অভিশপ্তদের দিন শেষ, বাতিঘরের আলোয় আলোকিত দেশ
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯
আজকাল টেলিভিশন টকশোয় খুব কম যাওয়া হয়। অনেকদিন থেকে না যাওয়ার অভ্যাসটি রপ্ত করেছি। কারণ গেলেই কথা বলতে হয়। কথা বললেই বাড়ে কথা। তবু মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুবাদে কারও কারও ডাক উপেক্ষা করা যায় না বলে যেতে হয়। বিশেষ করে প্রখ্যাত সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর মধ্যরাতের টকশোয় ডাক পড়লে নিয়মিত যাই। এমনিভাবে অনিয়মিতভাবে যাওয়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আমন্ত্রণে তাদের টকশো রাজকাহনে গিয়েছিলাম। গিয়ে তাদের অতিথি বাছাই দেখে আমি বিস্মিত হই। বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ তিনজন সাবেক সভাপতিকে আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম সারওয়ার মিলন ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু এবং আরেক সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি। মাঝখানে তাদের সঙ্গে কাবাবে হাড্ডির মতো আমাকে কেন ডাকা হলো? এ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তাদের বললাম, এখানে আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল, আহমদ হোসেন বা বি এম মোজাম্মেল হোসেনকে আনা হলে মানানসই হতো। শেষ পর্যন্ত টকশোর সূচনা ঘটল ছাত্রদলের সম্মেলন স্থগিত নিয়ে এবং সেটি থেকে আলোচনা জাতীয় রাজনীতির অতীত ও বর্তমান ঘিরে কিছুটা উত্তপ্তও হয়ে উঠল। এর মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হিটলারের মতো স্বৈরশাসক হিসেবে সমালোচনা করে বলে বসলেন, ‘তার পরিণতি হবে শেখ মুজিবের মতো’। পরে এ বক্তব্য বাইরে তুমুল বিতর্কের ঝড় তুললে শামসুজ্জামান দুদু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন। কিন্তু ওই টকশোয় আমি শেখ হাসিনার ৩৯ বছরের সংগ্রামমুখর রাজনৈতিক জীবনের উত্থান-পতন ঘেরা বর্ণাঢ্য জীবনের কথা উল্লেখ করে বললাম, তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী। আর এই জনপদে হিটলারের মতো নিষ্ঠুর খুনি কোনো সেনাশাসক যদি এসে থাকেন তার নাম জিয়াউর রহমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ মানবসভ্যতার ইতিহাসে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে অবৈধ শাসনযাত্রার পালাবদলে বন্দুকের জোরে সেনাশাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। তার হাতে তথাকথিত সেনাবিদ্রোহের অভিযোগে অসংখ্য সেনাসদস্যই সামরিক আদালতের গোপন বিচারে রাতের আঁধারে ফাঁসিতেই ঝোলেননি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরউত্তম খালেদ মোশাররফের খুনি মোশতাক চক্রকে উৎখাত করা অভ্যুত্থানে গৃহবন্দী জিয়াউর রহমানকে সিপাহি জনতার বিপ্লবের নামে পাল্টা ক্যু ঘটানোর নায়ক ও তার ত্রাণকর্তা হিসেবে মুক্ত করা, বীরউত্তম কর্নেল তাহেরকেও সামরিক আদালতের বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন।
সেনাশাসক জিয়াউর রহমান একদিকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে বছরের পর বছর কারা নির্যাতন, দমন-পীড়ন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নিপীড়ন ও দল ভাঙার রাজনীতির কূটকৌশল গ্রহণ করেছিলেন; অন্যদিকে বন্দুকের জোরে বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বিদায় করে তিনি নিজে একদিকে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি হওয়ার মতো নির্মম রসিকতার অসাংবিধানিক শাসনের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনলেও আত্মস্বীকৃত খুনিদের ভাষ্যমতে, তাকে অবহিত করা হয়েছিল। বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা বা সেক্টর কমান্ডার হয়েও এমনকি অনেকের সঙ্গে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে আলোচিত হয়েও ক্ষমতায় এসে তার সামরিক শাসন জমানায় গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনিক শক্তির সঙ্গে অর্থ ও পেশিশক্তির জোরে বিএনপি নামের যে দলটির জন্ম দিয়েছিলেন, সেখানে একাত্তরের পরাজিত হানাদার বাহিনীর দোসর দক্ষিণপন্থি মুসলিম লীগের রাজাকার, মুজিববিদ্বেষী আওয়ামী ও ভারতবিরোধী কট্টর চীনাপন্থি বামদের মহামিলন ঘটিয়েছিলেন। ঠাঁই দিয়েছিলেন সুবিধাবাদী সুযোগসন্ধানী ক্ষমতার উচ্চাভিলাষী কিছু পেশাজীবীকে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন। নিষিদ্ধ সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দুয়ার খুলে জামায়াতকেও রাজনীতিতে সংসদে পুনর্বাসিত করেছিলেন ধূর্ত খুনি শাসক জিয়া।
খুনি মোশতাকের অধ্যাদেশকে তার প্রহসনের ’৭৯ সালের সংসদে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইনসহ তার সব অবৈধ কর্মকা- পাস করিয়েছিলেন। যেখানে একজন সাধারণ মানুষ হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার লাভ করে সেখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংসভাবে হত্যা করে তার বিচার করা যাবে না বলে সংবিধান ও সভ্যতাবিরোধী একটি কালো আইন পাস করালেন। এবং সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের রক্তে লেখা ধর্মনিরপেক্ষতাসহ কিছু মূলনীতিই মুছে দেননি, সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে একাত্তরের পরাজিত পাকিস্তানের পথে রাষ্ট্রকে ঠেলে দিলেন। দিল্লিতে নির্বাসিত মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা যখন ৮১ সালের ইডেন কাউন্সিলে দলের নেতৃত্বের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্বাচিত হন, সেই রজনীতে বঙ্গভবনে বসে সেনাশাসক জিয়াউর রহমান রাত জেগে ছিলেন। আওয়ামী লীগের ভাঙন আশা করেছিলেন। ভোরবেলায় যখন শুনলেন, নেতা-কর্মীদের আবেগ-উচ্ছ্বাস আর মহানন্দের তুমুল করতালিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তখন তিনি তার সামরিক সচিব সিলেটের জেনারেল সাদেক আহমেদ চৌধুরীর কাছে ‘দেশটা বুঝি ইন্ডিয়া হয়ে গেল’ আফসোস করে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে ঘুমাতে ছুটলেন। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসুন সেনাশাসক জিয়াউর রহমান সেটি চাননি। শেখ হাসিনা ফিরে এলেই প্রকৃতি ও মানুষ তার সঙ্গে একাত্ম হয়েছিল। তার বুকভরা ছিল স্বজন হারানোর বেদনা ও ক্রন্দন। বাঙালি জাতির ইতিহাসের ঠিকানা শেখ হাসিনার স্মৃতিময় ৩২ নম্বর বাড়িতে সেনাশাসক জিয়া তাকে প্রবেশ করতে দেননি। বাইরেই তাকে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের পর বিচারপতি অথর্ব সাত্তার সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নৈরাজ্য বিশৃঙ্খলা ও চরম কোন্দলের মুখে বিনা রক্তপাতে সেনাশাসক এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করে দল গঠন করতে গেলে জিয়াউর রহমানের সুবিধাবাদী দলছুট প্রায় সব নেতা তার সঙ্গে যোগ দেন। দলের হাল ধরে সে সময় রাজপথে নামেন অকাল-বৈধব্য নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে যে ছাত্রদল হিজবুল বাহার চড়েও অস্ত্রবাজিতে ছাত্র রাজনীতিতে জায়গা পায়নি, সেনাশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে সেই ছাত্রদল হয়ে ওঠে সাহসী তারুণ্যের শক্তিশালী ছাত্র সংগঠনে। সব দলের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় বছর পর এরশাদের পতন ঘটলে সব মহলের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জামায়াতের সমর্থনে ’৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি সরকার গঠন করে চমক সৃষ্টি করে। দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নবযাত্রার সূচনা ঘটে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে।
নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড ও আন্দোলন-সংগ্রামের ভিতর দিয়ে উর্মীমুখর রাজনীতিতে নির্বাচনে সরকার বদলের সুযোগ ঘটে। ’৯৬ সালে নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির পরাজয় ঘটে। দীর্ঘ ২১ বছর পর সেই নির্বাচনে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আটক করে ১৫ আগস্টের হত্যাকাে র বিচারকাজ শুরু হয়। সেই বিচারে খুনিদের ফাঁসির রায় হয়। সেসব ইতিহাস সবার জানা। দার্শনিক বার্নাড শ বলেছেন, ইতিহাসের শিক্ষাই হচ্ছে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আমাদের রাজনীতিতে তার এ বাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্যে পরিণত হয়েছে। খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামল ও শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামল সংসদীয় গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক সহনশীলতা ও সুশাসন প্রশ্নে উত্তম বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। সেই দিনগুলোয় আমাদের সংসদ ও রাজনীতির মাঠে-ময়দানের পরিশ্রমী সাংবাদিকতাও ছিল সৃষ্টিশীলতার, শেখার এবং আনন্দের। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে প্রতিহিংসার বিষের আগুনে চারদিক পুড়িয়ে দিতে থাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার আটকে দেয়, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা একের পর এক হত্যাকান্ডের শিকার হন। সংখ্যালঘু ভোটার নারীরা হতে থাকেন ধর্ষিতা। এলাকার পর এলাকা প্রশাসনের প্রহরায় বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হয় ঘরছাড়া, না হয় আহত পঙ্গু হয়ে হাসপাতালে আশ্রয় নেন। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে শহীদের রক্তেভেজা পতাকাই ওড়েনি, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর হাত এতটাই প্রসারিত হয় যে, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ভয়ঙ্কররূপে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। ১০ ট্রাক অস্ত্র এসে ধরা পড়ে। সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্য হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। একের পর এক ভয়াবহ রাজনৈতিক হত্যাকা- ঘটতে থাকে দিনদুপুরে। বাংলা ভাইদের হাতে বাঘমারা স্বাধীন করে দেওয়া হয়। দলীয় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্লজ্জ বেহায়াপনার বীভৎস চিত্র দেখে বাংলাদেশ। দেশের ৬৩ জেলার ৫০০ জায়গায় একই সময়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। আদালতপাড়ায় রক্ত ঝরে। একুশের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সন্ত্রাসবিরোধী শান্তিমিছিলের বক্তৃতার মঞ্চ থেকে উড়িয়ে দিতে চালানো হয় বর্বর গ্রেনেড হামলা। আলামত গায়েব, তদন্তের নামে প্রহসন, বিচারের নামে নাটক চলতে থাকে। ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক বিএনপি-জামায়াত পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার দলীয় নির্বাচন কমিশনসহ, ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন স্তরের প্রশাসন ঢেলে সাজায়। সেই সঙ্গে বিএনপির অভ্যন্তরেও রক্তক্ষরণ ঘটানো হয়, হাওয়া ভবন ঘিরে প্যারালাল সরকার গড়ে ওঠে বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানকে ঘিরে। একতরফা নির্বাচন বানচাল হয়ে যায় সেনাসমর্থিত ওয়ান-ইলেভেনের কারণে। সেই দুই বছরের শাসনামল কারও জন্য সুখকর হয়নি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ও হাওয়া ভবনের অভিশপ্ত শাসনামলের চড়া মাশুল এখনো বিএনপিকে গুনতে হচ্ছে। ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটকে নিয়ে বিশাল গণরায়ে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ফাঁসিতে ঝুলতে হয় একের পর এক জামায়াত নেতাকে। তারেক রহমান লন্ডনে তার চাটুকারদের নিয়ে ভোগের জীবনে নির্বাসিত থাকলেও এখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সরকারের অগ্নিরোষে পতিত হয়। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে থাকা নেতা-কর্মীরা নিজেদের মতো স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার বা দলীয় রণকৌশল নির্ধারণের ক্ষমতা ভোগ করতে পারেন না। দল ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে একের পর এক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিশাল বিজয় অর্জন করলেও তারেক রহমানের নির্দেশের কারণে জামায়াতের সঙ্গে সহিংস আন্দোলনে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধ আন্দোলনে শক্তিক্ষয় ও মামলার জালেই আটকা পড়েনি, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের ওয়াক ওভার দিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে একটি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির রাজনীতির জনপ্রিয়তার উৎস ও গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে জনপ্রিয় বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গেলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে পারেনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্ক থাকলেও বিএনপি সেটি নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া দূরে থাক কোনো রাজনৈতিক ফায়দাই তুলতে পারেনি। মাঝখানে মির্জা ফখরুলের মতো পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদকে বাদ দিয়ে হাতে গোনা দলের যে কজন জয়ী হয়েছেন, তাদের সংসদে পাঠায়। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ শরীরে পৌনে দুই বছরের মতো জেলে রয়েছেন। দলের নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্ত নেতৃত্বের হঠকারী সিদ্ধান্তে বার বার আন্দোলন-সংগ্রামে মামলার জালেই আটকা পড়েনি, রিক্ত-নিঃস্ব হয়ে গেছে। যে এহছানুল হক মিলন বিএনপির জন্য আদালতে হাজিরা দিতে দিতে জীবন শেষ হয়ে যায়, নির্বাচনে তারেক রহমানের নির্দেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও তার ভাগ্যে মনোনয়ন জোটে না। মোরশেদ খানের মতো ভদ্রলোক বিএনপি করার অপরাধে নানামুখী চাপে নিঃশেষ হয়ে গেলেও তিনি মনোনয়ন পান না। একুশের গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবন ঘিরে যারা ওঠাবসা করতেন এখন লন্ডন, নিউইয়র্ক ও মালয়েশিয়ায় তারা নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছেন। ইতিহাসের প্রাপ্য প্রতিহিংসার ফল বিএনপি ভোগ করছে এ কথা আমি বলে আসছি বার বার, তেমনি বলে আসছি নব্বইয়ের পর এ দেশের রাজনীতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদলের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল তার কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছে একুশের গ্রেনেড হামলা। তাই বলে আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামলে সংঘটিত সব দুর্নীতি, অর্থনৈতিক খাতের লুটপাট, ব্যাংক ও শেয়ার কেলেঙ্কারি, গুম-খুন এমনকি মির্জা ফখরুলদের মতো নেতাদের নামে হয়রানি মামলা, নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের প্রতিবাদ তো কম করিনি। তবু কেন এত আক্রোশ? এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যেসব সিনিয়র সাংবাদিক প্রশ্ন না করে চাটুকারিতায় তেলের নহর বইয়ে দিতেন তাদের সমালোচনাও করেছি।
