শিক্ষকতা হোক জ্ঞান বিতরণের উৎস
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯
‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’ কথাটি যেমন চিরন্তন সত্য, তেমন শিক্ষা ব্যতীত কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয় এটিও বাস্তব। আর মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকই এই উন্নয়ন ও জীবনমুখী শিক্ষা প্রদান করে থাকেন।
শিক্ষকতা একটি মহান পেশা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তবে কোনোভাবেই এটিকে পেশা হিসেবে না ভেবে, জ্ঞান বিতরণের উৎস হিসেবে ভাবা উচিৎ। এটাকে পেশা হিসেবে ভাবায় পেশাদারিত্ব বাড়ানোর জন্য শিক্ষালয়ে সময় দেয়ার প্রবণতা কমছে; কিন্তু রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। শিক্ষকদের মধ্যে যখন গবেষণা আর শিক্ষা মুখ্য বিষয় না হয়, তখন বাণিজ্যিকীকরণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আর তখন শিক্ষক হয় দুর্বৃত্ত, শিক্ষা হয় ভূলুণ্ঠিত। ফলে, শিক্ষার্থী হয় নির্যাতিত। অবারিত শিক্ষার দ্বার সময়ের গণ্ডিতে রুদ্ধ হয়। শিক্ষার্থীতে শিক্ষালয় পূর্ণ থাকলেও শূন্য থাকে আদর্শ শিক্ষক। বাণিজ্যিকীকরণের পক্ষে চলে লাগামহীন যুক্তি আর শিক্ষার ঘটে অপমৃত্যু।
শিক্ষকতা পেশা আর দশটি পেশার মতো গতানুগতিক ও আকর্ষণীয় নয় বরং কঠোর পরিশ্রম ও নৈতিকতা সম্পন্ন। যদি কোনো শিক্ষক বাস্তবতা জেনে ভালোবেসে শিক্ষকতাকে বেছে নিয়ে থাকেন, তাহলে তার জানতে হবে আদর্শ ও সততা। নৈতিকতার মধ্য থেকে শিক্ষকতাই তার পরিচয় ও শিক্ষা দান করাই তার মূল দায়িত্ব, আর কর্মরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হবে তার অস্তিত্ব। কেননা কর্মরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব টিকে থাকলেই তার পরিচয় টিকে থাকবে। যদি কেউ ভালোবেসে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে না নিয়ে নিতান্তই জীবিকার প্রয়োজনে অর্থ উপার্জনের আশায় শিক্ষকতাকে বেছে নিয়ে থাকে, তাহলে তিনি অবশ্যই এই মহান পেশাকে কলুষিত করবেন। কারণ, তিনি হয়তো বা এ পেশাকে গ্রহণ করেছেন চাটুকারিতা ও স্বজনপ্রীতির মতো বিষাক্ত সিঁড়ি বেয়ে। যার দ্বারা শিক্ষা নয় বরং কুশিক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর যিনি ভালোবেসে এবং জ্ঞান বিতরণের উৎস হিসেবে এই পেশাটি বেছে নিয়েছেন তার দ্বারা মূলত এই দেশ ও জাতির কল্যাণ হবে।
শিক্ষক সমাজের একটি অংশ পথভ্রষ্ট হয়ে নিজ পেশার তাৎপর্য ও মহত্ব ভুলে গিয়ে কোচিং, টিউশন, ক্লাসে না পড়ানো, প্রশ্নপত্র ফাঁস করাসহ নানা অপকর্মে যুক্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ টাকার জন্য নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে ক্লাস টাইমে উপস্থিত না থেকে অন্য প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে কাজ করে। শিক্ষকতার মতো মর্যাদাপূর্ণ একটি পেশায় টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া এবং অনৈতিক কাজ করা মোটেও শোভনীয় নয়। বরং তা জাতির জন্য অশুভ ইঙ্গিত। এই পথ থেকে যতদিন না শিক্ষকরা ফিরে আসবে ততদিন শুধু এটি পেশা হিসেবেই থাকবে, তা আর মানবকল্যাণ ও জ্ঞান বিতরণের উৎস হবে না।
একজন প্রকৃত শিক্ষকই ধারাবাহিকভাবে একজন ছাত্রকে সহজ থেকে কঠিনের দিকে, জানা থেকে অজানার দিকে, জ্ঞানের বিন্দু থেকে নিয়ে যান জ্ঞানসমুদ্রের দিকে। প্রত্যেক শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীর শিক্ষার প্রতি অনুরাগ জাগ্রত করা। শিক্ষার্থীদের অন্ধকার হতে আলোর পথে নিয়ে যাওয়া এবং বাস্তব ও সত্য অনুসন্ধানে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা।
শিক্ষকের আরেকটি পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা। আর এই দায়িত্ব পালন করতে হলে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যথার্থ মূল্যায়নে ব্যর্থ হলে বা ভুল করলে ধ্বংস হয়ে যাবে একটি প্রজন্ম, একটি জাতি তথা একটি দেশ।
শিক্ষকতা নিঃসন্দেহে একটি মহান পেশা। একজন শিক্ষক সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে অত্যন্ত মর্যাদা ও সম্মানের পাত্র। যারা বিপথে এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন, তাদের উচিৎ জাতি ও দেশ গঠনের লক্ষ্যে সকল অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে চাটুকারিতা, সমালোচনা, স্বজনপ্রীতি ও স্বার্থপরতা পরিহার করে একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়া। যার প্রধান লক্ষ্য হবে মানবতার কল্যাণ এবং জ্ঞান বিতরণ। তাহলেই এই মহান পেশার মর্যাদা রক্ষা পাবে এবং জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে।
একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা তখনই ভালো হবে, যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ তাদের শিক্ষার্থীদের সত্য জ্ঞান ও সুশিক্ষা দান করবেন। কেননা মানুষ গড়ার কারিগর একজন শিক্ষকই পারেন একটি সুশিক্ষিত ও উন্নত জাতি গড়ে তুলতে। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক প্রিয় মাতৃভূমি। ফিরে আসুক বাদশা আলমগীরের সময়ের সেই মানবিক শিক্ষক।
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
- গোপালগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- গোপালগঞ্জে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
- উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- শেখ হাসিনার আঁচলে মায়ের গন্ধ!
- জাতির পিতার সমাধিতে জাফর ওয়াজেদের শ্রদ্ধা
- দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ, এটি মিথ্যা প্রচার
- পিরামিডের রহস্য ভেদ করলো বিজ্ঞানীরা!
- জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন- ওবায়দুল কাদের
- ইন্টারনেটের গতিতে দুই ধাপ এগোলো বাংলাদেশ
- অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যের চুক্তি
- চীনের ২৬ কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশে কাজ করছে ৪৫ সংস্থা:দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
- ঝড়ে লণ্ডভণ্ড স্টেডিয়াম, ‘অনিশ্চিত’ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ
- সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- ভারতে তীর্থ থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন, নিহত ৮
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল
- নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যায় ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
- দুবাইয়ে ৫৩২ বাংলাদেশির সম্পত্তি, কী বলছে দুদক
- বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী
- নির্বাচনী ‘অস্বস্তি’ কাটিয়ে সামনে এগোনোর বার্তা ডোনাল্ড লু’র
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি তৈরি করে জিয়া: প্রধানমন্ত্রী
- নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহতের জেরে গোপালগঞ্জ উত্তাল
- জাতীয় শিশু দিবসের পুরস্কার বিতরন
- গোপালগঞ্জের হোটেল রোস্তরার খাবারের নমূনা সংগ্রহ শুরু
- বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি