• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

হাফ সেঞ্চুরি হলো না লিটনের

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২১  

হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫টি রান দূরে ছিলেন লিটন দাস। সাজিদ খানের বলে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে সরাসরি ফাওয়াদ আলমের ক্যাচ হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৮১ বলে ৭ চারে সাজানো ছিল তার ৪৫ রানের ইনিংস। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি ছিল তার। দলীয় ৯৮ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন বাংলাদেশের।

স্কোর: ৩৩.১ ওভারে বাংলাদেশ ৯৮/৫ 

প্রথম ইনিংস: পাকিস্তান ৩০০/৪ (ডিক্লেয়ার), বাংলাদেশ ৮৭/১০

মুশফিক-লিটনের জুটি পঞ্চাশ ছাড়াল

২৫ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েছে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটে। দুজনের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে স্বাগতিকরা।

মুশফিক-লিটনের জুটিতে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা

প্রথম ইনিংসের সেরা পাকিস্তানি বোলার সাজিদ খানকে টানা দুই ওভারে দুটি করে বাউন্ডারি মেরেছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ জুটিও গড়েছেন তারা। মুশফিক-লিটনের অপরাজিত জুটি ৪৭ রানের। প্রথম সেশন শেষে ৪ উইকেটে ৭২ রান বাংলাদেশের।

৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। 

দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম আবারও হতাশ করলেন। তাদের সঙ্গী হলেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। পাকিস্তানের দুই পেসারের আগুনে বোলিংয়ে স্রেফ এলোমেলো তারা।

অভিষিক্ত জয় প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফিরেছিলেন। আজ হাসান আলীর করা প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খুলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এক ওভার পর হাসানের ভেতরে ঢোকানো বলে বোল্ড জয়। তার ব্যাট ও প্যাডের বিশাল ফাঁক দিয়ে বল আঘাত করে স্টাম্পে।

রান খরায় ভোগা সাদমান আরো একবার হতাশ করলেন। আফ্রিদির ইনসুইং ডেলিভারীতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন বাঁহাতি ওপেনার। ১২ রানেই সাজঘরে বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। 

উইকেটের ক্ষুধায় মগ্ন থাকা হাসান অলীর দ্বিতীয় শিকার মুমিনুল হক। বাংলাদেশের অধিনায়ক ডানহাতি পেসারের বলে দারুণ এক কভার ড্রাইভে চার পেয়েছিলেন। পরের বলে আদায় করেন ২ রান। কিন্তু তৃতীয় বলে প্রতিশোধ নেন পাকিস্তানের পেসার। তার সোজা বল মিস করে এলবিডব্লিউ হন মুমিনুল। এর পরপরই শান্ত আফ্রিদির বলে দ্বিতীয় গালিতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৬ রানে। 

ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশকে আরও ১৮৬ রান করতে হবে। 

ফলোঅনে বাংলাদেশ, দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা

ফলোঅন এড়াতে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। হাতে উইকেট ছিল ৩টি। রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে পাকিস্তানের বোলাররা বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিন করে তোলে। 

পাকিস্তান ৪ উইকেটে ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ফলোঅন এড়াতে দরকার ছিল ১০১ রান। চতুর্থ দিন ৭ উইকেটে ৭৬ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। আজ ১১ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট। বাংলাদেশ অলআউট ৮৭ রানে।

দেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান। ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৩১.৫ ওভারেই ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। 

আজ মাত্র ২৮ মিনিট ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। আগের দিন ৭০ মিনিটে চূর্ণ বিচূর্ণ বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার। তাইজুল ইসলাম দিনের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। স্পিনার সাজিদের বলে এলবিডব্লিউ হন। সাকিব রিভিউ নিয়ে সঙ্গীকে বাঁচানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু রিভিউ বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। পরের ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেট উড়ে যায় খালেদ আহমেদের। কোনো রানই যোগ করতে পারেননি লোয়ার অর্ডার এ ব্যাটসম্যান।

সাকিব উইকেটে একা হয়ে যান। সাজিদ খানকে এক চার, একটি ডাবল ও দুইটি এক রানে দলের পুঁজি বাড়ান। কিন্তু শেষমেশ সাজিদের শিকারে পরিণত হন সাকিব। আজকের ১১ রানের ১০ রানই আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। ৫৪ বলে ৩৩ রানে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। 

অফস্পিনার সাজিদের পকেটে গেছে ৮ উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে চতুর্থ সেরা বোলিং এটি। এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো বোলারের এটি সেরা বোলিং। স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলও ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। তবে রান দিয়েছিলেন ১০৮ রান। 

সাকিবের ব্যাটে তাকিয়ে বাংলাদেশ

ঢাকা টেস্টে ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ। বুধবার পঞ্চম দিনে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ফলোঅন এড়াতে করতে হবে আরো ২৫ রান। পাকিস্তান ৪ উইকেটে ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। মাত্র ২৬ ওভারের খেলায় ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ৭৬। ৭০ মিনিটে চূর্ণ বিচূর্ণ বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার। 

শুধু ফলোঅন কেন, বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টটি এখন হাতছাড়ার শঙ্কায় বাংলাদেশ। ২২৪ রানে এখনও পিছিয়ে স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের বোলাররা যেভাবে দাপট দেখাচ্ছে তাতে তাদের পাল্লাই ভারি। মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা যেভাবে নিজেদের উইকেট আত্মাহুতি দিয়েছেন তাতে তাদের নিবেদন নিয়ে বিরাট প্রশ্ন উঠেছে। মিরপুরে টেস্ট খেলতে নেমেছেন নাকি টি-টোয়েন্টি, সেই গোলকধাঁধায় আটকে বাংলাদেশ। 

সাকিবই এখন বাংলাদেশের আশা ভরসা। ৩২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৩ রান নিয়ে দিন শুরু করবেন। তার সঙ্গী তাইজুল ইসলাম। এরপর ব্যাটিংয়ে আসবেন খালেদ ও ইবাদত। এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর রেকর্ড নেই বললেই চলে। মিরপুরে আজ কি নতুন কিছুর দেখা মিলবে নাকি হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাবে বাংলাদেশ? উত্তরটা জানতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। 

চারদিন গুমোট আবহওয়ায় টেস্ট এগিয়েছে। আজ সকাল থেকেই রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া। ঝকঝকে দিনে বাংলাদেশের ইনিংসটাও ঝলমলে হয় কিনা দেখার।  

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