শক্তিশালী সরকারের পাশাপাশি আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। বিএনপিকে শেষ করে দিয়ে মৌলবাদ উত্থান ঘটার আশঙ্কা থেকে যায় কিনা এ প্রশ্নও সামনে নিয়ে আসি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় সেদিনের টকশোয় আরও বলেছিলাম, তারেক রহমান এখনো বিএনপির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু বিএনপির রাজনৈতিক সম্পদ হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তারেক রহমান অভিশপ্ত বোঝামাত্র। লন্ডনে তারেক রহমানের বক্তৃতা আষাঢ়ে গল্পের মতোই বোঝায় না, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা যে ভাষায় কথা বলতে সাহস পায় না, তাদের দোসররা যে ভাষায় কথা বলতে সাহস পায় না, তিনি সে ভাষায় কথা বলেন। দাম্ভিক উন্মাদের প্রলাপ মনে হয়। যার আত্মোপলব্ধি নেই। অনুশোচনা, গ্লানি নেই। বাংলাদেশের আত্মা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করুন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সমালোচনা করুন। কিন্তু জাতির পিতাকে নিয়ে কটাক্ষ করা সব শক্তিকে এক মোহনায় অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মিলিত করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতি কটাক্ষ কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ বরদাশত করতে পারে না।
আমি আরও বলেছিলাম, যেখানে লাখ লাখ, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং খাতে লুট হয়েছে, হাজার হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারের জুয়াড়িরা লুট করে নিয়ে গেছে, সেখানে ২ কোটি টাকার জন্য কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে জামিনে হলেও মুক্ত করে রাজনীতির পরিপক্ব কৌশল বিএনপির নির্ধারণ করা উচিত। যেখানে তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ থাকবে না। তারেক রহমান ও তার লন্ডন, নিউইয়র্কসহ বিদেশে থাকা অভিশপ্ত সিন্ডিকেট যত দিন বিএনপিতে খবরদারি করবে তত দিন এ দলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এই রাহুমুক্ত হয়ে বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় দাঁড়িয়ে বিশুদ্ধ হয়ে রাজনীতি শুরু করতে হবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায়।
কয়েকদিন আগে জাতিসংঘে দেওয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণ নিয়ে এ দেশে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত বাহ্বা দিচ্ছেন যে মনে হচ্ছে, কোনো বিশ্বসেরা রাজনীতিবিদ বিশ্বজয়ী বক্তৃতা করেছেন। এ দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের যখন বিচার হয়, পাকিস্তানের সংসদে তখন ইমরান খানরা নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। একাত্তরে ইমরান খানের চাচা নিয়াজি এবং বেলুচিস্তানের কসাই টিক্কা খান পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে।
আমাদের ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা এ স্বাধীন বাংলাদেশ। আমাদের আড়াই লাখ মা-বোনের গণধর্ষণের নির্যাতনের আর্তনাদে এ দেশের বাতাস এখনো ভারি। ইমরান খান যদি জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে তার বাবা-চাচা ও ভাইদের যুদ্ধাপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতেন আমাদের প্রাপ্য পাওনা ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করতেন তাহলে না হয় বুঝতাম একপাল পাকিস্তানপ্রেমিক তাকে শাবাশ দিচ্ছেন। আমরা যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি তখন মোনায়েম খানরা পাকিস্তানের দালালি করেছেন। আমরা যখন একাত্তরে যুদ্ধ করেছি তখন আমাদের ভারতের চর বলে, পাকিস্তানের দুশমন বলে গোলাম আযম ও শাহ আজিজরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হয়েছেন। এখনো একদল শিক্ষিত মানুষ বাংলাদেশি হতে পারেনি। চিন্তায় পাকিস্তানি রয়ে গেছে।
