যে-ই ক্ষমতায় আসুক, উন্নয়নে বাধা দিতে পারবে না
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, কেউ দেশের উন্নয়নে বাধা দিতে পারবে না। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে আর কেউ থামাতে পারবে না।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আজ রোববার সকালে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৫-১৬ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।আসন্ন নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যদিও সময় এখন সীমিত। আগামীতে ইলেকশন, কী হবে বলতে পারি না! যতক্ষণ আছি ততক্ষণে যা যা প্রয়োজন সেটা করে দিতে পারব, সেইটুকু কথা দিতে পারি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী ইলেকশনে কী হবে তা বলতে পারি না, তবে আমরা যে একটা সিস্টেম করে রেখেছি, এরপর যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, কেউ দেশের উন্নয়নে বাধা দিতে পারবে না। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে আর কেউ থামাতে পারবে না।’
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের সুযোগ গ্রহণ করে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতি রপ্তানি বাণিজ্য জোরদার করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা যে সুযোগটা পেয়েছি, তাতে আমাদের ঋণ গ্রহণের সুবিধা হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বিশাল সুযোগ আমাদের সৃষ্টি হবে রপ্তানি বাণিজ্য করার, সেই সুযোগটা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আর তার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে অন্য যে সুযোগগুলো আমরা পাই সেগুলো হয়তো পাব না, তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। কারণ, সেভাবেই আমরা আমাদের নীতিমালাসহ সবকিছু প্রণয়ন করেছি।’
দল-মতনির্বিশেষে তাঁর দরজা ব্যবসায়ীদের জন্য সব সময় খোলা, এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেশ-বিদেশে ঘোরেন, আপনারাও খুঁজে বের করুন কোন দেশে আমাদের দেশের কোন কোন পণ্য রপ্তানি করা যায়।’ তিনি বলেন, ‘বাজারকে খুঁজে নেওয়া এবং পণ্যটাকে তৈরি করা, সেটাও কিন্তু আপনাদের একটা দায়িত্ব। সেই ক্ষেত্রে যদি কোনো রকম সহযোগিতা লাগে, অবশ্যই সরকার হিসেবে আমরা তা করব।’
রপ্তানি বাণিজ্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান নিয়ামক, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার অব্যাহতভাবে রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, ‘২০০৫-০৬ সালে যেখানে রপ্তানি আয় ছিল ১০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৭-১৮ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ‘রপ্তানি খাতে গতিশীলতা আনয়ন ও রপ্তানি বাণিজ্যে আমাদের শিল্পকে প্রতিযোগিতা-সক্ষম করার লক্ষ্যে আমরা রপ্তানি নীতি ২০১৮-২১ প্রণয়ন করেছি, ’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শিল্পায়ন ছাড়া কোনো জাতির অর্থনৈতিক উন্নতি হয় না, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইপিজেড তৈরি করা হচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। ইপিজেড ও বিসিক স্টেটগুলোকে পুরোপুরি কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে ও মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা বাংলাদেশ যাতে উন্নত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সব সময় চাই, আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক।’ তাঁর সরকার ব্যবসাবান্ধব, তবে, নিজেরা ব্যবসায়ী নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলে এসেছি, আমার সরকার ব্যবসা করবে না। ব্যবসা করবেন ব্যবসায়ীগণ। আমরা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব। আমরা আপনাদের সৃজনশীল প্রয়াসে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৫টি পণ্যে ২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা প্রদান এবং রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ)’ সংস্থান করা হয়েছে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের টানা দুই মেয়াদে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেকে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, জিএসপি সুবিধা দিয়েছে। অন্তত আমি এইটুকু দাবি করতে পারি, যেখানেই আলাপ করেছি সাথে সাথে এই সুযোগগুলো পেয়ে গেছি।’
বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি সব সময়ই দেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার লাভের বিষয়টি তুলে ধরেন, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর ফলে আমরা চিলি, ভারত, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুল্কমুক্ত পণ্যের প্রবেশাধিকার লাভ করেছি। জাপান ও রাশিয়ায় জিএসপি সুবিধার পরিধি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি। বাজার বহুমুখী করার জন্য লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশসমূহে রপ্তানি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছি।’
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলায় প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেয়েরা তো এখন বেশি এগিয়ে এসেছে। তাই আরও ভালোভাবে শিক্ষিত করে, ট্রেনিং দিয়ে একটা শক্তিশালী জনগোষ্ঠী সৃষ্টি করে তাদের শ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে দেশকে আরও উন্নত করতে পারব। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা ছিল। ইতিমধ্যে আপনারা জানেন এলএনজি আমদানি শুরু করে দিয়েছি। ফ্লোটিং এলএনজি টার্মিনাল করা হয়েছে। কিন্তু আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি ল্যান্ড বেইজ এলএনজি টার্মিনাল করব। যাতে গ্যাসের আর কোনো সমস্যা কোথাও না থাকে। যাতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও সুবিধা হয়।’
শেখ হাসিনা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের খণ্ডচিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমি শুধু এইটুকুই বলব, আজকে আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট মজবুত। আমাদের যে উন্নয়ন প্রকল্প তার ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা অর্জন করেছি এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২১, ২০৪১ এবং ২১০০ ডেলটা প্ল্যান হাতে নিয়েছি। এই ডেলটা প্ল্যান নেদারল্যান্ডস সরকারের সাথে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করব, যার ফলে বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়া আর কেউ থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য ও খাতভিত্তিক সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের জন্য ৫৬টি প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান করা হয়।
- গাজায় যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে খাবার নিয়ে গেল ইসরায়েলিরা
- ধর্ষণের অভিযোগে মোংলায় পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
- বাগেরহাটে ভ্যানচালকের ছুরিকাঘাতে অটোচালক নিহত
- বন্দর ব্যবহারে ভারত-ইরান চুক্তির পর হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
- ইউক্রেনের খারকিভে হামলা জোরদার করল রাশিয়া
- গ্রহণযোগ্য করতেই শ্রম আইনে সংশোধন: আইনমন্ত্রী
- ঢাকা পৌঁছালেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
- ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি
- সুখবর দিয়ে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা বাংলাদেশের
- শিশুদেরকে এমনভাবে শিক্ষা দিতে হবে স্কুলকে ভয় না পায়-প্রতিমন্ত্রী
- সব হাসপাতালের লিফটের সেফটি পরীক্ষার নির্দেশ
- টঙ্গীর দত্তপাড়া
বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট বানাবে সরকার - অবশেষে দেশের মাটিতে নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
- সবাইকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে
- গেটলক সিস্টেমে যানজটমুক্ত মহাখালী
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ চলছে :প্রণয় ভার্মা
- অর্থবছরে সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন
শেষ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩৪ প্রকল্প - প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় বাস্তবতার ছাপ
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হলে আসামিকে কনডেম সেলে নয়
- দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেপ্তার
- যুক্তরাষ্ট্রেই বাইডেনের কথা কেউ শোনে না,বাংলাদেশও বাধ্য নয়:কাদের
- ইন্দোনেশিয়ায় ‘শীতল লাভা’র স্রোতে নিহত ৪১
- মুকসুদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
- মঙ্গলবার দুপুরে হবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
- ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থীর ৫ বছর কারাদণ্ড
- জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে
- জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা
- উপজেলা নির্বাচন
ভোটার বাড়ানোর নির্দেশ ইসির - একীভূত হতে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করল বিডিবিএল
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৪০
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- গোপালগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড