• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ঝুঁকিতে শেষ ভরসা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৯  

নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউপির চন্দ্রপুর ওয়াবদা বাজারের পাশে নন্দকুঁজা নদী। প্রতিদিন এই নদী পাড়ি দেন ১০ গ্রামের মানুষ। তবে নদীর উপর নেই কোনো সেতু। স্থানীয়দের চাঁদায় তৈরি বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। তবে সাঁকোর অবস্থা দিন দিন নাজুক হওয়ায় শেষ ভরসাটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ।  

উপজেলার নন্দকুঁজা নদী গুরুদাসপুর-সিংড়া উপজেলাকে বিভক্ত করেছে। উভয় পাড়ের মানুষের পারাপারের জন্য নির্মিত হয়নি সেতু। স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকোতেই ১০ গ্রামের মানুষ পারাপার হন। সেই সাঁকো বেশি দিন হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন।  

এছাড়া নন্দকুঁজা নদীর গুরুদাসপুর অংশের ওয়াবদা বাজারে সপ্তাহে দুইদিন হাট বসে। এতে সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। গুরুদাসপুর অংশে শ্যামপুর, কুঠিপাড়া, চন্দ্রপুর, ঠাকুরপাড়া, ময়মনসিংহ পাড়া ও সিংড়া অংশের মাটিকোবা, শালিখা, চামারি, মন্ডলপাড়া, টলটলিপাড়ার মানুষরা সাঁকোটি ব্যবহার করেন।

সেতু পরিচালনা কমিটির ম্যানেজার মো. আকতার হোসেন বলেন, নদীর উপর একটি সেতু হওয়ার কথা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, চলাফেরা, হাটে পণ্য আনা-নেয়াতে অনেক কষ্ট হয়। রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। তাই আমরা স্থানীয়রা মিলে নিজেদের টাকায় একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছি।

সেতু পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান আলী বলেন, একটি সেতুর অভাবে এলাকা পিছিয়ে রয়েছে। শুধুমাত্র চলাচলের জন্য স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর ৫০০ বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকোটি তৈরি করা হয়। তারপরও প্রতি বছর সংস্কার করতে প্রায় দেড় লাখের অধিক টাকা ব্যয় হয়। তবুও ১০ গ্রামের মানুষের শেষ ভরসা সাঁকোটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। 

নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু বলেন, নন্দকূজা নদীর উপর একটি সেতু জরুরি প্রয়োজন। সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দফতরে আবেদন করা হয়েছে। 

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলী আ. ন. ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যেখানে সেতু নির্মাণের দাবি করা হচ্ছে, সেই স্থান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