একাত্তরে ভারত তাদের নেত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে আমাদের আশ্রয় দিয়েছে, খাবার দিয়েছে, অর্থ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, বিশ্বজনমত পক্ষে টেনেছে। এমনকি মিত্রবাহিনীর হয়ে যুদ্ধে জীবন দিয়েছে। রক্তে লেখা একাত্তরের বন্ধু ভারত ও তার ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শিক রাষ্ট্রের বর্ণ অনেকটা এখন ধূসর করে ফেলেছে। তিস্তার পানি নিয়ে হোক, সীমান্ত হত্যা নিয়ে হোক, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক দূতিয়ালি হবে, দেনদরবার হবে, তাদের কর্মকান্ডের নিন্দাও হবে; কিন্তু ভারতবিরোধিতা করতে গিয়ে লাখো শহীদের রক্তে পা দিয়ে, মা-বোনের সম্ভ্রমে পা দিয়ে পাকিস্তানকে বন্ধু বানাতে পারি না। এ কথাগুলো আর একাত্তরের পরাজিত পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর স্বাধীন বাংলাদেশের নিষিদ্ধ বিএনপির মিত্র জামায়াত এ দেশের মানুষের রাজনীতির কল্যাণের শক্তি হতে পারে না। এসব কথা বিভিন্ন টকশোয় বলায় ও বিভিন্ন কলামে লেখায় বিএনপি ও জামায়াতের দেশের বাইরে থাকা সাইবারযোদ্ধারা আর্তনাদ করে উঠেছেন। ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের পেজে দেওয়া বিজেপি নেতা বলে পরিচয় করানো এক মাতালের অশ্লীল নাচের ভিডিও লাল গোলাপের শফিক রেহমানের ডান হাত খ্যাত বিএনপির থিংক ট্যাংকের জি-৯-এর সদস্য বাংলাদেশ বিমান ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ থেকে বরখাস্ত রেজাউর রহমান মানিক তার ফেসবুক পেজে ভাইরাল করলে, তারা লুফে নিয়ে আমার নামে অপপ্রচার চালায়।
শেখ হাসিনার চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে গত ১০ বছরে অনুপ্রবেশকারী থেকে দলের ভিতরে থাকা যারা দুর্নীতি করে কাঁচা টাকার দামি গাড়ি, বাড়ি, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও দেশ-বিদেশে সম্পদ গড়েছেন তাদের চিহ্নিত করতে গেলে তারাও এটিকে ছড়িয়ে দেন। তাদের লুটের ভাগ না পাওয়া দুর্নীতিবাজ এ কালো শক্তির অন্ধ ভক্তরাও লাফালাফি করে। কিন্তু ওরা জানে না আমার ক্ষমতা নেই। আমার কোনো ক্ষমতাবান নেই। আমার অর্থ নেই, গানম্যান নেই। কিন্তু পেশাদারিত্বের ওপর দাঁড়ানো মানসিক শক্তির প্রাণপ্রাচুর্য এবং শক্তিশালী কলম ও কণ্ঠ রয়েছে। অভিশপ্ত ও দুর্নীতিবাজ দানবের সামনে কলম থামাতে আমি আসিনি। কণ্ঠ স্তব্ধ করতে আসিনি। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন, সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি ঘুমিয়ে থাকেন না। সব খবর রাখতে হয়। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রী অনেক খবর রাখলেও সব খবর রাখা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তার সঙ্গে প্রেসবক্সে বসে বিসিবির পরিচালক হিসেবে ক্রিকেট খেলা উপভোগ করে খুনি বজলুল হুদার শ্যালক হানিফ ভূঁঁইয়া। খালেদা জিয়ার মাথায় ছাতা ধরা দেহরক্ষী লোকমান মোহামেডানের ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের অধিপতিই নয়, বিসিবির পরিচালক হয়ে তার বক্সে বসেও খেলা দেখে। বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করে। যুবদল থেকে যুবলীগে আসা বিশাল গানম্যান দল নিয়ে মোটরসাইকেল ও দামি গাড়িতে সাইরেন বাজিয়ে পূর্ত অধিদফতরে সব ঠিকাদারি নেয় জি কে শামীম। ফ্রীডম পার্টির ক্যাডাররা হয়ে যায় যুবলীগ, চাঁদাবাজ ও ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের মালিক। লোকমানকে আটকের সময় হাতকড়া পরানো হয়নি। যেন জামাই আদর দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন না, সুনামগঞ্জের মতো জেলা নেতৃত্বে বাপ আওয়ামী লীগের মরহুম নেতা বলে যে ছেলেটিকে নেতা-কর্মীদের আপত্তির মুখে নেতৃত্বে বসান সেই কালো কুৎসিত দুর্নীতিবাজ দলকেই শেষ করেনি নিজে অঢেল অর্থ বাড়ি, গাড়ি, দামি বিলাসি ফ্ল্যাট ও বিদেশে সম্পদ গড়েছে ১০ বছরে। এমনকি লন্ডনে তারেক রহমানের ডান হাত ও শেখ হাসিনার গাড়িবহর ও হাইকমিশনে হামলাকারী বিএনপি নেতার সঙ্গে কোম্পানি করেছিল জগন্নাথপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ লুটপাটের জন্য। এসব বিশ্বাসঘাতক দুর্নীতিবাজদের অন্ধ ভক্তরাও বিএনপি-জামায়াতের সাইবার অপপ্রচারের নোংরা প্রচারণায় আমাদের বিরুদ্ধে শরিক হয়। বিএনপি-জামায়াতের অভিশপ্ত আস্তানায় আওয়ামী লীগের কারা যোগাযোগ রাখে নিয়মিত? এ প্রশ্ন আজ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর! একজন লোকমান, একজন জি কে শামীম আজ ধরা পড়েছে। এমন জি কে শামীম ও লোকমানরা আজ কতজন ক্ষমতার বাণিজ্যের বাজিকর। বিএনপি-জামায়াতের আস্তানায় দেয় টাকা?