ইসলামের সামাজিক সৌন্দর্য
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এ হিসেবে সামাজিক খুঁটিনাটি বিষয়াদিও ইসলামে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সামাজিক যত সৌন্দর্য আছে সবই ইসলামে নিহিত। যুগে যুগে প্রেরিত নবী-রাসুলেরা মানুষকে আল্লাহমুখী হওয়ার শিক্ষা যেমন দিয়েছেন তেমনি শিখিয়েছেন সামাজিকতা। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) একজন মুসলমানের নিছক পরকালীন পথপ্রদর্শকই ছিলেন না, জীবনাচার ও সামাজিকতার শিক্ষকও ছিলেন। পৃথিবীর কোনো মানুষই এমন নয় যার জন্য কারও সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে না। সমাজে টিকে থাকতে হলে প্রত্যেককে অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতে হয়। জীবনের নির্বিঘœতার জন্য এটি প্রয়োজন। ইসলাম এ জন্য মানুষকে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়।
মহানবী (সা.) বলেছেন, এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য একটি দেয়ালের ইটগুলোর মতো সম্পূরক স্বরূপ- তারা একে অপরের দ্বারা স্থিতি অর্জন করে। এই বলে তিনি নিজের দুই হাতের আঙুলগুলো পরস্পরের মধ্যে ঢোকালেন। এ হাদিসে রাসুল (সা.) মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। অন্য হাদিসে আছে, মুসলমান জাতি একটি দেহের মতো। চোখ অসুস্থ হলে গোটা দেহ অসুস্থ হয়। আবার মাথা অসুস্থ হলেও গোটা দেহে এর প্রতিক্রিয়া হয়। মুমিনরা যদি প্রকৃতই পরস্পরের সহমর্মী হয়, তাহলে তাদের একের ব্যথায় অন্যরা ব্যথিত হবে, একের সুখে অন্যরা আনন্দিত হবে। ইসলাম যেহেতু গোটা মানবতাকে একই পরিবারের সদস্য বলে বিবেচনা করে, সুতরাং তাদের মধ্যকার সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানাভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলামে বিভিন্ন ইবাদত, বন্দেগির নিয়মপদ্ধতি এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যে, তার মাধ্যমে যেন মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে মানবসমাজে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি ও উন্নয়ন সম্ভব হয়।
আল্লাহ তায়ালা কিছু বিশেষ নিয়মসংবলিত ইবাদতের বিধান দিয়েছেন। আবার একাকী নয়, সম্মিলিতভাবে তা পালনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দিকই অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। সম্প্রীতি ও ঐক্যের যে মহড়া চলে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের সময়, তা মুমিনদের আন্তরিক যোগসূত্রকে আরও মজবুত করে। আর এর ফলে মুসলমানদের সমাজে বিরাজ করতে থাকে অনাবিল পরিবেশ। বিশেষ করে জুমার নামাজ এমন এক ইবাদত যা মুমিনদের পরম করুণাময়ের আহ্বানে হাজির করে, একইসঙ্গে তাদের সমাজ বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। এভাবে ইসলামের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে সামাজিক সৌন্দর্য। ইসলামি জীবনব্যবস্থাই হলো সামাজিক সব সমস্যার উৎকৃষ্ট সমাধান। মানবজীবনে সম্ভাব্য যত সমস্যা হতে পারে এর সব সমাধানই ইসলাম দিয়েছে। যেমন দারিদ্র্য প্রত্যেক সমাজের একটি মারাত্মক সমস্যা। দারিদ্র্য নিরসনের কার্যকরী নির্দেশনা ইসলাম দিয়েছে। কোরআন-হাদিসে দারিদ্র্যের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে ধনীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক সুষম বণ্টন এবং জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা চালু করলে দারিদ্র্য দূর হতে পারে।
বেকারত্ব সমাজের একটি বড় সমস্যা। রাসুল (সা.) সব মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মডেল হিসেবে রেখে গেছেন মদিনা রাষ্ট্রকে। তিনি নিজে সবধরনের কাজ করেছেন। হালালভাবে জীবিকা উপার্জনে যেকোনো কাজে কোনো দ্বিধা করেননি। নিরক্ষরতা ও অজ্ঞতা দূর করতেও ইসলামে রয়েছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘পড়–ন, আপনার প্রতিপালক মহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে, যা সে জানত না।’
সামাজিক অনাচার ও সমস্যার সমাধানে ইসলাম সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। সামাজিক অনাচারের অন্যতম জুয়াকে ইসলামে ঘৃণ্য কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মিথ্যাচারকে মুনাফিকের লক্ষণ বলা হয়েছে। ধূমপানকে ইসলাম হারাম করেছে। মাদকাসক্তিকে ইসলামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলাম অন্যায় ও অনাচারমূলক কাজ থেকে শুধু নিষিদ্ধই করেনি, কীভাবে পাপমুক্ত জীবন গড়তে হবে এর সুস্পষ্ট নীতিমালাও বর্ণনা করেছে। সামাজিক অন্যায় ও অসততার বীজগুলো যেন অঙ্গুরেই বিনাশ হয়ে যায় সে ব্যবস্থাপত্র ইসলাম দিয়েছে।
- গাজায় যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে খাবার নিয়ে গেল ইসরায়েলিরা
- ধর্ষণের অভিযোগে মোংলায় পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
- বাগেরহাটে ভ্যানচালকের ছুরিকাঘাতে অটোচালক নিহত
- বন্দর ব্যবহারে ভারত-ইরান চুক্তির পর হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
- ইউক্রেনের খারকিভে হামলা জোরদার করল রাশিয়া
- গ্রহণযোগ্য করতেই শ্রম আইনে সংশোধন: আইনমন্ত্রী
- ঢাকা পৌঁছালেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
- ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি
- সুখবর দিয়ে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা বাংলাদেশের
- শিশুদেরকে এমনভাবে শিক্ষা দিতে হবে স্কুলকে ভয় না পায়-প্রতিমন্ত্রী
- সব হাসপাতালের লিফটের সেফটি পরীক্ষার নির্দেশ
- টঙ্গীর দত্তপাড়া
বস্তিবাসীর জন্য ফ্ল্যাট বানাবে সরকার - অবশেষে দেশের মাটিতে নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
- সবাইকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে
- গেটলক সিস্টেমে যানজটমুক্ত মহাখালী
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ চলছে :প্রণয় ভার্মা
- অর্থবছরে সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন
শেষ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩৪ প্রকল্প - প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় বাস্তবতার ছাপ
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হলে আসামিকে কনডেম সেলে নয়
- দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেপ্তার
- যুক্তরাষ্ট্রেই বাইডেনের কথা কেউ শোনে না,বাংলাদেশও বাধ্য নয়:কাদের
- ইন্দোনেশিয়ায় ‘শীতল লাভা’র স্রোতে নিহত ৪১
- মুকসুদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
- মঙ্গলবার দুপুরে হবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
- ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থীর ৫ বছর কারাদণ্ড
- জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে
- জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা
- উপজেলা নির্বাচন
ভোটার বাড়ানোর নির্দেশ ইসির - একীভূত হতে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করল বিডিবিএল
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৪০
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- গোপালগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড