে। মঞ্চটি করা হয়েছে ডিজিটাল। এর উচ্চতা ২৮ ফুট। দৈর্ঘ্য দেড়শ’ ফুট। প্রস্থ ১৪০ ফুট। ২৮টি এলইডি পর্দায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তুলে ধরা হবে।

জাতীয় পতাকা ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ শোভিত সম্মেলন মঞ্চে থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি। মঞ্চের বাম দিকে পর্যায়ক্রমে থাকবে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকসহ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের প্রতিকৃতি।

ডান দিকে পর্যায়ক্রমে থাকবে চার জাতীয় নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানের প্রতিকৃতি।

‘স্বর্ণোজ্জ্বল অতীত/অদম্য উন্নয়নের বর্তমান/বিশ্ব জয়ের লক্ষ্যে আগামী’-স্লোগান লেখা সম্মেলন মঞ্চে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ছবিও শোভা পাবে। আওয়ামী লীগের পতাকাও থাকবে মঞ্চের ডিজিটাল ব্যানারে।

সম্মেলন অঙ্গনেও থাকবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক। সচিত্র বিবরণের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। স্বৈরাচার সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ছবিও থাকবে।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়াও সেখানে থাকবে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা হোসেন পুতুল ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির ছবি।

আওয়ামী লীগের সাবেক চার সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল জলিল ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে দলীয় সভাপতির সাংগঠনিক কার্যক্রমের চিত্রও তুলে ধরা হবে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিভিন্ন দেশের প্রধান ও বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবিও থাকবে।

সকাল ১০টায় কাউন্সিল স্থলের প্রবেশ পথগুলো খুলে দেয়া হবে। সম্মেলন স্থলে নেতাকর্মীদের প্রবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গেট থাকবে ৫টি। একটি গেট ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সম্মেলনের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ার কারণে মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায়ের দিকটি মাথায় রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নামাজ পড়ার বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। জুমার নামাজে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য আলাদা একটি প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