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফরকালে দেশের বড় বড় শিল্পপতিকে দেখা যায় না। যাদের নিয়ে গেলে বিদেশি বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনেক জানেন কিন্তু সব জানেন না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল, শেখ হাসিনার লড়াইয়ের সতীর্থরা মিথ্যা নোংরা বিএনপি-জামায়াতের সাইবার আক্রমণের শিকার হলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কেন নীরব থাকে আমি বুঝি না! তবে আমরা আশাবাদী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের মতো দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তিনি বিজয়ী হবেন এবং সুশাসনের সুবাতাস বইয়ে দেবেন দেশের রাজনীতিকে পূর্বসূরিদের রেখে যাওয়া আদর্শিক জায়গায়। সৎ, নির্লোভ নেতা-কর্মীদের হাত ধরে তুলে আনবেন। বাঙালির মহত্তম নেতা বঙ্গবন্ধু ও গৌরবের অর্জন মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারিত্বের একমাত্র বাতিঘর তিনি। শপথ নেওয়ার সময় আজ, অভিশপ্ত কালো শক্তির দিন শেষ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাতিঘর মুজিবকন্যার আলোতেই আলোকিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।(সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন)
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
- গোপালগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- গোপালগঞ্জে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
- উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- শেখ হাসিনার আঁচলে মায়ের গন্ধ!
- জাতির পিতার সমাধিতে জাফর ওয়াজেদের শ্রদ্ধা
- দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
- কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ, এটি মিথ্যা প্রচার
- পিরামিডের রহস্য ভেদ করলো বিজ্ঞানীরা!
- জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন- ওবায়দুল কাদের
- ইন্টারনেটের গতিতে দুই ধাপ এগোলো বাংলাদেশ
- অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যের চুক্তি
- চীনের ২৬ কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশে কাজ করছে ৪৫ সংস্থা:দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
- ঝড়ে লণ্ডভণ্ড স্টেডিয়াম, ‘অনিশ্চিত’ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ
- সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- ভারতে তীর্থ থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন, নিহত ৮
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল
- নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যায় ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
- দুবাইয়ে ৫৩২ বাংলাদেশির সম্পত্তি, কী বলছে দুদক
- বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী
- নির্বাচনী ‘অস্বস্তি’ কাটিয়ে সামনে এগোনোর বার্তা ডোনাল্ড লু’র
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি তৈরি করে জিয়া: প্রধানমন্ত্রী
- নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহতের জেরে গোপালগঞ্জ উত্তাল
- জাতীয় শিশু দিবসের পুরস্কার বিতরন
- গোপালগঞ্জের হোটেল রোস্তরার খাবারের নমূনা সংগ্রহ শুরু
- বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি